ছয় বছরে মাথাপিছু ক্যালোরি গ্রহণ বেড়েছে: বিবিএসের প্রতিবেদন

বাংলাদেশের মানুষের দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণ বেড়ে ২,৩৯৩ কিলোক্যালোরি হয়েছে, ছয় বছর আগে ২০১৬ সালে যার পরিমাণ ছিল ২,২১০ কিলোক্যালোরি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ছয় বছরে দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণ বেড়েছে ১৮২.৬ কিলোক্যালোরি হারে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০১০ সালে দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণ ছিল ২,৩১৮ কিলোক্যালোরি, যদিও এটা পরের বছরগুলোয় কমে যায়। এরপর গত ছয় বছরে আবারো ৮.২৬ শতাংশ বেড়েছে।
ক্যালোরি গ্রহণের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যের সূচক হলো দৈনিক ২,১২২ ক্যালোরি। এ হিসাবে বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু ক্যালোরি গ্রহণ দারিদ্র্য সীমার উপরেই আছে।
ক্যালোরি গ্রহণের পাশাপাশি গত ছয় বছরে খাদ্য ক্রয়ের পেছনে পারিবারিক ব্যয়ও প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে।
আগে খাদ্যের পেছনে পরিবারগুলোর গড় ব্যয় ছিল মাসে ৭,৩৫৪ টাকা। ২০২২ সালে যার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৪,০০৩ টাকায়। অর্থাৎ, খাদ্যক্রয়ে গড় ব্যয় বেড়েছে ৬,৬৪৯ টাকা।
এই সময়ে পারিবারিক পর্যায়ে গড় ব্যয় বেড়েছে ৯৮.৪৬ শতাংশ। এরমধ্যে খাদ্য-বহির্ভুত খাতে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে ১০৬ শতাংশ।
খাদ্য-বহির্ভুত খাতে ব্যয় উচ্চহারে বাড়ায়, পরিবারগুলোর মোট ব্যয়ের মধ্যে খাদ্যবাবদ খরচ কমে ৪৫.৮ শতাংশ হয়েছে। ২০১৬ সালে পরিবারের মোট ব্যয়ের ৪৭.৭ শতাংশই হতো খাদ্যের পেছনে। ২০১০ সালে যা ছিল ৫৪.৮১ শতাংশ।