Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
June 01, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, JUNE 01, 2025
হাজারো নারীর পাশে আছে ‘মায়া’

ফিচার

রাফিয়া মাহমুদ প্রাত
10 June, 2022, 05:05 pm
Last modified: 10 June, 2022, 05:04 pm

Related News

  • টাইম-এর ১০০ প্রভাবশালী স্বাস্থ্য নেতৃত্বের তালিকায় আইসিডিডিআরবি'র ড. তাহমিদ আহমেদ
  • সবার জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য বিমা চালুর সুপারিশ স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের
  • কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবায় সমন্বয় করতে চায় সরকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
  • শিক্ষায় ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় কমেছে, বেড়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবেশখাতে
  • সংবিধানে স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

হাজারো নারীর পাশে আছে ‘মায়া’

বিএমআই ক্যালকুলেটর, পিরিয়ড ট্র্যাকার, ভ্যাক্সিন রিমাইন্ডার, মেডিসিন রিমাইন্ডার, ডিউ ডেট চেক, প্রেগন্যান্সির উইক বাই উইক আপডেটের মতো বিভিন্ন হেলথ টুল রয়েছে মায়ার। প্রায় দুই শতাধিক ডাক্তার, সাইকোসোশ্যাল থেরাপিস্ট, নিউট্রিশনিস্ট কাজ করছেন এখানে।
রাফিয়া মাহমুদ প্রাত
10 June, 2022, 05:05 pm
Last modified: 10 June, 2022, 05:04 pm
মায়া টেক্সট, অডিও, ভিডিও এই তিন ধরনের কনসাল্টেশনের মাধ্যমে নিয়মিত সেবা দিচ্ছে গ্রাহকদের/ প্রতীকী ইলাস্ট্রেশন- তানিয়া ভিসেডো

২০২০ সালে লায়লা আখতার প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হোন। কিন্তু লকডাউন থাকায় লায়লা পড়ে যান এক মহাবিপাকে। একদিকে করোনার ভয়ে হাসপাতালে গিয়ে চেকআপ করাতে ভয় কাজ করছে; অপরদিকে প্রথমবার গর্ভাবতী হওয়ায় শরীর, মন আর অনাগত শিশুকে নিয়ে মাথায় ভিড় করছে নানা চিন্তা, প্রশ্ন আর উদ্বেগ।

ইন্টারনেটে এসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে একদিন হঠাৎই লায়লা পেয়ে গেলেন 'মায়া' অ্যাপের খোঁজ। এরপর মোবাইলে ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করে নিলেন দ্রুত। শুরু হলো লায়লার সঙ্গে মায়ার যাত্রা। দীর্ঘ নয় মাস; বিভিন্ন প্রশ্ন এবং ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে ঘরে বসেই গর্ভকালীন নিজের শরীরের খেয়াল রেখেছেন তিনি। লায়লার মতো হাজারো নারীর দরকারে পাশে থাকছে 'মায়া'।

শুরুটা যেভাবে

লায়লা আখতারের মতো ২০১১ সালে আইভি হক রাসেল (মায়ার ফাউন্ডার ও সিইও) যখন প্রথমবারের মতো মা হলেন, সে সময়টাতে ইন্টারনেটে স্বাস্থ্যবিষয়ক বাংলা তথ্য তেমন পাওয়া যেত না।

তখনো ইন্টারনেট, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের এত জনপ্রিয়তা শুরু হয়নি। ফলে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সুবিধাও ছিল সীমিতদের হাতেই। গর্ভকালীন নিজের শরীর-স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে গিয়ে আইভি হক দেখলেন, বাংলাদেশে নারী স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানার এবং ইন্টারনেটে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পাওয়ার কোনো সহজলভ্য উপায় নেই। যতটুকু আছে, তা বিদেশি কন্টেন্ট এবং ইংরেজি ভাষায়।

ফলে তিনি আরও বেশি উপলব্ধি করলেন, বাংলাদেশের সাধারণ নারীদের জন্য বাংলা ভাষায়, সহজলভ্য তথ্যের সুবিধা থাকা কতোটা জরুরি, যেখানে নারীরা বাংলা ভাষাতেই তাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে পারেন।      

নিজের মায়ের নামানুসারেই নামকরণ

এই উপলব্ধি থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং সক্রিয় করতে নারীদের জন্য নতুন এক যাত্রা শুরু করবেন। যেখানে একজন নারী প্রয়োজনে নাম পরিচয় গোপন রেখেই ফ্রিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যসেবা নিতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত থেকেই  ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার থেকে আইভি হক রাসেল হয়ে গেলেন প্রযুক্তির উদ্যোক্তা। আর তারই ফলাফলস্বরূপ  শুরু করলেন 'ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা 'মায়া আপা' নিয়ে তার যাত্রা।

কিন্তু 'মায়া' নামটি এলো কোথা থেকে? আইভি তার নিজের মা'কে দেখেছেন স্তন ক্যান্সারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে। মায়ের ক্যান্সার এবং নিজ গর্ভকালীন নারীর শরীর-স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা থেকেই তার মধ্যে একধরনের অভাববোধ এবং একইসাথে অনুপ্রেরণা তৈরি হয়েছিল। তাই মায়ের নামেই সেবাটির নাম দিলেন 'মায়া'।

'মায়া আপা' থেকে 'মায়া'     

মায়ার সূচনা হয় ২০১১ সাল থেকেই। সেসময় শুধু স্বাস্থ্যবিষয়ক ব্লগ, আর্টিকেল লেখার মাধ্যমেই ওয়েবসাইটটি চলতো। আইভি হক বুঝতে পেরেছিলেন, সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারলে এটি নারীদের জন্য এক আস্থার জায়গা হতে পারবে।

পরিবারসহ বন্ধুবান্ধব, বিশেষ করে শাশুড়ি বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল এবং স্বামীর অদম্য সহযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে মায়া আপা এন্ড্রোয়েড অ্যাপ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।  

আইভি হক রাসেল, 'মায়া' ফাউন্ডার এবং সিইও

মায়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল নারীদের জন্য কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়েই। কিন্তু শুরু থেকেই নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে 'মায়া'। শুধু তা-ই নয়, বিগত কয়েক বছরের ডাটা অনুযায়ী, অ্যাপটির পুরুষ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬৫ শতাংশ, নারী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩৫ শতাংশ। গত কয়েকমাসে এই অনুপাত প্রায় সমান হারে এসে দাঁড়িয়েছে।

এ কারণেই 'মায়া আপা' থেকে পরবর্তীতে 'মায়া' নামটি রাখা হয় শুধু।     

কী কী সেবা দিচ্ছে 'মায়া'?    

কনসাল্টেশন, ল্যাব টেস্ট, মেডিসিন ডেলিভারি ও মায়া ই-শপ। প্রধানত এই চারটি সেবা মায়া গ্রাহকদের দিয়ে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে গ্রাহকদের সাড়া বেশি আসছে কনসাল্টেশনে। টেক্সট, অডিও এবং ভিডিও কল এই তিনভাবেই একজন গ্রাহক কনসাল্টেশন নিতে পারে।   

টেক্সট কনসাল্টেশনেও আছে দুধরনের সেবা ব্যবস্থা। ফ্রি সার্ভিস এবং প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন। তবে ফ্রি সার্ভিসের ক্ষেত্রে কোনো প্রেস্ক্রিপশান দেওয়া হয়না। কেবল বিভিন্ন প্রাথমিক জিজ্ঞাসার উত্তর পাওয়া যায় এখানে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একজন গ্রাহক বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য বিষয়ক সাধারণ জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে পারেন। অনেকটা গুগলে সার্চ করার মতো। শুধু স্বাস্থ্য নয়, পুষ্টি বিষয়ক এবং মনোসামাজিক পরামর্শও দিচ্ছে 'মায়া'৷

সাথে রয়েছে বেশ কয়েকটি সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান, তার মধ্যে একটি প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন। এই সেবার অধীনে গ্রাহক তার নির্ধারিত ফি (৬৯৯ টাকা) দিয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যানে একাধিকবার পরামর্শ করে ডিজিটাল প্রেস্ক্রিপশন নিতে পারেন। এই প্ল্যানে রয়েছে আরো কিছু সেবা। রোগীরা তাদের প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট, আঘাত বা ক্ষত স্থানের ছবি ডাক্তারদের সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করেও কনসাল্টেশন ও ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই নাম পরিচয়, বয়স লিখতে হয়। কেউ যদি অডিও বা ভিডিও কন্সাল্টেশন বুক করে থাকে, তাকে তার বয়স, নামসহ কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ছোটো একটা ইনপুট দিতে হয়।   

তাৎক্ষণিক বা ইনস্ট্যান্ট ভিডিও কল মায়া সেবা প্ল্যাটফর্মের একটি নতুন সংযোজন। যেখানে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যেকোনো সময় একজন গ্রাহক নির্ধারিত ফি (২৫০) দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।   

বাকি দুটো সেবা হলো মেডিসিন ডেলিভারি ও ল্যাব সার্ভিস। পার্টনাশিপের মাধ্যমে এই সেবাগুলো দিয়ে আসছে মায়া।

