অর্থবছরের ৮ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হার ৩১.৭ শতাংশ; ১০ বছরে সর্বনিম্ন

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি এই আট মাসে বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে ৩১.১৭ শতাংশ; যা গত এক দশকের বেশি সময়ে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন হার।
গত অর্থবছরে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনের সময়েও এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিল ৩২.১০ শতাংশ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগসহ সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে বাস্তবায়নের হার ছিল সবচেয়ে কম।
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, এডিপিতে ৯ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে যার মাত্র ১৩.৮৮ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে।
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বরাদ্দের মাত্র ১৪.৭১ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তার বরাদ্দের ২০.৫৯ শতাংশ এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ২০.৮১ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে এই সময়ে।
জুলাই- ফেব্রুয়ারি সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করেছে ৮৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা।
গত ১২ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেন, "৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সহিংসতায় বেশ কিছুদিন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে। আর এ কারণে এডিপি বাস্তবায়ন হার চলতি অর্থবছরে কিছুটা কম।"
তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার ৭.৬৬ শতাংশ বা ১৭ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা বেড়েছে। এরমধ্যে সরকারি তহবিলের অর্থ বরাদ্দ বেড়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা বা ১২ শতাংশ। অন্যদিকে, বিদেশি সহায়তার অর্থ বরাদ্দ বেড়েছে ৮ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা বা ৫.৫১ শতাংশ।