সরকারি খরচের চাপে সৌদির রাষ্ট্রীয় মজুদের পরিমাণ কমেছে

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় দেশ সৌদি আরব। খনিজ তেল সমৃদ্ধ এই দেশটি চলমান করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে তেলের দরে ধস নামায় আর্থিক সঙ্কটে পড়ে। এ সঙ্কট থেকে উত্তরণে নানা বিনিয়োগ কর্মসূচিতে বাড়তি অর্থ খরচ করার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি শাসকগোষ্ঠী।
এ অর্থ দেশটির সার্বভৌম তহবিল বিনিয়োগ করলেও যোগান দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার। যার অংশ হিসাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ১৫ হাজার কোটি রিয়াল বা ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের অর্থ দেয়।
এর ফলে গত এপ্রিল শেষে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা ও অন্যান্য সম্পদের মজুদ ধীর গতিতে হলেও আগের চাইতে নিম্নমুখী অবস্থানে নেমেছে। খবর ব্লুমবার্গের।
রোববার সৌদি আরবের মুদ্রানীতি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিলে আরব বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিটির মোট বৈদেশিক সম্পদের পরিমাণ সাড়ে ৪ শতাংশ কমে। মার্কিন ডলারে এর পরিমাণ ২ হাজার ৯০ কোটি।
এর আগে গত মার্চেও সৌদি মজুদে ধ্বস দেখা দেয়। ওই মাসে ২৭শ কোটি ডলার অবনতি লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ, সার্বিক পরিধি কমে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
এদিকে বাজেট লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে বন্ডের মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ ঋণ নিতে চলেছে সৌদি সরকার। দেশটির শাসকেরা ১২ হাজার কোটি রিয়ালের মধ্যে ঘাটতি সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবে বাড়তি ঋণ নিয়ে।
একই সময়, বাড়তি বিনিয়োগের যে স্রোতের তোড়ে রাষ্ট্রীয় মজুদ কমেছে, তার অধিকাংশই বিনিয়োগ করা হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বে। সৌদির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড এখন শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে কার্নিভয়াল, বিপি পিএলসি, বোয়িং কো, সিটিগ্রুপ ইঙ্ক এবং ফেসবুক ইঙ্কের মতো বড় বাণিজ্যিক গ্রুপগুলোয়।