সবকিছুর পেছনে মায়ার শুধু একটি উদ্দেশ্য, যেন মানুষ একই কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রয়োজনীয় সেবাগুলো নিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন এক্সিকিউটিভ তাহসিন ইসলাম জানান, "অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর নির্দিষ্ট ভাষা বেছে নিয়ে খুব সহজেই একজন তার কাঙ্ক্ষিত সেবাটি পেয়ে যাবেন। আমাদের অ্যাপগুলো সেভাবেই সাজানো থাকে।"  

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন নারী পুরুষ যে কেউ/ ছবি- মায়া ওয়েবসাইট

মোবাইল অ্যাপভিত্তিক ডিজিটাল হেলথ প্ল্যাটফর্ম

মায়া টেক্সট, অডিও, ভিডিও এই তিন ধরনের কনসাল্টেশনের মাধ্যমে নিয়মিত সেবা দিচ্ছে গ্রাহকদের। তাছাড়া পিরিয়ড ট্র্যাকার, বিএমআই ক্যালকুলেটর, ভ্যাক্সিন রিমাইন্ডার, মেডিসিন রিমাইন্ডার, ডিউ ডেট চেক, প্রেগন্যান্সির উইক বাই উইক আপডেটের মতো বিভিন্ন হেলথ টুল রয়েছে মায়ার।  

হেলথ রিলেটেড ব্লগ, আর্টিকেল আছে প্রায় ১২০০র মতো। যেগুলো প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে, নতুন সংযোজন হচ্ছে। বর্তমান সময়ে তাৎক্ষণিক বা ইন্সট্যান্ট ভিডিও থেকে গ্রাহকের সাড়াটা বেশি আসছে।

সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজের আওতায় গ্রাহকরা সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা (টেক্সট) করতে পারবেন যা দ্রুত সময়ের মধ্যে একজন এক্সপার্ট উত্তর দিয়ে থাকেন। গ্রাহকরা টেক্সট ছাড়াও নিজের কণ্ঠে (ভয়েস) তাদের প্রশ্ন পাঠাতে পারবেন এবং রয়েছে ভিডিও কনসাল্টেশন। ঐ মুহুর্তে দায়িত্বরত ডাক্তারের কাছ থেকেই রোগীরা পরামর্শ করে নিতে পারবে। আর কারো যদি নির্দিষ্ট কোনো ডাক্তারের কাছ থেকেও পরামর্শ করতে হয়, সেক্ষেত্রে, ডাক্তারের নির্দিষ্ট সময়েই তাকে সেবা নিতে হবে।

এখানে প্রায় দুই শতাধিক ডাক্তার, সাইকোসোশ্যাল থেরাপিস্ট, নিউট্রিশনিস্ট কাজ করছেন। এসব ডাক্তার নিয়োগের সময় প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কর্তৃক নিবন্ধিত ডাক্তারদের বাছাই করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। অন্যান্য এক্সপার্টদেরও একইভাবে মূল্যায়ন করা হয়।  

ল্যাব টেস্টের সুবিধাও রয়েছে

ডিএমএফআর, আমারল্যাব, নিউ পিসি ল্যাব, ক্রিস্টাল ল্যাব, থাইরোকেয়ার সহ মোট ছয়টি ল্যাবের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মায়া তার গ্রাহকদের ল্যাব টেস্ট সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। তাই কেউ চাইলে মায়ার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এসব জায়গা থেকে ল্যাব টেস্ট করাতে পারবে।

এছাড়াও বিভিন্ন মূল্যের সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ কিনে ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা বা ভিডিও কনসাল্টেশনের সুবিধা রয়েছে। সাবক্রিপশন প্ল্যানগুলোতে একসাথে কয়েকটি সেবা বা সার্ভিস দেওয়া হয়। তবে চাইলে কেউ দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যান না কিনে একবারের জন্যই পৃথক ভিডিও কল সার্ভিস নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।  

গ্রাহকের সন্তুষ্টিই 'মায়া'র বড় প্রাপ্তি

যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ মানসিক স্বাস্থ্যের চেয়ে শারীরিক সমস্যাগুলোকেই বেশি প্রাধ্যান্য দিয়ে থাকে, তাই এখানে শারীরিক সমস্যা নিয়েই সাড়া আসে বেশি বলে ডা. শারমিনের দাবি। তবে মহিলাদের গর্ভাবস্থা, ঋতুস্রাবের মতো বিষয়গুলোই কনসাল্টেশনে সবচেয়ে বেশি উঠে আসে।

মেয়েরা যেমন তার শারীরিক-মানসিক সমস্যা নিয়ে আসছে, তেমনি পুরুষরাও তাদের মানসিক চাপ বা সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ দেখান বলে জানান মায়ার লিড হেলথ এক্সপার্ট ডা. তানজিনা শারমিন। এখানে ১৮-২৫ বছর বয়সী গ্রাহক বেশি দেখা যায়।

