Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
October 29, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, OCTOBER 29, 2025
‘ভয়ের প্যারাডক্স’: যেভাবে হরর সিনেমা মানসিক উদ্বেগ কমাতে পারে

অফবিট

বিবিসি
27 October, 2025, 04:30 pm
Last modified: 27 October, 2025, 05:39 pm

Related News

  • ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সুপারিশ বাদ দিয়ে দুদক অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনে টিআইবির উদ্বেগ
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সবার প্রতি আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
  • খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উদ্বেগ, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি
  • রাজনৈতিক দলগুলোর আত্মজিজ্ঞাসার এখনই সময়: টিআইবি
  • চীনের বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের আসল লক্ষ্য কি শুধুই পানি নিয়ন্ত্রণ?

‘ভয়ের প্যারাডক্স’: যেভাবে হরর সিনেমা মানসিক উদ্বেগ কমাতে পারে

কিছু প্রমাণ বলছে, ভয়ের গল্পগুলো আমাদের মস্তিষ্কের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত, যা আমাদের অনিশ্চয়তার সাথে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
বিবিসি
27 October, 2025, 04:30 pm
Last modified: 27 October, 2025, 05:39 pm
ছবি : বিবিসি

হঠাৎ চমকে দেওয়া দৃশ্য বা রক্তারক্তি হয়তো মানসিক শান্তির জন্য সেরা উপায় বলে মনে হয় না, কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, হরর বা ভয়ের সিনেমা আসলে মানসিক উদ্বেগের সময়ে আদর্শ থেরাপির মতো কাজ করতে পারে।

অনেকেরই কৈশোরের এমন কোনো রাত মনে থাকতে পারে, যখন বন্ধুদের সাথে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা ভয়ের কারণে মাটি হয়ে গিয়েছিল। যেমন ধরুন, যদি কেউ 'দ্য এক্সরসিস্ট'-এর মতো ভয়ঙ্কর কোনো সিনেমা নিয়ে আসে, তাহলে পরের দুই ঘণ্টা হয়তো চোখ ঢেকেই কাটাতে হয়। যতবারই ভয়ে সিট থেকে লাফিয়ে ওঠার মতো পরিস্থিতি হয়, ততবারই মনে প্রশ্ন জাগে, অন্যরা কীভাবে এমন হাড় হিম করা একটি বিষয় দেখে এতটা আনন্দ পায়?

দার্শনিক এবং মনোবিজ্ঞানীরাও ঠিক এই প্রশ্নটি নিয়েই বহু বছর ধরে ভেবেছেন। সাধারণ যুক্তি বলে, ভয় নামক অনুভূতিটি আমাদের সেই সমস্ত জিনিস থেকে সাবধান করার জন্য তৈরি হয়েছে, যা আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এটি আমাদের নিজেদের এবং প্রিয়জনদের ক্ষতি করতে পারে এমন যেকোনো বিপদ এড়াতে সাহায্য করে। আর একারণেই ভয় আমাদের শরীরে 'ফাইট-অর-ফ্লাইট' (লড়ো অথবা পালাও) প্রতিক্রিয়া চালু করে দেয়।

কিন্তু হ্যালোউইনের মতো উৎসবের সময় ঘনিয়ে এলে, আমাদের অনেকেই ইচ্ছে করে নিজেদের ভয় দেখানোর নতুন নতুন উপায় খুঁজি। আমরা এমন সব সিনেমা গোগ্রাসে গিলি, যা আমাদের হৃদপিণ্ডকে মুখের কাছে নিয়ে আসার জন্যই তৈরি। জম্বিদের তাণ্ডব থেকে শুরু করে রক্তারক্তি—শিরদাঁড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ঠান্ডা স্রোতের অনুভূতিটা আমরা ভালোবাসি। আর এই কারণেই ভয়ের সিনেমা হলিউডের সবচেয়ে লাভজনক একটি জনরা।

আমাদের মধ্যে কেউ কেউ হরর সিনেমার প্রতি স্বভাবত আকৃষ্ট হলেও, অনেকেই সেগুলো এড়িয়ে চলে । সূত্র: সংগৃহীত

"ভয়ের এই প্যারাডক্স (আপাতদৃষ্টিতে স্ববিরোধী কিন্তু সত্য) একটি বহু পুরোনো ধাঁধা," বলেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি এবং টরন্টো ইউনিভার্সিটির গবেষক মার্ক মিলার। "এমনকি মহান দার্শনিক অ্যারিস্টটলও বলেছিলেন, এটা কত অদ্ভুত যে আমরা বিপজ্জনক, বিরক্তিকর, ক্ষতিকর এবং ভয়ঙ্কর জিনিস এড়িয়ে চলার জন্য তৈরি হয়েছি, অথচ আমরা এমন সব জায়গায় চুম্বকের মতো আকৃষ্ট হই যেখানে আমরা এই ভয়ঙ্কর জিনিসগুলোর কাছে আসি।"

গত এক দশকে মনোবিজ্ঞানীরা অবশেষে এই রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছেন। কিছু প্রমাণ বলছে, ভয়ের গল্পগুলো আমাদের মস্তিষ্কের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত যা আমাদের অনিশ্চয়তার সাথে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক ফলাফলগুলো আরও বলছে যে, এই কাল্পনিক ভয়ের আখ্যান আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানসিক সুবিধাও দিতে পারে—যার মধ্যে একটি হলো বাস্তব জগতের ঘটনাগুলো নিয়ে আমাদের উদ্বেগ কমানো। এককথায়, এগুলো আমাদের দুশ্চিন্তার জন্য এক আশ্চর্য মলম।

পছন্দের এই স্ববিরোধিতা

অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী এবং 'মর্বিডলি কিউরিয়াস: এ সায়েন্টিস্ট এক্সপ্লেইনস হোয়াই উই কান্ট লুক অ্যাওয়ে' বইয়ের লেখক কোলটান স্ক্রিভনার এই গবেষণার অনেকটাই পথপ্রদর্শন করেছেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভয়ের গল্পের রোমাঞ্চ উপভোগ করতেন। কিন্তু গ্র্যাজুয়েট স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি মানব সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রে ভয়ের গল্পের এই সর্বব্যাপী উপস্থিতি নিয়ে ধাঁধায় পড়েন।

"আমাদের কাছে লেখার প্রথম যে প্রমাণ আছে, তার মধ্যেই ভয়ঙ্কর রাক্ষস এবং দানবীয় পশুর বর্ণনা পাওয়া যায়," বলেন স্ক্রিভনার, ৪,০০০ বছরের পুরোনো ব্যাবিলনীয় ট্যাবলেটে খোদাই করা 'গিলগামেশের মহাকাব্য'-এর কথা উল্লেখ করে। "বলা যেতে পারে, ভয়ের গল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো ভাষার মতোই পুরোনো।"

দ্য শাইনিং’ এক অনবদ্য হরর চলচ্চিত্র । সূত্র: সংগৃহীত

এর একটি ব্যাখ্যা হলো, ভয়ের গল্পগুলো এক ধরনের খেলার মতো কাজ করে যা আমাদের চারপাশের বিশ্বকে বুঝতে এবং ভবিষ্যতে আসতে পারে এমন হুমকির জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। "যেকোনো প্রাণীর জন্যই, মানুষসহ, তাদের চারপাশের বিপদ সম্পর্কে জানা এবং শেখা অভিযোজনের জন্য অত্যন্ত জরুরি," তিনি বলেন।

আমরা অন্যান্য প্রজাতির মধ্যেও এর শিকড় দেখতে পাই: যেমন, হরিণ শিকারী প্রাণীকে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করে এবং তারপর পালিয়ে যায়। "আর মানুষ যে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি 'মর্বিডলি কিউরিয়াস' (ভয়ঙ্কর জিনিসের প্রতি আগ্রহী) প্রাণী, তার কারণ হলো গল্প তৈরি, সঞ্চালন এবং উপভোগ করার আমাদের এই অবিশ্বাস্য ক্ষমতা," বলেন স্ক্রিভনার।

তিনি এই অভিযোজনমূলক সুবিধার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। একটি গবেষণায়, তিনি প্রায় ৪০০ জনকে একটি অনলাইন প্রশ্নাবলীর জন্য নিয়োগ করেন, যেখানে তারা ভয়ের সিনেমা দেখার বিষয়ে বিভিন্ন বিবৃতির সাথে কতটা একমত তা রেট করেন। ফলাফল বিশ্লেষণ করে তিনি দেখেন যে, অংশগ্রহণকারীদের তিনটি প্রধান দলে ভাগ করা যায়:

১. যারা অ্যাড্রেনালিনের নেশায় মত্ত (অ্যাড্রেনালিন জাঙ্কি): এরা মূলত উত্তেজনার শারীরিক অনুভূতি দ্বারা চালিত হয়। তারা জানায় যে, ভয়ের কারণে তারা নিজেদের "আরও বেশি জীবন্ত" অনুভব করে।

২. যারা ভয়কে জয় করতে ভালোবাসে (হোয়াইট নাকলার): এই দলের মানুষেরা ভয়ের সিনেমা দেখার ফলে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়, তা অপছন্দ করে। স্ক্রিভনার ব্যাখ্যা করেন, "তারা ভয়ের অনুভূতিটা উপভোগ করে না, কিন্তু ভয়কে জয় করার পরের অনুভূতিটা দারুণভাবে উপভোগ করে।" তারা মনে করে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা নিজেদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিখতে পারে।

৩. যারা বাস্তবতার মোকাবিলা করতে ভয়কে ব্যবহার করে (ডার্ক কোপার): এরা ভয়ের সিনেমাকে বাস্তব জীবনের সাথে মোকাবিলা করার একটি উপায় হিসেবে দেখে। তারা জানায় যে, পৃথিবী কতটা হিংস্র হতে পারে তা বোঝার জন্য এবং পর্দার রক্তারক্তির তুলনায় তাদের নিজেদের জীবন কতটা নিরাপদ, তা মনে করার জন্য তারা ভয়ের সিনেমা দেখে। কেউ কেউ পর্দার এই অ্যাকশনকে তাদের উদ্বেগ বা হতাশা সামলানোর একটি উপায় হিসেবেও দেখে। এটি তাদের সাহসিকতা পরীক্ষা করার একটি মাধ্যম।

এই প্রতিটি উদ্দেশ্যই ভয়ঙ্কর জিনিসের প্রতি আমাদের আকর্ষণের প্যারাডক্সের একটি সমাধান দেয়। স্ক্রিভনার বলেন, "ভয়ঙ্কর জিনিসের প্রতি এই আকর্ষণের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে।"

একই ফলাফল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পাওয়া যায় কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য তিনি ড্যানিশ গবেষকদের সাথে কাজ করেন। তারা ডেনমার্কের 'ডিস্টোপিয়া হন্টেড হাউস'-এর দর্শকদের প্রশ্ন করেন। এটি একটি গোলকধাঁধার মতো তৈরি ইন্টারেক্টিভ অভিজ্ঞতা, যেখানে দর্শকদের ভয় দেখানোর জন্য স্পেশাল এফেক্ট এবং প্রশিক্ষিত অভিনেতা থাকে। সেখানেও ঠিক একই ধরনের প্যাটার্ন দেখা যায়—যা এই তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈধতা প্রমাণ করে। স্ক্রিভনার বলেন, "এই তিনটি 'প্রকার' ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন সংস্কৃতি এবং ভিন্ন পরিবেশে সুন্দরভাবে মিলে গেছে।"

ভয়ঙ্কর জিনিসের প্রতি এই আগ্রহের অভিযোজনমূলক মূল্যের আরও প্রমাণ হিসেবে তিনি দেখেন যে, কোভিড-১৯ মহামারীর চরম পর্যায়ে ভয়ের সিনেমার ভক্তরা বেশি মানসিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে। তারা "আমি মহামারীর খবর শান্তভাবে নিচ্ছি" বা "আমি বিশ্বাস করি যে আমি এই কঠিন সময় পার করতে পারব" এই ধরনের বিবৃতির সাথে বেশি একমত হয়েছিল।

মস্তিষ্কের পরিমার্জিত সিমুলেশন

এই প্রভাবগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতার একটি মৌলিক নীতিকেও প্রতিফলিত করতে পারে।

হররপ্রেমীদের তিন ধরন রয়েছে: ‘অ্যাড্রেনালিন জাঙ্কি’, ‘হোয়াইট নাকলার’ ও ‘ডার্ক কোপার’ । সূত্র: সংগৃহীত

গত কয়েক দশকে, দার্শনিক, স্নায়ুবিজ্ঞানী এবং মনোবিজ্ঞানীরা এই ধারণার দিকে ঝুঁকছেন যে মস্তিষ্ক ক্রমাগত আমাদের চারপাশের বিশ্বের সিমুলেশন বা অনুকরণ তৈরি করে। মিলার বলেন, "এটি একটি ভবিষ্যদ্বাণীকারী যন্ত্র।"

আমাদের মস্তিষ্ক "প্রেডিক্টিভ প্রসেসিং" ব্যবহার করে, অর্থাৎ এটি সবসময় অনুমান করতে থাকে  কী ঘটবে। এটি আমাদের নতুন ঘটনা ঘটার সময় তা ব্যাখ্যা করতে এবং আমাদের প্রতিক্রিয়া যথাযথভাবে পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে। আমরা যত নির্ভুলভাবে এটি করতে পারি, ততই ভালো। এটি আমাদের অনিশ্চিত বিশ্বের সাথে নমনীয়ভাবে মোকাবিলা করার মূল চাবিকাঠি।

মিলার বলেন, ভয়ের গল্পগুলো ঠিক ততটুকুই অনিশ্চয়তা দেয় যা এই "ভবিষ্যদ্বাণীকারী যন্ত্রকে" ব্যস্ত রাখে, এবং ভবিষ্যতের হুমকি সম্পর্কে আরও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য এর সিমুলেশনগুলোকে পরিমার্জিত করতে সাহায্য করে। মিলার বলেন, "এই 'সুইট স্পট'-এ থাকলে আপনার ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা ক্রমাগত বাড়তে থাকে, যাতে আপনি দীর্ঘমেয়াদে অনিশ্চয়তা মোকাবিলা করার জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারেন।"

স্ক্রিভনারের মতো তিনিও বিশ্বাস করেন যে, এটি উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর প্রতি মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়াকে সংযত করে উদ্বেগ কমাতে সহায়ক হতে পারে। মিলার বলেন, "হরর হলো ভয় পাওয়া, বিরক্ত হওয়া, চাপের মধ্যে থাকা—এই অনুভূতিগুলো নিয়ে খেলার একটি সুযোগ।" এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এই শেখার প্রক্রিয়া চলাকালীন আমরা আমাদের সোফার নিরাপত্তা এবং আরামের মধ্যেই থাকি, এবং আমরা সিনেমাটি পজ করে, ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে বা আমাদের পপকর্নের বালতির আড়ালে লুকিয়ে কতটা ভয় পাব তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

থেরাপির মাধ্যম হিসেবে ভয়

স্ক্রিভনার বলেন যে, ভয়ের গল্পগুলো এমনকি মনস্তাত্ত্বিক থেরাপিতেও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যা মানুষকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে শেখানোর একটি উপায় হতে পারে। সঠিক বই বা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, আমরা আমাদের ভয়কে একটি মনোরম শিহরণের 'সুইট স্পট'-এ নামিয়ে আনতে শিখতে পারি—এই মানসিক নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চাপগুলো আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।

তিনি উল্লেখ করেন যে, নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা 'মাইন্ডলাইট' নামক একটি ভিডিও গেম ব্যবহার করে উদ্বেগযুক্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য একই ধরনের একটি নীতি ব্যবহার করেছেন। গেমটি একটি ভুতুড়ে বাড়িতে সেট করা হয়েছে যেখানে চিৎকার করা দানবরা খেলোয়াড়ের অবতারকে তাড়া করে। শিশুটি একটি ইইজি হেডসেট পরে থাকে যা তার মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিমাপ করে, এবং এটি সরাসরি তার অবতারের মাথার একটি আলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। সে যত শান্ত হয়, আলো তত উজ্জ্বল হয়—যা তাদের শিথিলতাকে আরও শক্তিশালী করে।

হৃদস্পন্দন বাড়ালেও, হরর চলচ্চিত্র দেখা নিত্যদিনের উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। সূত্র: সংগৃহীত

যদি শিশুটি আক্রমণের সময় এই শান্ত অবস্থা বজায় রাখতে পারে, তবে দানবটি একটি সুন্দর বিড়ালছানায় পরিণত হয় যা তাদের বাড়ির চারপাশে অনুসরণ করে। অন্যদিকে, যদি শিশুটি খুব ভয় পেয়ে যায়, তবে একটি বার্তা উপস্থিত হয় যা মনকে শান্ত করার উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দেয়।

বেশ কয়েকটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে, যে শিশুরা নিয়মিত গেমটি খেলেছে, তাদের দৈনন্দিন জীবনে উদ্বেগ কমে গেছে—যার সামগ্রিক সুবিধা ক্লাসিক কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপির মতোই। স্ক্রিভনার বলেন, "এটি অবিশ্বাস্য, কারণ এটি শিশুদের উদ্বেগ চিকিৎসার জন্য গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড।" এবং তিনি দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করেন যে, উপন্যাস বা চলচ্চিত্রে নিয়মিত ভয়ের গল্পগুলোও একই ধরনের উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে।

তিনি এই বিষয়ে একটি পর্যালোচনা পত্রে লিখেছেন: "হরর বিনোদনমূলক বিষয়বস্তু মানুষকে একটি নিরাপদ, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভয় অনুভব করার সুযোগ দেয়, যা অস্বস্তিকর শারীরিক অভিজ্ঞতা সহ্য করা এবং মানসিক যুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয়।"

স্পষ্টতই, যারা এতদিন ভয়ঙ্কর জিনিস এড়িয়ে চলেছেন, তারা একটি দারুণ সুযোগ হারাচ্ছেন। আপনি যদি সেই দলেই পড়েন, তবে স্ক্রিভনার আপনার স্বাভাবিক সহনশীলতার ঠিক বাইরে কিছু খোঁজার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, "বই দিয়ে শুরু করা প্রায়শই একটি ভালো উপায়, কারণ আপনি কল্পনাকে কিছুটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।" এবং আপনার অন্যান্য আগ্রহের সাথে মেলে এমন গল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। "হরর হলো সবচেয়ে বিস্তৃত জনরাগুলোর মধ্যে একটি, তাই আপনি এমন থিম খুঁজে পেতে পারেন যা আপনি সত্যিই উপভোগ করেন।"

আপনি অবাক হয়ে যাবেন যে আপনার এই ভয়ঙ্কর জিনিসের প্রতি আগ্রহ আপনাকে কোথায় নিয়ে যায়—এবং এটি আপনার বাকি জীবনে যে প্রশান্তি নিয়ে আসে।


অনুবাদ : নাফিসা ইসলাম মেঘা

Related Topics

টপ নিউজ

হরর সিনেমা / হরর / সাইকোলজিক্যাল হরর / উদ্বেগ / মানসিক চাপ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি: টিবিএস
    থাকতে চান ভারতেই, জুলাই হত্যাকাণ্ডের জন্য 'ক্ষমা চাইবেন না' শেখ হাসিনা
  • বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান (বাবু)। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    ৪ মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি জানিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ বিজিএমইএ প্রেসিডেন্টের
  • ছবি: টিবিএস
    নিজেই পঞ্চগড়ে গিয়ে পায়ে শিকল বেঁধে অপহরণের নাটক সাজান খতিব মুহিব্বুল্লাহ: পুলিশ
  • ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
    পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণে সুফল আসার সম্ভাবনা কম: বিশেষজ্ঞরা
  • ছবি: রয়টার্স
    ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন প্যাকেজ বাতিল হলে টেসলা ছাড়তে পারেন ইলন মাস্ক
  • ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ
    সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে না পারলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে: আলী রীয়াজ

Related News

  • ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সুপারিশ বাদ দিয়ে দুদক অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনে টিআইবির উদ্বেগ
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সবার প্রতি আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
  • খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উদ্বেগ, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি
  • রাজনৈতিক দলগুলোর আত্মজিজ্ঞাসার এখনই সময়: টিআইবি
  • চীনের বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের আসল লক্ষ্য কি শুধুই পানি নিয়ন্ত্রণ?

Most Read

1
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

থাকতে চান ভারতেই, জুলাই হত্যাকাণ্ডের জন্য 'ক্ষমা চাইবেন না' শেখ হাসিনা

2
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান (বাবু)। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

৪ মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি জানিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ বিজিএমইএ প্রেসিডেন্টের

3
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

নিজেই পঞ্চগড়ে গিয়ে পায়ে শিকল বেঁধে অপহরণের নাটক সাজান খতিব মুহিব্বুল্লাহ: পুলিশ

4
ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
বাংলাদেশ

পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণে সুফল আসার সম্ভাবনা কম: বিশেষজ্ঞরা

5
ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন প্যাকেজ বাতিল হলে টেসলা ছাড়তে পারেন ইলন মাস্ক

6
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ
বাংলাদেশ

সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে না পারলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে: আলী রীয়াজ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net