বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জা দিল ইংল্যান্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। তাদের দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা। সারা বছর বিভিন্ন দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলে বেড়ান তারা। এ কারণে এবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছিলেন অনেকে। কিন্তু তাদেরকেই ক্রিকেট শেখালো ইংল্যান্ড।
শনিবার সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে দুবাইতে ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে খেলতেই পারলেন না গেইল-পোলার্ডরা। ১৪.২ ওভারে মাত্র ৫৫ রানেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়দের ইনিংস গুটিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড।
আদিল রশিদ-টাইমাল মিলসদের বোলিং তোপে পড়ে অলআউট হওয়া এই ইনিংসটিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। তারা এর আগে কখনই ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়নি। ১০১ রান ছিল তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলীয় ৮ রানেই ওপেনার এভিন লুইসকে হারায়। প্রথম উইকেট হারিয়েই ওলট-পালট হয়ে পড়ে তাদের ইনিংস। একটু পরপরই উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবীয়রা।
উইন্ডিজের কোনো ব্যাটসম্যানই এই ভাঙনের সুর থামাতে পারেননি। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিস গেইল দুই অঙ্কের রান করেন। ক্যারিবীয় এই ব্যাটিং ঝড়ের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৩ রান। ইংল্যান্ডের দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে বাকিরা কেউ ১০ রানের কোটা পেরোতে পারেননি।
লেন্ডল সিমন্স ৩, এভিন লুইস ৬, শিমরন হেটমেয়ার ৯, ডোয়াইন ব্রাভো ৫, নিকোলাস পুরান ১, অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ৬, আন্দ্রে রাসেল ০, ওবেদ ম্যাকয় ০ ও রবি রামপাল ৩ রান করেন।
অবিশ্বাস্য বোলিং করেন আদিল রশিদ। ইংলিশ এই লেগ স্পিনার ২.২ ওভারে মাত্র ২ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার সেরা বোলিং। এ ছাড়া মঈন আলী ও টাইমাল মিলস ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডান।