ফেরার ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়ালেন সাকিব

করোনাভাইরাসের প্রকোপে আইপিএল স্থগিত হওয়ার আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। কিন্তু গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়া আইপিএলে ম্যাচই পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। তাকে ছাড়াই একাদশ গড়ছিল কলকাতা।
রোববার এসে অপেক্ষা ফুরায় সাকিবের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টিম সেইফার্টের বদলে বাংলাদেশ অলরাউন্ডারকে একাদশে ভেড়ায় প্লে-অফের দৌড়ে কঠিন অবস্থায় পড়ে যাওয়া দলটি। আর ফেরার ম্যাচেই বল হাতে সাকিব প্রমাণ করে দেখালেন, কেন তিনি বিশ্বসেরা।
৯ ম্যাচ পর কলকাতার একাদশে ফেরা সাকিব এদিন কোটার চার ওভারই পূর্ণ করার সুযোগ পেয়েছেন। ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার ঝুলিতে থাকতে পারতো আরও একটি উইকেট। কিন্তু নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত বলটি হাতে রাখতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
ম্যাচে ফিল্ডিংয়েও দারুণ অবদান রেখেছেন সাকিব। নিজের প্রথম ওভারে ৪ রান খরচা করেন তিনি। এই ওভারেই দারুণ থ্রোয়িংয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। তার পঞ্চম ডেলিভারিতে বল একটু দূরে ঢেলে দিয়েই রান নেওয়ার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। সাকিব ক্ষীপ্রতার সঙ্গে বল কুড়িয়ে সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন।
দ্বিতীয় ওভারেও কিপ্টে বোলিং করেন সাকিব। এই ওভারেও তার খরচা ৪ রান। তৃতীয় ওভারে হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানদের আরও চেপে ধরেন বাঁহাতি এই স্পিনার। প্রথম বলেই অভিষেক শর্মাকে ফেরানো সাকিব এই ওভারে দেন মাত্র ২ রান।
তিন ওভারে ১০ রানে এক উইকেট নেওয়া সাকিব নিজের শেষ ওভারে খরুচে বোলিং করেন। এই ওভারে তার খরচা ১০ রান। সাকিবের করা ২৪ বলের মধ্যে হায়রাবাদের ব্যাটসম্যানরা কেবল একটি ছক্কা মারতে পেরেছেন। ২৪ বলে মধ্যে ১০টিই ডটবল করেছেন সাকিব। তার আলো ছড়ানোর ম্যাচে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি হায়দরাবাদ, প্লে-অফের দৌড় থেকে বাদ পড়া দলটি ৮ উইকেট ১১৫ রানে থামে।
ম্যাচটি জিততে কলকাতাকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। শুভমান গিলের ৫৭ ও নিতিশ রানার ২৫ রানে ৬ উইকেটের জয় পায় তারা। সাকিবকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি, এর আগেই দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ১৩ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে টিকে রইলো কলকাতা, পয়েন্ট তালিকার ৪ নম্বরে আছে বলিউড কিং শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলটি।