কে পাচ্ছেন রানির কোহিনুর?

নিজের অভিষেকের সময় যেন স্ত্রীকে 'রানি'র মর্যাদা দেওয়া হয়, এইজন্য অনেকদিন ধরেই রানিমাতার কাছে আকুতি জানাচ্ছিলেন প্রিন্স চার্লস। গত রোববার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজেই ঘোষণা দেন, তিনি চান ব্রিটেনের পরবর্তী রানি হিসেবে পরিচিত হোক ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, রানিমাতার মৃত্যুর পর যখন রাজা হিসেবে অভিষেক হবে এলিজাবেথপুত্রের, তখন এলিজাবেথের অমূল্য প্লাটিনাম ও হীরার মুকুটটি যাবে ক্যামিলার মাথায়।
১৯৩৭ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জের রাজ্যাভিষেকের সময় সংস্কার করা হয়েছিল কোহিনূর সমৃদ্ধ এই মুকুটকে।
রোববার ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণের ৭০তম বার্ষিকীতে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন এলিজাবেথ। গতকাল প্রিন্স চার্লসও এক বিবৃতিতে রানিমাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এত দিন ধারণা করা হচ্ছিল, প্রিন্স চার্লস রাজা হলে কুইন নয়, প্রিন্সেস কনসর্ট হিসেবে পরিচিত হবেন ক্যামিলা। তবে ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, রাজপরিবারের বাইরের সন্তান হলেও ক্যামিলাকে 'কুইন কনসর্ট' পদবি দেওয়ার জন্য মাকে অনেক আগেই রাজি করিয়েছেন চার্লস। 'কুইন কনসর্ট' পদবির অর্থ হলো ক্যামিলার ভবিষ্যৎ পরিচিতি হবে 'রানি ক্যামিলা'।
এই ঘোষণা ২০১৯ সালে প্রায় দিয়েই বসেছিলেন চার্লস। তবে শেষপর্যন্ত এই ঘোষণার জন্য রানির প্লাটিনাম জয়ন্তীকেই বেছে নেয় রাজপরিবার।
জানা যায়, রানিমাতার মুকুটে মোট দুই হাজার ৮০০টি হীরকখণ্ড রয়েছে। ১৮৫৬ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধে অটোমানদের সাহায্য করার জন্য রাণী ভিক্টোরিয়াকে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এই মুকুট উপহার দিয়েছিলে তুরস্কের সুলতান।
মুকুটের সামনের ক্রসটিতে রয়েছে ১০৫ ক্যারেটের কোহিনূর হীরা। এই হীরার উৎপত্তি ভারতে।
২০০৫ সালে চার্লসকে বিয়ে করেন ক্যামিলা। কিন্তু এর আগে দুজনেরই একবার করে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। চার্লসের প্রথম স্ত্রী প্রিন্সেস ডায়ানা প্যারিসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। দুর্ঘটনার এক বছর আগে, ১৯৯৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় এই দম্পতির। ওদিকে ক্যামিলার পূর্বের স্বামী ছিলেন একজন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা। নাম অ্যান্ড্রু পার্কার বোলস। ১৯৭৩ সালে বিয়ে করার দুই বছরের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় তাদের।
সূত্র: ডেইলি মেইল।