বড় সংগ্রহ নিয়েও হারল মাশরাফিবিহীন সিলেট

সবার আগে প্লে-অফ পর্ব নিশ্চিত করে দুর্বার ছন্দে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্স। গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচে তাই চাপ ছিলো না দলটির ওপর। নির্ভার হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম দলকে বড় সংগ্রহও এনে দেন। কিন্তু বল হাতে সুবিধা করতে না পারা এবং রংপুর রাইডার্সের রনি তালকুদার, শোয়েব মালিকদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে হার মানতে হলো মাশরাফিবিহীন সিলেটকে।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। আগের দিন প্লে-অফ নিশ্চিত করা দলটি এবারের বিপিএলের সপ্তম জয় তুলে নিলো। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা বরিশাল ও কুমিল্লার সমান ১৪ পয়েন্ট হলেও রান রেটে পিছিয়ে চার নম্বরে আছে রংপুর। ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে সিলেট।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে সিলেট। আসরজুড়ে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা বইয়ে দেওয়া তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকের অসাধারণ ইনিংসে ২ উইকেটে ১৭০ রান তোলে তারা। জবাবে উদ্বোধনী জুটিতেই ১০০ রান পাওয়া রংপুর ম্যাচসেরা রনি ও মালিকের ব্যাটে ১২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রনি ও নাঈম শেখ। সঙ্গীকে এক পাশে রেখে রনি একাই অবশ্য তাণ্ডব চালান। উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ রান পায় রংপুর। ৩৫ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন রনি। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেওয়া নাঈম ৩২ বলে ৬টি চারে ৪৫ রান করেন।
বাকি কাজ সারেন মালিক ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। মালিক ২৪ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। সিলেটের ইরফান ও রাজা একটি করে উইকেট নেন। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম চলে যাওয়ায় বোলিংয়ে শক্তি হারিয়েছে সিলেট। চোটের কারণে মাশরাফিও খেলতে পারেননি।
এর আগে ব্যাটিং করা সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়। ব্যাট হাতে স্বপ্নের ছন্দে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫৭ বলে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। বিপিএলের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি করা হৃদয়ের এটা ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ৩৫ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন মুশফিক। একটি করে উইকেট পান রংপুরের শেখ মেহেদি হাসান ও হাসান মাহমুদ।