Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
June 05, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JUNE 05, 2025
আজব শৈল্যবিদ্যা লোবোটমি

ইজেল

আন্দালিব রাশদী
07 May, 2023, 09:30 pm
Last modified: 07 May, 2023, 09:52 pm

Related News

  • ঋত্বিক ঘটকের কন্যা: এক অসমাপ্ত আলাপ
  • শোক হতে শ্লোক
  • আমার স্নিকার্স
  • রং চলিষ্ণু, রঙ্গিলা প্রেমিক...
  • কলম্বো সাহিব কা মকবারা–ফিরছে তার আদিরূপে

আজব শৈল্যবিদ্যা লোবোটমি

লোবোটমি নিয়ে হয়েছে অনেক বিতর্ক। আছে বহু আলোচিত লোবোটমির ঘটনা। অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই সার্জারি।
আন্দালিব রাশদী
07 May, 2023, 09:30 pm
Last modified: 07 May, 2023, 09:52 pm
ছবি: সংগৃহীত

মানসিক রোগ সারানোর জন্য সাইকোসার্জারি বিংশ শতকের তিরিশের দশকে মানুষের জন্যই উদ্ভাবিত। প্রধানত দুইভাবে এই শৈল্যচিকিৎসা করা হতো:

প্রি-ফ্রন্টাল লোবোটমি: এতে মাথার খুলির দুই পাশে ড্রিল করে ছিদ্র করার মাধ্যমে আইস পিকের মতো দেখতে লিউকোটোম নামের একটি চোখা ও ধারালো হাতিয়ারের সাহায্যে কিছু সুনির্দিষ্ট ব্রেইন টিস্যু কেটে ফেলা। এসব ব্রেইন টিস্যুর কারণে রোগীর মানসিক আচরণ অস্বাভাবিক হচ্ছে বলে মনে করা হতো।

ট্রান্সঅরবিটাল লোবোটমি: সার্জন চক্ষুগোলকের মধ্য দিয়ে লিউকোটোম ঢুকিয়ে হালকা অস্থি ভেদ করে একই কাজ সমাপ্ত করেন। অর্থাৎ অস্বাভাবিক মানসিক আচরণের জন্য দায়ী বলে মনে যওয়া কিছু টিস্যু কেটে বাদ দেন।

বিশেষ বিশেষ ধরনের মানসিক রোগে লিউকোটমির থেরাপিউটিক ভ্যালু আবিষ্কারের জন্য পর্তুগিজ স্নায়ুবিশেষজ্ঞ এন্টোনিও এগাস মনিজ ১৯৪৯ সালে নোবেল পুরস্কারও পান।

এই সার্জারি করাতে সম্মতিপত্রে একজন নারী রোগীর পক্ষে সম্মতিদাতা লিখেছেন, আমি অনুধাবন করতে পারছি যে এই অপারেশন রোগীর মানসিক অবস্থার ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু আমি এই প্রত্যাশায় অপারেশনটি করাতে চাই যে এর পর রোগীর অনেকটাই স্বস্তি ফিরে আসবে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হয়ে যাবে।

খুব কম সময়ের মধ্যে অপারেশনটা শেষ হলো। শুরুতে সন্তুষ্টি। রোগীর সন্তুষ্ট বাবা-মা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট অভিভাবকেরা কয়েক দিনের মধ্যেই দেখলেন, অপারেশনের পর রোগীর সার্বক্ষণিক ঝিমানো, হতভম্ব অবস্থা চলছে এবং প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারার মতো ব্যাপার ঘটছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগীর নতুন ধরনের মারাত্মক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, এমনকি কেউ কেউ মারাও যাচ্ছে। তাই লোবেটমির একজন হাই প্রোফাইল রোগীর প্রসঙ্গ এখানে এসেই যায়।

রোজমেরি কেনেডি

রোজমেরির বাবা রাষ্ট্রদূত জোসেফ কেনেডি, মা রোজ কেনেডি, ভাই প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, অপর ভাইদের মধ্যে একজন সিনেটর রবার্ট কেনেডি ও অন্যজন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি। জন এফ কেনেডি ও রবার্ট কেনেডি আততায়ীর হাতে নিহত। 

