বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন জ্বালানি চালিত যাত্রীবাহী বিমানের সফল পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন

হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ প্রথমবারের মতো সফল পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে। আকাশপথে যাত্রী পরিবহনের বাণিজ্যিক শিল্পকে কার্বন নিঃসরণ শূন্য করার লক্ষ্যে এটি একটি বড় অগ্রগতি।
জিরোএভিয়া সংস্থার তৈরি পাইপার এম-শ্রেণির বিমানটি ছয়জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। এতে এমন কিছু যন্ত্র সংযোজন করা হয়েছে, যা একাধারে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন থেকে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের একটি রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন এবং অবতরণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এটি।
জিরোএভিয়া সংস্থা জানায়, 'বিশ্বে এই প্রথমবার হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল চালিত কোনো যাত্রীবাহী বিমান উড্ডয়ন করেছে।' অবশ্য, যাত্রী পরিবহনে সক্ষম এ প্রযুক্তির বেশকিছু বিমান ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে। তবে এভিয়ার বিমানটি এপর্যন্ত সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড করেছে। খবর সিএনবিসির।
ইতোপূর্বে, ২০১৬ সালে জার্মানির স্টুটগার্ড বিমান বন্দর থেকে চারজন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করেছিল HY4 নামক একটি উড়োজাহাজ। জার্মান এরোস্পেস সেন্টার এবং তাদের সহযোগী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এটি তৈরি করে।
গত বৃহস্পতিবার পাইপার এম- বিমান উড্ডয়ন করেছিল ইংল্যান্ডের ক্রানফিল্ড বিমান বন্দর থেকে। এখানেই জিরোএভিয়ার মূল গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্র অবস্থিত। রাজধানী লন্ডন ৫০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এলাকাটি। বিমানবন্দরের মালিক ক্রানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
জিরোএভিয়ার মুখ্য নির্বাহী ভাল মিফতাখোভ এক বিবৃতিতে বলেন, 'হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল জ্বালানি উৎস হিসেবে ব্যবহার করা বেশকিছু পরীক্ষামূলক এর আগেও বিমান উড্ডয়ন হয়েছে। কিন্তু, তাদের বাণিজ্যিক যাত্রীধারণের সংখ্যা বাজারে প্রভাব ফেলার মতো ছিল না। তবে, আমাদের তৈরি পাইপার-এম অচিরেই বানিজ্যিকভাবে লাভজনকভাবে কার্বন শূন্য যাত্রী পরিবহনের সম্ভাবনায় নতুন দিগন্ত যোগ করেছে।'
তিনি আরও জানান, বর্তমানে জিরোএভিয়া হাইফ্লায়ার নামক এক প্রক্লপের আওতায় ইন্টেলিজেন্ট এনার্জি এবং ইউরোপীয়ান মেরিন এনার্জি সেন্টারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।