Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
December 20, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, DECEMBER 20, 2025
বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির উত্তাপ লেগেছে দেশের শিল্পেও

অর্থনীতি

সামচ্ছুদ্দিন ইলিয়াস & ওমর ফারুক
13 October, 2021, 12:10 am
Last modified: 13 October, 2021, 02:58 pm

Related News

  • বিদেশি সুতার ডাম্পিং ও ব্যয় বৃদ্ধি: অস্তিত্ব সংকটে দেশীয় স্পিনিং শিল্প, সুরক্ষার দাবি
  • নীতি জটিলতা, আমদানি সিন্ডিকেট, নকল পণ্য আটকে দিচ্ছে ৪১ হাজার কোটি টাকার মেডটেক বাজার
  • অ্যাগ্রো কেমিক্যালে স্বাবলম্বী হতে তিন সুবিধা চান উৎপাদকেরা
  • ভ্যাট বৃদ্ধির পরিকল্পনায় এনবিআর; এই গ্রীষ্মে দাম বাড়বে এসি, ফ্রিজের মতো পণ্যের
  • ভালো ফলনের পরও কেন চালের দাম বাড়ছেই

বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির উত্তাপ লেগেছে দেশের শিল্পেও

মহামারি-পরবর্তী আর্ন্তজাতিক বাজারে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়েনি জোগান। ফলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। এতে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে এসব পণ্যের দাম।
সামচ্ছুদ্দিন ইলিয়াস & ওমর ফারুক
13 October, 2021, 12:10 am
Last modified: 13 October, 2021, 02:58 pm

আর্ন্তজাতিক বাজারে শিল্পের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি

আন্তর্জাতিক বাজারে শিল্প কাঁচামালের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যাওয়ায় দেশের নির্মাণশিল্পে—বিশেষ করে সিমেন্ট ও ইস্পাতের রডের দামে মারাত্মক চাপে ফেলতে চলেছে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

দেশের বাজারে ইতিমধ্যেই দামবৃদ্ধির প্রভাব দেখা গেছে। কমে গেছে এসব পণ্যের বিক্রি। তার প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দামবৃদ্ধির কারণে দেশের সিমেন্ট কারখানাগুলো প্রতি মাসে ৩০০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেচারার অ্যাসোসিয়েশেনের (বিসিএমএ) প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। 

তিনি জানান, ২০২২ সালের আগে দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

স্থানীয় বাজারেও কাঁচামালের দামবৃদ্ধির কারণে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পেয়েছে ভোক্তাপণ্যের দাম। এতে বিক্রি কমে যাচ্ছে। উৎপাদিত পণ্য জমা হচ্ছে গুদামে। বাধ্য হয়ে উৎপাদন সীমিত করতে হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠানকে।

এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন শিল্পমালিকরা। তারা বলছেন, পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে পণ্য বিক্রি কমে। ফলে অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, 'এই অবস্থা চলতে থাকলে ৩০ শতাংশ সিমেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।'

দেশের বাজারে বর্তমানে ইস্পাত তৈরির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল স্ক্র্যাপ লোহা বিক্রি হচ্ছে প্রতি টন ৫০ হাজার টাকা দামে। যা এক বছর আগে ৩০-৩২ হাজার টাকায় পাওয়া যেতো। এর ফলে ভোক্তা পর্যায়ে এক বছরে ইস্পাতের দাম বেড়েছে ২০ হাজার টাকা।

এ নিয়ে দেশের প্রথম সারির ইস্পাত উৎপাদক কেএসআরএম-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, 'ভোক্তার ওপর খরচের চাপ যখন বাড়বে, তখন সে খরচ কমিয়ে আনতে বাধ্য হবে। তখন অর্থনৈতিক চক্র মন্থর হবে।'

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বাশার চৌধুরী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে গত তিন মাস ধরে বেশ কিছু ভোগ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক রকম চড়া।

তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজারে ৪৫০ ডলারের প্রতি টন ভোজ্যতেল (পামঅয়েল) এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০০ ডলারে। একইভাবে টনপ্রতি ২৬৫ ডলারের গম এখন ৪৫৫ ডলার এবং টনে ৫৫০ ডলারের মসুর ডাল ৯৫০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, ডলারের দাম ও জাহাজভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।'

তিনি আরো বলেন, দেশে চাহিদার তুলনায় ভোগ্যপণ্যের আমদানি ও সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। কিন্তু বাড়তি দামে পণ্য কেনায় আমদানিকারকরাও বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম না কমলে দেশেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন এই আমদানিকারক।

মহামারি-পরবর্তী আর্ন্তজাতিক বাজারে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়েনি জোগান। ফলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। এতে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে এসব পণ্যের দাম। 

গত তিন মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ, এমনকি তিনগুণ পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। আর্ন্তজাতিক বাজারে পণ্যের বুকিং দরবৃদ্ধি, ডলারের দাম ও জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ভোগ্যপণ্য ও কাঁচামালের দাম অস্থির হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন আমদানিকারক ও দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা।

তারা বলেন, এই সবগুলো কারণ মিলিয়ে পণ্য ও কাঁচামালের দামকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীজুড়ে জ্বালানি সংকট শুরু হয়েছে। 'করোনা-পরবর্তী বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক মন্দা থেকে মুক্তি পেতে নানাভাবে চেষ্টা করছে এবং অর্থনৈতিক প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে এই মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এটা থেকে চটজলদি মুক্তি পাওয়া যাবে না,' বলেন তিনি।

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলি। এর অধীনে রয়েছে ৩০টির বেশি কোম্পানি। ফ্ল্যাট স্টিল, লং স্টিল, ফ্লোট গ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম, টেক্সটাইলস, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি শোধনাগার, আর্থিক পরিষেবা, কৃষি ও অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায় জড়িত এসব প্রতিষ্ঠান। 

কিন্তু আর্ন্তজাতিক বাজারে ঢেউটিনের কাচাঁমালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ও বিক্রির দাম সমন্বয় নিয়ে তারাও শঙ্কিত।

পিএইচপি শিল্প পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আমির হোসেন সোহেল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'বিশ্ববাজারের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় বাজারে এলপিজি গ্যাসের দাম হঠাৎ বেড়েছে। আগে বোতলপ্রতি এলপিজির দাম ৯৯০ টাকা হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই তা এখন সাড়ে ১১শ' টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মাসে আমাদের এমন হাজার হাজার বোতল গ্যাসের চাহিদা রয়েছে, বাড়তি দামে কিনলে উৎপাদনের খরচও বাড়বে।' 

একইভাবে, করোগেটেড শিটের প্রধান কাঁচামাল এইচআর কয়েলের দাম দুই বছরের মধ্যে টনপ্রতি ৪০০ ডলার থেকে ১ হাজার ২০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আরেক গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ফসফরিক এসিডের প্রতি কেজির মূল্য ছয় মাসের ব্যবধানে ১৯০ থেকে ৪৩০ টাকায় পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

'বৈশ্বিক পর্যায়ে দুর্বল প্রবৃদ্ধির মধ্যেই ধারাবাহিক দরস্ফীতির ঘটনা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাই বিশ্ববাজার পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখছি। আমাদের টার্গেট কাস্টমারদের ক্রয়ক্ষমতার দিকেও দৃষ্টি দিতে হচ্ছে। 

'অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা, তবে ভেঙে পড়িনি। হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসায় নেমেছি, তাই অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই বর্তমান সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। তবে চলমান প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে আমাদের সরকারি নীতি-সহায়তাও দরকার,' যোগ করেন মোহাম্মদ আমির হোসেন সোহেল।

এউ শিল্পপতি আরও বলেন, কাঁচামালের আকাশছোঁয়া দরে উৎপাদন খরচ লাগামহীন হয়ে উঠলেও, বাজারে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা কমে আসছে। পণ্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার ফলেই কমছে বিক্রিবাট্টা।

তার আশঙ্কা, সংকট আরও ঘনীভূত হলে বিক্রিবাট্টায় বড় ধস নামবে।

এ ব্যাপারে পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোহসিন বলেন, ' বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সংকটের ঘূর্ণাবর্তে পড়বে বলে আমার ভয় হচ্ছে। বাজারে পণ্যের তেমন চাহিদা নেই, অথচ দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিক্রি না থাকলেও উচ্চ কর পরিশোধ করতে হচ্ছে। 

'অথচ দাম বাড়ার পরও বিক্রি না বাড়লে আমাদের সবার মধ্যেই অনুশোচনা কাজ করে। অবিক্রীত পণ্যের মজুদ স্থবিরতার জন্ম দেবে।'

মহামারিকাল বিবেচনায় বর্তমান সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি বিশেষায়িত রোডম্যাপ তৈরির পরামর্শ দেন পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান।

তবে ড. মইনুল ইসলাম বলেন, নতুন পরিকল্পনা নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। 'সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটা একদিকে যেমন বিশ্ব অর্থনীতি মন্দা থেকে উঠে আসার লক্ষণ, ঠিক তেমনি প্রভাব ফেলছে জ্বালানি সংকট। তাই তড়িঘড়ি করে নয়, বরং চিন্তা-ভাবনা করে সমাধানের উপায় খুঁজতে হবে। ব্যবসায়ীদের মতানুযায়ী স্বল্প-মেয়াদী কোনো সুবিধা দেওয়া উচিত হবে না।

ইস্পাত শিল্প
দেশের বাজারে বর্তমানে স্ক্র্যাপ ইস্পাত বিক্রি হচ্ছে প্রতি টন ৫০ হাজার টাকা দামে, যা এক বছর আগে ৩০-৩২ হাজার টাকায় পাওয়া যেত।

এ নিয়ে দেশের প্রথম সারির ইস্পাত উৎপাদক কেএসআরএম-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়ায় সব কাঁচামালের ক্ষেত্রে জটের সৃষ্টি হয়েছে।

এই জট সহসাই ছাড়ানো সম্ভব হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, 'একটি ধারাবাহিক সরবরাহ চেইন যখন অনেকদিন যাবৎ বন্ধ থাকে, তখন অনেক পণ্য জমে যায়। জাহাজের সংখ্যা আগের মতোই আছে। জট কমাতে বন্দর সক্ষমতার দ্বিগুণ জাহাজ ভিড়িয়ে পণ্য স্থানান্তর করাও সম্ভব নয়।'

জটের কারণে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'উৎপাদন গতি হারিয়েছে। দামের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা কখনো কারও জন্য ভালো হবে না। পণ্যের দাম সহনশীল পর্যায়ে আসতে হবে। নাহয় সামগ্রিক অর্থনীতি মন্থর দশায় পড়বে। 

'স্টিল যখন টনপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিল, তখন মানুষ সহজেই বাড়িঘর বানাচ্ছিল। এখন এই খরচ বেড়ে হয়ে গেছে ৭২ হাজার টাকা। ফলে চাইলেই এখন বাড়ি বানাতে পারছেন না অনেকে। অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।'

সিমেন্ট
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে গত তিন মাসে সিমেন্ট ক্লিংকারসহ অন্যান্য কাঁচামালে (ভাড়াসহ) টনপ্রতি ২০ ডলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। 

তিন মাস আগে দেশের বাজারে ৫০ কেজির এক বস্তা সিমেন্ট বিক্রি হতো ৪২০ টাকায়। এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। প্রতি বস্তা সিমেন্টে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৪০ টাকা লোকসান দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেচারার অ্যাসোসিয়েশেনের (বিসিএমএ) প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, দেশে প্রতি মাসে ৪০ লাখ টন সিমেন্টের চাহিদা রয়েছে। 

তিনি আরও জানান, সিমেন্ট ক্লিংকার তৈরি হয় কয়লা থেকে। গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দাম বেড়েছে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। এর প্রভাবে সিমেন্ট তৈরির খরচও বেড়েছে। 

এছাড়া আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে জাহাজভাড়াও বেড়েছে শতকরা ৫০ ভাগ। সেইসঙ্গে পণ্যের সরবরাহও ব্যাহত হচ্ছে।

ভোগ্যপণ্য
অস্থিরতা চলছে ভোগ্যপণ্যের বাজারেও। 

গত তিন মাসে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ৩৪-৪২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। 

ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারিবাজার খাতুনগঞ্জে বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা পামতেল বিক্রি হচ্ছে ১২২ টাকায়, পাম সুপার অয়েল ১২৪ টাকায় এবং সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৩২ টাকা দামে। তিন মাস আগে পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬১ টাকা দামে। গত তিন মাসে ১৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৬ টাকায়।

বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কানাডার গম বিক্রি হচ্ছে ৩৯ টাকা দামে। তিন মাস আগে একই মানের গম বিক্রি হয়েছে ২৭ টাকার কমে। 

তিন মাস আগে বাজারে প্রতি কেজি আমদানিকৃত মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ৫৫-৫৮ টাকায়। কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে একই মানের মসুর ৮২-৮৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বাশার চৌধুরী বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক রকম চড়া। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজারে ৪৫০ ডলারের প্রতিটন ভোজ্যতেল (পামঅয়েল) এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০০ ডলারে। একইভাবে টনপ্রতি ২৬৫ ডলারের গম এখন ৪৫৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

এলএনজি
রেকর্ড মূল্যে এলএনজি আমদানি করায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংকট তো আছেই।

আকাশছোঁয়া এলএনজির দাম বিদ্যুতসহ বিভিন্ন পণ্যের খরচও বাড়িয়ে দিয়েছে।

দুই মাস আগে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম প্রতি এমএমবিটিইউ-তে ১৩-১৫ ডলারের কাছাকাছি ছিল।

কিন্তু অক্টোবরের জন্য বাংলাদেশ রেকর্ড মূল্যে দুটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কার্গো কিনেছে।