অতিকায় সিরিঞ্জ হাতে ডাক্তার রোমানিলি। আঠারো শতকের ব্যঙ্গচিত্র। শিল্পী: পিয়ের লিওনি ঘিজ্জি

রোজমেরির জন্ম ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯১৮, ৯ ভাইবোনের ৩ নম্বর। রোজ কেনেডির প্রথম দুই সন্তান স্বাভাবিকভাবে বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু তৃতীয় সন্তান জন্মের সময় জটিলতা দেখা দেয়, শহরে তখন ফ্লু মহামারি চলছিল, হাসপাতালে অভিজ্ঞ ডাক্তার ছিল না। একজন নার্স ভুলভ্রান্তির মধ্য দিয়ে ডেলিভারির কাজটা করে। জন্মলগ্নে শিশুটির অক্সিজেন-সংকট দেখা দেয়। স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে রোজমেরি ভালোভাবে বেড়ে উঠলেও তাকে যখন কিন্ডারগার্টেনে দেওয়া হয়, তার আচরণে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। স্কুলের বাইরে শিক্ষক রেখে তাকে ফোর্থ গ্রেড গণিত এবং ফিফথ গ্রেড মানের ইংরেজি শেখানো হয়।

১৯৩৮ সালে তার বয়স যখন ১৯ বছর, জোসেফ কেনেডিকে ব্রিটেনে আমেরিকায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হলো। রাষ্ট্রদূত যখন রাজা পঞ্চম জর্জের (রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা) সাথে সাক্ষাৎ করতে এলেন, তখন দুই মেয়ে রোজমেরি ও ক্যাথেরিনকে সাথে এনেছিলেন। লন্ডনে থাকাকালে রোজমেরিকে হার্ডফোর্ডশায়ারে একটি কনভেন্টে রাখা হয়েছিল। ১৯৩৯-এ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৪০-এ জোসেফ কেনেডি যখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান, মেয়ের অবস্থার ভীষণ অবনতি ঘটেছে ততদিনে। তিনি সহিংস হয়ে উঠেছেন। তার বৃদ্ধ দাদাকে ভয়ংকরভাবে আক্রমণ করে বসেন। তাকে এরপর কয়েকটি কনভেন্টে রাখা হয়। 

মেয়ের কারণে পরিবারের বদনাম হতে পারে, এ জন্য রোজমেরিকে বরাবর আড়ালেই রাখা হয়েছে। ১৯৪১-এর শরতে জোসেফ কেনেডি সে সময়কার সবচেয়ে খ্যাতনামা লোবোটমি বিশেষজ্ঞ ওয়াল্টার ফ্রিম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ডাক্তার ফ্রিম্যানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ডাক্তার জেমস ওয়াটস রোজমেরির প্রি-ফ্রন্টাল লোবোটমি করেন। অপারেশনের সময় সামান্য অ্যানেসসেথিয়া দেওয়া হয়, ডাক্তার ফ্রিম্যান রোজমেরির সাথে কথা বলতে থাকেন। তার মাথার খুলি দুদিক থেকে ছিদ্র করে ভেতরে লিউকোটোম ঢুকিয়ে মস্তিষ্কের অংশবিশেষ কেটে দেওয়া হয়।

লোবোটমি অপারেশন রোজমেরির সর্বনাশ ডেকে আনল। তার হাঁটাচলার শক্তি একেবারে রহিত হয় যায়। ধীরে ধীরে বাক্শক্তি লোপ পায় এবং তার বুদ্ধিবৃত্তিক মান স্ট্যান্ডার্ড টু-এর শিশুর পর্যায়ে নেমে আসে। কিছুকালের জন্য তাকে একটি প্রাইভেট সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে রেখে পরে উইসকনসিনের গ্রামাঞ্চলে তার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করে নার্সের তত্ত্বাবধানে স্থায়ীভাবে সেখানে রাখা হয়। জোসেফ কেনেডিকে নিয়ে লেখা গ্রন্থ 'দ্য পেট্রিয়ার্ক'-এ উল্লেখ করা হচ্ছে রোজমেরিকে উইসকনসিনের সেই বাড়িতে পাঠাবার পর প্রথম দশ বছর পরিবারের কেউ তাকে দেখতে এসেছেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২০১৫ সালে কেইট ক্লিকোর্ড লিখেন 'রোজমেরি: দ্য হিডেন কেনেডি ডটার'। একটি চিঠি আবিষ্কৃত হয় শিশু রোজমেরি বাবাকে লিখেছেন: বাবা, তোমাকে সুখী করার জন্য আমাকে যা করতে হবে, আমি তার সবই করব।

দুর্ভাগ্য, লোবোটমির পর তার জীবনটা সুখ-দুঃখহীন বেঁচে থাকা একজন মানুষের স্থবির জীবনে পরিণত হয়। ২০০৫ সালে ৮৬ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।

আলোচিত লোবোটমির ঘটনা

বিখ্যাত নাট্যকার টেনেসি উইলিয়ামসের প্রিয় বোন রোজের মানসিক সমস্যা দেখা দিলে তাকে লোবোটমি করানো হয়। তার জীবনেও নেমে আসে এমনই দুর্ভাগ্য। সিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়ে তার বোনের ১৯৩৯ সালে। ১৯৪৩ সালে বাবা-মা তাকে লোবোটমির জন্য ডাক্তারের কাছে পাঠায়। 

টেনেসি লিখেছেন: আমার বোন রোজ! তার মাথার খুলি কাটা হলো। তার মগজে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। আমি এখানে সিগারেট ফুঁকছি, আমার বাবা শয়তানের মতো হীন, হাজার মাইল দূরে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে।

পোল্যান্ডের বেহালাবাদক ও সুরকার জোসেফ হ্যাসিডের সিজোফ্রেনিয়া ধরার পর চিকিৎসার জন্য লন্ডন আনা হলো, তার বয়স তখন ২৬ বছর। লোবোটমি করা হলো এবং কয়েক দিনের মধ্যেই তার মৃত্যু ঘটল।

১৯৪৮ সালে লোবোটমির পরপরই মারা গেলেন সুইডিশ চিত্রশিল্পী সিগরিড হেরটেন।

কার্ল পানজরাম একজন আমেরিকান সিরিয়াল কিলার। শৈশবেই তার মানসিক বৈকল্য ধরা পড়লে লোবোটমি করানো হয়। তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মিনেসোটার একটি রিফর্মস স্কুলে। কার্ল তার আত্মজীবনীতে লেখেন, সেখানে তিনি বলাৎকারের শিকার হন। এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তার মনে এত ঘৃণা জন্মে যে তিনি সঙ্গোপনে আগুন দিয়ে স্কুলটিকে ভস্মীভূত করে ফেলেন। ৭ জুলাই ১৯০৫ তিনি এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটান। তবে কাজটি যে তিনি করেছেন তা কখনো ধরা পড়েনি। সিরিয়াল কিলার হিসেবে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রস্তুতি হিসেবে যখন তার মাথা কালো হুডে ঢেকে দেওয়া হয়, তখন তিনি বললেন, আমি যখন একটার পর একটা খুন করে যাচ্ছিলাম, তখন তোরা কোথায় ছিলি? 

