শেয়ারবাজারে কারসাজি: সাকিবসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২১ সেপ্টেম্বর

শেয়ারবাজারে কারসাজি, প্রতারণা ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী কাজি সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।
এর আগে ১৭ জুন দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে সিরিজ ট্রানজেকশন, প্রতারণামূলক অ্যাকটিভ ট্রেডিং, গেম্বলিং ও স্পেকুলেশনের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কৃত্রিমভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করে বাজারে কারসাজি করেন।
এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হারান। এ পদ্ধতিতে ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এর মধ্যে আবুল খায়ের (হিরু) তার স্ত্রী কাজি সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকার উৎস গোপন করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন।
এছাড়া তার নামে পরিচালিত ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলার অভিযোগ থেকে আরো জানা যায় , আসামি মো. আবুল খায়ের (হিরু) কর্তৃক শেয়ার বাজারে কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লি., ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লি. এবং সোনালী পেপারস লি.-এর শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করেন।
এতে সাকিব মার্কেট ম্যানুপুলেশনে সরাসরি সহায়তা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে শেয়ার বাজার থেকে আত্মসাৎ করেন।