বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে রিভিয়ানের সংগ্রহ ছাড়াল ১০ বিলিয়ন ডলার

বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার (৭.৭৫ বিলিয়ন ইউরো) সংগ্রহের পর বৈদ্যুতিক যানবাহন নির্মাতা রিভিয়ান এখন নিউইয়র্কে ব্যবসা শুরু করতে প্রস্তুত। আজ বুধবার থেকে কোম্পানির শেয়ার নিউইয়র্কের শেয়ার বাজারে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৭৮ ডলার। ২০১২ সালে ফেসবুকের ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ের (আইপিও) পর কোনো মার্কিন কোম্পানির জন্য এটিই সবচেয়ে বড় শেয়ার ফ্লোটেশন।
রিভিয়ান চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই প্রথম গ্রাহকদেরকে তার বৈদ্যুতিক পিক-আপ ট্রাক সরবরাহ করা শুরু করে।
ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এই স্টার্টআপ কোম্পানির গত দু-বছরের লোকসানের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তবে ঝুলিতে এত লোকসান নিয়েও প্রতিষ্ঠানটি যে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ টানতে পেরেছে তার কারণ অনলাইন জায়ান্ট অ্যামাজনের সমর্থন।
আরও চমকপ্রদ খবর হলো, বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজারে আসা নতুন এই কোম্পানি ছোট ট্রাক, পিক-আপ ও এসইউভির ব্যবসায় মার্কিন গাড়িচালকদের প্রথম পছন্দ ফোর্ড ও জেনারেল মোটরসকেও প্রতিযোগিতায় পিছনে ফেলতে শুরু করেছে।
বেশ কয়েকটি মিডিয়ার তথ্য অনুসারে, কোম্পানিটির শেয়ারমূল্যের লক্ষ্যসীমা ছিল ৭২ থেকে ৭৪ ডলার। তবে প্রতিটি শেয়ারের দাম উঠেছিল ৭৮ ডলারে, যা পূর্বে অনুমিত দামের চেয়ে কিছুটা বেশি।
রিভিয়ানকে ইতোমধ্যেই ইলন মাস্কের টেসলার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে টেলসা তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে এনে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজারকে বদলে দিয়েছিল।
তবে বলে রাখা ভালো, রিভিয়ান আর টেসলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। রিভিয়ানের পণ্যগুলো টেলসার চেয়ে অনেক আলাদা; এবং তা ইচ্ছাকৃতভাবেই আলাদা। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা জোর দিয়ে বলছেন, কোম্পানিটি দিন দিন বড় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।
পিক-আপ ট্রাকের পাশাপাশি রিভিয়ান চলতি বছরের ডিসেম্বরেই বাজারে আনতে চলেছে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল (এসইউভি)। সেইসঙ্গে ২০২৩ সালে বৈদ্যুতিক ডেলিভারি ভ্যানও বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
রিভিয়ানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরজে স্কারিং বলেন, 'রিভিয়ান এমন পণ্য ও পরিষেবা তৈরি করে, যা আমাদের পৃথিবীকে কার্বন-নিরপেক্ষ শক্তি অর্জন ও পরিবহন ব্যবস্থা রূপান্তরে সহায়তা করে।'
২০০৯ সালে 'মেইনস্ট্রিম মোটরস' নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কোম্পানিটি। পরবর্তীতে ২০১১ সালে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'রিভিয়ান'। জানা যায়, 'ইন্ডিয়ান রিভার' থেকে এই নামের উৎপত্তি হয়েছে।