প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান, উৎপাদন, পরিবহন, আমদানি ও বিক্রির দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় তেল কোম্পানি পেট্রোবাংলা অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ডেলিভারির জন্য ট্রেডার ভিটলের কাছ থেকে থেকে একটি কার্গো কিনেছিল। প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের (এমএমবিটিউ) দাম পড়েছে ৩৫ দশমিক ৮৯ ডলার। গানভরের কাছ থেকে অক্টোবরের শেষের দিকে ডেলিভারি নেওয়ার জন্য আরেকটি কার্গো কেনা হয়েছে। সেখানে প্রতি এমএমবিটিউয়ের দাম পড়েছে ৩৬ দশমিক ৯৫ ডলার।

পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা জানান, প্রথম কার্গোটি শীঘ্রই বাংলাদেশে পৌঁছাবে। আর দ্বিতীয়টির ডেলিভারি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তবে নভেম্বরে আরও কার্গো কিনবে কি না, সে ব্যাপারে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

শিল্প চাহিদা পূরণের চেয়ে জন্য দাম বেশি পড়লেও সরকার স্পট মার্কেট থেকে এলপিজি কিনবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলার একটি সূত্র।

এদিকে, বিশ্ববাজারে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে এলএনজিতে সরকারি ভর্তুকি বেশি দিতে হবে।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে পেট্রোবাংলা পূর্বাভাস দিয়েছিল যে ভর্তুকি হিসেবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। কিন্তু এখন প্রতিষ্ঠানটির ধারণা, ভর্তুকির পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।


  • টিবিএসের চট্টগ্রাম ব্যুরোর শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এই প্রতিবেদন তৈরিতে সাহায্য করেছেন।
     

Related Topics

টপ নিউজ

কাঁচামাল / মূল্যবৃদ্ধি / আন্তর্জাতিক বাজার / দেশীয় শিল্প / স্থানীয় শিল্প

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ফাইল ছবি
    কর্মসূচি স্থগিত, রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক
  • ছবি: মুমিত এম
    'অস্তিত্ব সঙ্কটে' টেক্সটাইল খাত: টিকে থাকতে 'সেফগার্ড ডিউটি' ও ১০ শতাংশ প্রণোদনা চান মালিকরা
  • আজ প্রকাশ হয়নি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা, অনলাইন সংস্করণও বন্ধ
    আজ প্রকাশ হয়নি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা, অনলাইন সংস্করণও বন্ধ
  • ছবি: মেহেদী হাসান
    ‘ভেতরে আটকে আছি; আপনারা মেরে ফেলছেন’: ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন, কর্মীদের বিভীষিকাময় রাত
  • ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    সংবাদমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা, ‘মব ভায়োলেন্স’ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সরকারের
  • প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    দেশের শীর্ষ দুই গণমাধ্যমের ওপর হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল: প্রধান উপদেষ্টা

Related News

  • বিদেশি সুতার ডাম্পিং ও ব্যয় বৃদ্ধি: অস্তিত্ব সংকটে দেশীয় স্পিনিং শিল্প, সুরক্ষার দাবি
  • নীতি জটিলতা, আমদানি সিন্ডিকেট, নকল পণ্য আটকে দিচ্ছে ৪১ হাজার কোটি টাকার মেডটেক বাজার
  • অ্যাগ্রো কেমিক্যালে স্বাবলম্বী হতে তিন সুবিধা চান উৎপাদকেরা
  • ভ্যাট বৃদ্ধির পরিকল্পনায় এনবিআর; এই গ্রীষ্মে দাম বাড়বে এসি, ফ্রিজের মতো পণ্যের
  • ভালো ফলনের পরও কেন চালের দাম বাড়ছেই

Most Read

1
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ

কর্মসূচি স্থগিত, রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক

2
ছবি: মুমিত এম
অর্থনীতি

'অস্তিত্ব সঙ্কটে' টেক্সটাইল খাত: টিকে থাকতে 'সেফগার্ড ডিউটি' ও ১০ শতাংশ প্রণোদনা চান মালিকরা

3
আজ প্রকাশ হয়নি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা, অনলাইন সংস্করণও বন্ধ
বাংলাদেশ

আজ প্রকাশ হয়নি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা, অনলাইন সংস্করণও বন্ধ

4
ছবি: মেহেদী হাসান
বাংলাদেশ

‘ভেতরে আটকে আছি; আপনারা মেরে ফেলছেন’: ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন, কর্মীদের বিভীষিকাময় রাত

5
ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

সংবাদমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা, ‘মব ভায়োলেন্স’ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সরকারের

6
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

দেশের শীর্ষ দুই গণমাধ্যমের ওপর হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল: প্রধান উপদেষ্টা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net