১৫ বছরে এডিপি-উন্নয়ন প্রকল্পের ২৪ বিলিয়ন ডলার চাঁদাবাজি-ঘুষ বাণিজ্যে হারিয়েছে: শ্বেতপত্র কমিটি

গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা ৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৪–২৪ বিলিয়নই (টাকার অঙ্কে প্রায় ১.৬১-২.৮ লাখ কোটি টাকা) রাজনৈতিক চাঁদাবাজি, ঘুষ এবং বাজেট বৃদ্ধিতে হারিয়ে গেছে বলে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
আগামীকাল (১ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ঠিক একদিন আগে এ তথ্য বেরিয়ে এলো।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, তাদের প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিষয় উল্লেখ করা হবে; বিশেষ করে, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা এবং আওয়ামী সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে দেশের বাজার থেকে যেভাবে পুঁজি হারিয়েছে– তার উল্লেখ থাকবে প্রতিবেদনে।
সোমবারের (২ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, শ্বেতপত্র কমিটির একজন সদস্য বলেছিলেন— এস আলম গ্রুপের মতো প্রভাবশালী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের ঋণ খেলাপি হওয়া সত্ত্বেও খেলাপিদের শ্রেণীবদ্ধকরণ বা ক্লাসিফিকেশন করতে বাধা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
কমিটির ওই সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে আরও বলেন, "এ ধরনের হস্তক্ষেপের কারণে এস আলম গ্রুপ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সন্দেহজনক পরিস্থিতিতেও বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে গেছে।"
কমিটি আরও জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থার তথ্য প্রকাশ করেনি; প্রকৃত পরিসংখ্যানের চেয়ে তা কমিয়ে প্রকাশ করেছে বিগত সরকার।