লক্ষ্যই জানতো না বাংলাদেশ

ক্রিকেট ম্যাচে বৃষ্টির হানায় বদলে যায় অনেক হিসাব নিকাষ। এক ইনিংস হওয়ার পরও বদলে যেতে পারে প্রতিপক্ষ দলের লক্ষ্য। সময় বিবেচনায় ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে পরের দলের রক্ষ্য নির্ধারণ করে থাকেন ম্যাচ রেফারিরা। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার পরে লক্ষ্য বদলে যাওয়ার ঘটনা ক্রিকেট ইতিহাসে নেই।
কিংবা লক্ষ্য না জেনেই ব্যাটিং করতে নেমেছে কোনো দল, এমন ঘটনাও ক্রিকেটে দেখা যায় না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই দুটো ব্যাপারই ঘটেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর বদলে গেছে বাংলাদেশের লক্ষ্য। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন, বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য কতো, সেটা জানতেনই না তারা।
নেপিয়ারে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের ২৮ রানে হেরে যাওয়ার ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের ব্যাটিং করার সময় দুবার বৃষ্টি হানা দেয়। ১৭.৫ ওভারে ১৭৩ রান তোলে স্বাগতিকরা। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৮ রান। ব্যাটিং শুরুর পর বদলে যায় বাংলাদেশের লক্ষ্য। জানানো হয় ১৬ ওভারে ১৭১ রান তুলতে হবে বাংলাদেশকে।
এ সময় ছন্দপতনই হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংসের। এমনকি পরিকল্পনাও ঠিকভাবে সাজাতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল। ১.৩ ওভার পর বিনা উইকেটে বাংলাদেশ ১২ রান তোলার পর খেলা থামান ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। ড্রেসিং রুমে ফিরে যান লিটন দাস ও নাঈম শেখ। পরে নতুন লক্ষ্য জানানো হয় বাংলাদেশকে।
এ নিয়ে মাহমুদউল্লাহ ম্যাচের পরে বলেছেন, 'বৃষ্টি আইনে আমাদের লক্ষ্য কতো হবে, সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। আমরা জানতাম না টার্গেট আসলে কতো। তবে খেলায় এসব হতে পারে। প্রথম ৫ ওভার আমরা সঠিক পথেই ছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখতে পারিনি।'
২৭ বলে ৫২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। নাঈম খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। এই দুই ব্যাটসম্যানের প্রশংসা করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'সৌম্য ও নাঈম ভালো ব্যাটিং করেছে। এরপর পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে আমরা জিততে পারতাম। তাসকিন দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছে, তার এই ক্যাচটি আমাদের আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছিল।'