চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক সুমন। তিনি আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলিং ফ্যানের জন্য রাখা হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম।
তিনি বলেন, 'ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তথ্যে প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিস্তারিত তদন্তের পর বলা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'
মৃত্যুর আগে সুমন একটি চিরকুট লিখে গেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন: 'আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।"
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, 'আমরা ঘটনাটি জেনেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। কারণ হিসেবে অনেকেই অনেক কিছু বলছে। লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তের পরে আমরা সব জানতে পারব।'
স্থানীয় ও পারিবারিক সদস্যদের সূত্রে জানা যায়, খুলশীতে বড় ভাইয়ের সঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন সুমন। দুই দিন আগে সুমনের মামারা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তার বড় ভাই-এই দুজনই ছিলেন। গতকাল সকাল ৮টার দিকে সুমনের বড় ভাই কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যান। সারাদিন সুমন বাসায় একাই ছিলেন। বিকাল ৪টার দিকে তিনি বড় ভাইকে ফোন দিয়ে জানতে চান, 'তুমি কোথায়, বাসায় আসতে কতক্ষণ লাগবে?' বড় ভাই জানান যে তার আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে তার মা ছেলের নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ না পেয়ে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান। দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে দরজা খুলে সুমনকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে পুলিশ এসে দড়ি কেটে মরদেহ নিচে নামায়।
