বাংলাদেশের ক্রিকেটে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির মালিক এখন ইমন

মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে তার পরিচিতি আছে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি মালিক তিনি। এবার ওয়ানডেতেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন পারভেজ হোসেন ইমন, গড়লেন এই ফরম্যাটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। যা কেবল একদিনের ক্রিকেটই নয়, বাংলাদেশের স্বীকৃত ক্রিকেটে যেকোনো ফরম্যাটেই দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
রোববার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন আবাহনীর বাঁহাতি এই ওপেনার। বাংলাদেশের লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটাই দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এতোদিন রেকর্ডটিতে নাম ছিল ফরহাদ রেজা ও হাবিবুর রহমান সোহানের। ২০১৯ সালে প্রিমিয়ার লিগে ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ফরহাদ। চার বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের লিস্ট 'এ' ফরম্যাটে ১৮ বলেই হাফ সেঞ্চুরি করেন সোহান।
রেকর্ড বইয়ে নিজের নামটি সবার উপরে বসানোর দিনে খুনে ব্যাটিং করেন ইমন। ২৩ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ৬১ রান করেন তিনি। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হেসেখেলেই ছোট লক্ষ্য পেরিয়ে যায় আবাহনী। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
মোসাদ্দেক, রিপন, রাকিবুলদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে ২৫.৪ ওভারে ৮৮ রানেই অলআউট হয় শাইনপুকুর। মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদ ১৪ ও রহমাতুল্লাহ আলী ১০ রান করেন। দলটির আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। মোসাদ্দেক ৪টি এবং রিপন ও রাকিবুল ২টি করে উইকেট পান। জবাবে ইমন ও জিসান আলমের ব্যাটে ৬.৪ ওভারেই জয় তুলে নেয় আবাহনী। ১৭ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ১৭ রান করেন জিসান।
সাত ওভারেই ৮৯ রান তোলার চার-ছক্কার বৃষ্টি নামান। যদিও তার শুরুটা এমন ছিল না। প্রথম চার বলে এক রান করেন আবাহনী ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে শাইনপুকুরের অনিয়মিত অফ স্পিনার রহমতউল্লাহ আলীর ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ইমন। দ্বিতীয় বলে অল্পের জন্য ছক্কা না হলেও পরের চারটি বল ঠিকই উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন তিনি। এক ওভার পর আলী মোহাম্মদের বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন ইমন।
আজ প্রিমিয়ার লিগের বাকি দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারায় মোহামেডান। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ধানমন্ডি স্পোর্টিস ক্লাবকে ২ উইকেটে হারায় গুলশান।