১৮৪৮ সালে ফিনিয়াস গেইজ নামের একজন রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ফোরম্যান কাজ করার সময় একটা লৌহদণ্ড তার ফ্রন্টাল লোব ভেদ করে চলে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়নি। তিনি আরও ১২ বছর জীবিত ছিলেন কিন্তু তার ব্যক্তিত্ব বদলে যায়। তিনি আর আগের মানুষ থাকেননি। এই দুর্ঘটনাকে লোবোটমির একটি আনুষ্ঠানিক যুক্তি হিসেবে দাঁড় করানো হয়। সিজোফ্রেনিয়াগ্রস্ত মানুষের ব্যক্তিত্ব বদলে দিতে পারলে তার সমস্যা অনেকটাই মিটে যায়।

১৯৬০ সালে হাওয়ার্ড ডুলিকে যখন লোবোটমি করানো হয়, তার বয়স ১২ বছর। তার বয়স যখন ৬ বছর, মা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার ৪ বছর বয়স থেকে সিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়ে। বাবা আবার বিয়ে করেন। সৎমায়ের সাথে তার ভালো যাচ্ছিল না। বাবা ও সৎমা ২০০ ডলারের বিনিময়ে ডাক্তার ফ্রিম্যানকে দিয়ে তাকে লোবোটমি করাবার সিদ্ধান্ত নেন। তার বেলায় হলো ট্রান্স অরবিটাল লোবোটমি। দুই চক্ষুগোলকের সকেট দিয়ে ৭ সেন্টিমিটার ধারালো একটি হাতিয়ার মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। অপারেশনের পর তার খারাপ সময় কাটলেও তিনি উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করেন। লোবোটমির কারণে তিনি তার পূর্বস্মৃতির ওপর আস্থা রাখতে পারছিলেন না। এর মধ্যে চার্লস ফ্লেমিংকে সহযোগী করে 'মাই লোবোটমি' নামে স্মৃতিকথা লিখলেন, ২০০৭-এ বই প্রকাশিত হলো এবং তা বেস্ট সেলার্স লিস্টে চলে এল। অপারেশন ও পরবর্তী ভয়াবহ জীবনের বর্ণনা রয়েছে এই গ্রন্থে। তবুও ডুলি ভাগ্যবান, এখনো জীবিত আছেন। তিনি লিখেছেন, তার যে সমস্যা তা ওষুধ দিয়েই প্রশমন করা যেত, লোবোটমির মতো নির্মম অপারেশনের প্রয়োজন ছিল না।

লোবোটমির ভয়াবহতা যেসব সাহিত্যকর্মে উঠে এসেছে তার মধ্যে রয়েছে: 

রবার্ট পেন ওয়ারেনের উপন্যাস 'অল দ্য কিংস ম্যান', টেনেসি উইলিয়ামসের নাটক 'সাডেনলি লাস্ট সামার'; কেন কেইসির বিখ্যাত উপন্যাস 'ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুকুস নেস্ট', সিলডিয়া প্লাথের উপন্যাস 'বেল জার', এলিয়ট বেকারের 'আ ফাইন ম্যাডনেস'। 

১৯৮২-এর চলচ্চিত্র ফ্রান্সেস এবং ২০১৮-এর 'দ্য মাউন্টেইন'-এর বিষয় লোবোটমি। 'দ্য মাউন্টেইন'-এর ওয়ালেস ফিনেস চরিত্রটি মূলত ডাক্তার ফ্রিম্যানকে নিয়ে নির্মিত। পঞ্চাশের দশকে এন্টোনিও মনিজকে দেওয়া নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি উঠেছিল। মনিজ ১৯৩৫-এর ১২ সেপ্টেম্বর লিসবনের সান্তা মার্টা হাসপাতালে প্রথম লোবোটমি অপারেশনে সহায়তা করেন। তার হাতে বাতের প্রকোপ থাকায় তিনি নিজে কাজটা করেননি।

চল্লিশের দশকেই ইউরোপ ও আমেরিকায় এই শৈল্যচিকিৎসা সাড়া ফেলে দিযেছিল। তখন এর সাফল্য ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলেও ব্যর্থতাগুলো অনেক ক্ষেত্রেই ঢাকা পড়ে যায়। বিশেষ করে এন্টোনিও মনিজের নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি লোবোটমির আবেদন আরও বাড়িয়ে দেয়। নোবেল বিজয়ী এই বিজ্ঞানীর দুর্ভাগ্য সিজোফ্রেনিয়াগ্রস্ত তারই এক রোগী ১৯৩৯ সালে তাকে একাধিকবার গুলি করে। এরপর তিনি হুইলচেয়ারে বন্দী হয়ে পড়েন। তবে ১৯৫৫ পর্যন্ত এ অবস্থাতেই তিনি রোগীদের চিকিৎসা অব্যাহত রাখেন। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫ সালে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

