মুন্নার ঐতিহাসিক জার্সি তিন লাখ টাকায় বিক্রি

করোনাভাইরাসের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত। সবখানে স্থবিরতা। সারা দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। খেটে খাওয়া এসব মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। এদের মধ্যে আছেন প্রয়াত ফুটবলার মোনেম মুন্নার স্ত্রী সুরভী মোনেম ও রেফারি তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান।
করোনাভাইরাস দুর্গতদের সাহায্যে মোনেম মুন্নার ঐতিহাসিক ২ নম্বর জার্সিটি নিলামে তোলো হয়েছিল। জার্সিটির ভিত্তি মূল্য ২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছিল নিলাম প্রতিষ্ঠান 'অকশন ফর অ্যাকশন'। শনিবারের নিলামে ৩ লাখ টাকায় জার্সিটি বিক্রি হয়।
নিলামে মুন্নার আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলা আরেকটি জার্সি বিক্রি হয় দুই লাখ ১০ হাজার টাকায়। দ্বিতীয় জার্সিটি কেনেন আবাহনীর সমর্থক ও এইচএসবিসি ব্যাংকের সিইও মাহবুব-উর রহমান।
রেফারি তৈয়ব হাসানের জার্সিও নিলামে তোলা হয়েছিল। এই জার্সিটির ভিত্তি মূল্যও ২ লাখ টাকা ছিল। জার্সিটি বিক্রি হয় ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। সাতক্ষীরার নাসিম ফারুক নামের একজন নিলাম থেকে জার্সিটি কিনে নেন।
নিলাম অনুষ্ঠানের ফেসবুক লাইভে এসে মুন্নার স্ত্রী সুরভী মোনেম বলেন, 'মুন্না বেঁচে থাকলে আরও বেশি করত। কেউ একজন আমাকে এসএমএস করে বলল, করোনাভাইরাসের এই সময়ে যদি মুন্নার জার্সি নিলামে তুলে দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারি, এ জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া।'
১৯৮৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ লাল দল। সেই টুর্নামেন্টে মুন্নার পরা ২ নম্বর জার্সিটি নিলামে তোলা হয়েছিল।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত খেলেন মোনেম মুন্না। তার নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চার জাতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। যা ছিল দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা। কিডনি জটিলতায় ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মারা যান সাবেক এই তারকা ডিফেন্ডার।
তৈয়ব হাসান সামসুজ্জামান ২০১৩ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম রেফারি হিসেবে সাফের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রেফারিং করা তৈয়ব হাসান সেই ম্যাচে যে জার্সিটি পরে খেলা পরিচালনা করেন, সেটা নিলামে তোলা হয়।