তেলের দাম ও পরিবহন ব্যয় বাড়ানো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত: জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, "সরকার অযৌক্তিকভাবে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা দাবি করেছিলাম তেলের দাম কমাতে। কিন্তু সরকার তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সড়ক ও নৌপথের ভাড়া বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিরোধী অবস্থান নিয়েছে।"
"তেলের দাম ও পরিবহন ব্যয় বাড়ানো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত," যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, "জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। করোনাকালে কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমন বাস্তবতায় তেলের দাম বাড়ানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত।"
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে সরকার বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে।
এর প্রতিবাদে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ভাড়া বৃদ্ধি অথবা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয়।
গতকাল রোববার বাস মালিকদের সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বৈঠক শেষে মহানগরের অভ্যন্তরে ও দূরপাল্লার বাস ভাড়া যথাক্রমে ২৬.৫ ও ২৭ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
বাড়তি ভাড়ার ব্যাপারে সরকারের সবুজ সংকেতের পর বাস ও লঞ্চ মালিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।