বসের ওপর খেপে গিয়ে তেলের ডিপোতে আগুন দিলেন কর্মী

তেলের ডিপোতে কাজ করতেন থাইল্যান্ডের এক নারী। খেপে গিয়ে তিনি ওই তেলের ডিপোতেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিজের কর্মক্ষেত্রে কেন আগুন দিলেন মহিলা? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে যা বেরিয়ে এল, তাতে তাজ্জব তারাও!
কারণ আর কিছুই না, স্রেফ বসের ওপর রাগ করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন অ্যান শ্রিয়া নামে ৩৮ বছর বয়সি ওই কর্মী। আর বসের ওপর ঝাল মেটানোর খেসারত দিতে গিয়ে পুড়ে ছাই হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।
থাইল্যান্ডের নাখোন পাথোম প্রদেশে এক তেলের ডিপোতে কাজ করতেন অ্যান শ্রিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছিলেন বস্। প্রতিদিন বসের ধমকাধমকি আর বকুনিতে রীতিমতো ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে ওঠেন শ্রিয়া।
গত ২৯ নভেম্বরও তেমনই এক দিন কাটে শ্রিয়ার। সকালে অফিসে ঢুকতেই বস্ শুরু করেন ধমাধমকি। সকাল সকাল ধমক খেয়ে শ্রিয়ার মেজাজ গেল খিঁচড়ে।
তারপর দুপুরের বিশ্রামের পর কাজে ফিরে আবার এক দফা ধমক খেলেন। আর সহ্য হলো না, ভেঙে গেল শ্রিয়ার ধৈর্যের বাঁধ। সোজা গিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন তেলের ডিপোতে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একটুকরো কাগজ হাতে তেলের গুদামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন শ্রিয়া। তার খানিক পরই তাকে ক্লান্ত-শ্রান্ত অবস্থায় হেঁটে ফিরে আসতে দেখা যায়। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই কানফাটা বিস্ফোরণ আর আগুনের লেলিহান শিখা। এমন বিশাল আগুনই লেগেছিল যে, গোটা প্রদেশ থেকে আকাশে তাকালেই দেখা যাচ্ছিল দাউদাউ আগুন।
৪০টি ফায়ার ব্রিগেড ইঞ্জিন টানা দুদিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় কোটি টাকার বেশি। পুলিশ শ্রিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, রাগের মাথায় কাগজে আগুন ধরিয়ে তা তিনি ছুড়ে দেন তেলের পিপার উপর। তারপরই ধরে যায় বিশাল আগুন।