তামিমদের হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে শান্তর আবাহনী

দুর্বার গতিতে শিরোপার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আবাহনী লিমিটেড। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তাদের অপ্রতিরোধ্য পথচলায় লাগাম টানতে পারেননি কোনো প্রতিপক্ষই। একটি করে ম্যাচ গেছে, জয়ের মালা আরেকটু বড় হয়েছে আবাহনীর। গ্রুপ পর্বের মতো সুপার লিগেও তাদের শুরুটা হলো দুরন্ত। তামিম-জাকিরদের দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে জয়ের আরও কাছে পৌঁছে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে প্রাইম ব্যাংককে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। এবারের লিগে এটা তাদের দ্বাদশ জয়, এখনও হারের স্বাদ নেয়নি দলটি। ১২ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে প্রিমিয়ার লিগের সফলতম দলটি। দুই এবং তিনে থাকা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে আবাহনীর ছয় পয়েন্টের ব্যবধান। পরের ম্যাচে জিতলে আবাহনীর শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা আবাহনীর বোলারদের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেন প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচসেরা শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে ৩৯.৩ ওভারে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস। অধিনায়ক জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম ছাড়া কেউ-ই রান করতে পারেননি। জবাবে লিটন কুমার দাসের মন্থর গতির হাফ সেঞ্চুরি ও তাওহিদ হৃদয়ের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৮.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত হয় আবাহনীর।
আবাহীর জয়ের দিনের জয় পেয়েছে শিরোপার রেসে টিকে থাকা শাইনপুকুর ও মোহামেডানও। সাভারের তিন নম্বর মাঠে মাত্র ১৩৮ রান করেও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৩ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর। দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও আরাফাত সানির অসাধারণ বোলিংয়ে ২৭.৪ ওভারে ১২৫ রানেই অলআউট হয় গাজী গ্রুপ। রিশাদ ৪টি ও আরাফাত ৩টি উইকেট নেন। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। দুই দলেরই ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট, হেড টু হেডে এগিয়ে শাইনপুকুর।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় চাপ না থাকলেও মন্থর ব্যাটিং করেন লিটন। ডানহাতি এই ওপেনার ১০৬ বলে ৭টি চারে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। অথচ একই উইকেটে ২৭ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৫ রানের খুনে ইনিংস খেলেন হৃদয়। এনামুল হক বিজয় ২২, অধিনায়ক শান্ত ২২ ও জাকের আলী অনিক ১২ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের সানজামুল ইসলাম ও শেখ মেহেদি হাসান ২টি করে উইকেট নেন, একটি উইকেট নেন জাকির হাসান।
এর আগে দলের দুঃসময়ে সবচেয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক জাকির। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৭০ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৮ রান করেন। ৬৫ বলে ৫টি চারে ৪৪ রান করেন মুশফিক। এ ছাড়া আর কেবল তিনজন দুই অঙ্কের রান করেন, অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল ১০ বলে ১ রান করে আউট হন। আবাহনীর শরিফুল ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান তাসকিন, তানভীর ও মোসাদ্দেক।