লোবোটমি অপারেশনে সবচেয়ে অপখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার ওয়াল্টার ফ্রিম্যান (১৮৯৫- ১৯৭২), জন্ম সান ফ্রান্সিসকো, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেনসিলভানিয়া মেডিকেল স্কুল থেকে ডিগ্রি নিয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হবার স্বপ্ন দেখছিলেন। তার নানা উইলিয়াম কিন আমেরিকার সেরা সার্জনদের অন্যতম। তার বাবাও ডাক্তার ছিলেন। ফ্রিম্যান নোবেল বিজয়ী মনিজের অধীনেই কাজ শুরু করে লোবোটমিকেই কর্মজীবনের ব্রত করে নেন। সহযোগী হিসেবে নেন নিওরোসার্জন জেমস ওয়াটকে। একটার পর একটা অপারেশন ব্যর্থতা এবং ট্রান্স অরবিটাল অপারেশনে জেমস ওয়াটের অনীহার কারণে ১৯৫০ সালে দুজনের জোড় ভেঙে যায়। ডাক্তার ফ্রিম্যান ৫৭ বছর বয়সে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রাইভেট চিকিৎসা শুরু করেন। নিওরোসার্জারিতে লোবোটমির জন্য তিনি বিতর্কিত হলেও মনিজের সাথে ফ্রিম্যানের ব্যবহারিক সার্জারিতে অবদানের জন্যও তাকে স্মরণ করা হয়।

১৯৬৭ সালে একটি লোবোটমি অপারেশনে রোগীর মৃত্যুর পর তার সার্জারি করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। কিন্তু পেছনে পড়ে থাকে হাজার হাজার ভুক্তভোগীর আর্তনাদ। শেষ পর্যন্ত লোবোটমি নামের সর্বনাশা সাইকোসার্জারি নিষিদ্ধ হয়।
 

Related Topics

টপ নিউজ

লোবোটমি / ইজেল / শল্যবিদ্যা / শৈল্যবিদ্যা / অস্ত্রোপচার / আজগুবি চিকিৎসা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • নিরাপত্তা উদ্বেগে ১২ দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা
  • আঞ্চলিক পরমাণু জোট নিজ দেশে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে ইরান
  • ডিজিটাল ওয়ালেটের লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠান 'সমাধান'
  • টাকার নতুন নোটের খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্য, গ্রাহক হয়রানি চরমে
  • দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!
  • সাভার ট্যানারির কঠিন বর্জ্য থেকে জেলাটিন ও শিল্প প্রোটিন গুঁড়া উৎপাদন করবে চীনা কোম্পানি

Related News

  • ঋত্বিক ঘটকের কন্যা: এক অসমাপ্ত আলাপ
  • শোক হতে শ্লোক
  • আমার স্নিকার্স
  • রং চলিষ্ণু, রঙ্গিলা প্রেমিক...
  • কলম্বো সাহিব কা মকবারা–ফিরছে তার আদিরূপে

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

নিরাপত্তা উদ্বেগে ১২ দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

2
আন্তর্জাতিক

আঞ্চলিক পরমাণু জোট নিজ দেশে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে ইরান

3
বাংলাদেশ

ডিজিটাল ওয়ালেটের লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠান 'সমাধান'

4
অর্থনীতি

টাকার নতুন নোটের খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্য, গ্রাহক হয়রানি চরমে

5
অফবিট

দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!

6
অর্থনীতি

সাভার ট্যানারির কঠিন বর্জ্য থেকে জেলাটিন ও শিল্প প্রোটিন গুঁড়া উৎপাদন করবে চীনা কোম্পানি

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net