"আবার অনেক পুরুষ আছেন, যারা এই অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে তার মা, স্ত্রী, সন্তান ও বোনের জন্য কনসাল্টেশন নিচ্ছেন। এটা একটা অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি দেয়, যে আমাদের সমাজের পুরুষরাও পরিবারের নারী সদস্যের কথা ভাবছেন," বলেন ডা. তানজিনা শারমিন।

তবে, পাঁচ বছর ধরে কাজ করে যে বিষয়টি ডা. শারমিনের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার অনুভূতি দেয়, তা হলো গ্রাহকের সন্তুষ্টি।

তিনি বলেন, "একজন গ্রাহক যখন তার স্ত্রীর গর্ভকালীন পুরো সময়টা আমাদের সাথে পরামর্শে থাকে; সরাসরি ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি এবং সন্তান হওয়ার পর যখন ফোন দিয়ে তারাই নিজ থেকে জানিয়ে আমাদের ধন্যবাদ দেয় তখনকার ভালো লাগাটাই আসলে এখানের সবচেয়ে বড় পাওয়া।"

করোনাকালে 'মায়া'র সেবা

করোনার সময়টায় সরাসরি ডাক্তারের কাছে যেহেতু যাবার সুযোগ ছিল না তাই মায়া অ্যাপে প্রচুর সাড়া আসতো। করোনার উপসর্গ, জ্বর বা এজমা থাকলে কী করণীয় ইত্যাদি প্রশ্ন আসা শুরু হয়। এরপর ভ্যাক্সিন আসার পর ভ্যাক্সিন নিয়ে বিভিন্ন জিজ্ঞাসা আসা শুরু হয়।

শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মায়াতে সব মিলিয়ে প্রায় ৬ মিলিয়ন প্রশ্ন উত্তর, ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন/কনসাল্টেশন, কাউন্সিলিং পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।    

২০১১ সালে মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবার ব্লগ হিসেবে যাত্রা শুরু করার পর ২০১৫ সালে এ প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকরা প্রশ্ন (সাধারণ জিজ্ঞাসা) করার সুযোগ পান এবং তখন অন ডিমান্ড এক্সপার্টরা ওয়েবসাইটে, পরবর্তীতে অ্যাপের মাধ্যমে তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

গ্রাহকদের ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০১৯ সালে ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন, কনসাল্টেশন, কাউন্সিলিং এবং ই-কমার্স সেবা চালু করে। এছাড়াও মায়ার ই-কমার্স ও মেডিসিন ডেলিভারি সার্ভিস থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে।

তবে সফলতার সঙ্গে কিছু ব্যর্থতাও থাকে। এ প্রসঙ্গে তাহসিন ইসলাম বলেন, "আমাদের কিছু ব্যর্থতাও আছে। তবে আমরা সেই ব্যর্থতাকে পুঁজি করেই আরও চেষ্টা চালিয়ে যাই।"

 

 

Related Topics

টপ নিউজ

নারী অধিকারকর্মী / নারী স্বাস্থ্য / গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা / করোনায় নারীদের ঝুঁকি / মায়া অ্যাপ / স্বাস্থ্য

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ইতিহাসে এ প্রথম: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলার শুনানি কাল সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিটিভিতে
  • ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক আমানতে মিলবে আবগারি শুল্কমুক্ত সুবিধা
  • করমুক্ত আয়সীমার সঙ্গে বাড়তে পারে করের হারও
  • ‘মবের নামে আগুন, ভাঙচুরের সুযোগ নেই’: সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা
  • যে বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকে না, কিচিরমিচিরে কান পাতা দায়
  • ‘সংস্কারের কলা দেখাচ্ছেন’: ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন

Related News

  • টাইম-এর ১০০ প্রভাবশালী স্বাস্থ্য নেতৃত্বের তালিকায় আইসিডিডিআরবি'র ড. তাহমিদ আহমেদ
  • সবার জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য বিমা চালুর সুপারিশ স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের
  • কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবায় সমন্বয় করতে চায় সরকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
  • শিক্ষায় ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় কমেছে, বেড়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবেশখাতে
  • সংবিধানে স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

Most Read

1
বাংলাদেশ

ইতিহাসে এ প্রথম: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলার শুনানি কাল সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিটিভিতে

2
অর্থনীতি

৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক আমানতে মিলবে আবগারি শুল্কমুক্ত সুবিধা

3
অর্থনীতি

করমুক্ত আয়সীমার সঙ্গে বাড়তে পারে করের হারও

4
বাংলাদেশ

‘মবের নামে আগুন, ভাঙচুরের সুযোগ নেই’: সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা

5
ফিচার

যে বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকে না, কিচিরমিচিরে কান পাতা দায়

6
বাংলাদেশ

‘সংস্কারের কলা দেখাচ্ছেন’: ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net