সড়ক, রেলপথ ও আকাশপথে ভোগান্তির প্রতিবাদে ‘ডেডলক’ কর্মসূচি: একঘণ্টা অচল সিলেট

সিলেটের সড়ক, রেল ও আকাশ পথে ভোগান্তির প্রতিবাদে রোববার এক ঘণ্টার জন্য প্রায় অচল হয়ে পড়ে সিলেট নগর। রোববার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বন্ধ ছিলো নগরের বেশিরভাগ দোকানপাট ও বিপণিবিতান, যান চলাচলও ছিলো সীমিত।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারসহ আট দাবিতে এই সময়ে সিলেট নগরে প্রতীকী অনশন ও কর্মবিরতি পালন করা হয়। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর এই 'একঘণ্টার ডেডলক' কর্মসূচি আহ্বান করেন।
যোগাযোগ ক্ষেত্রে সিলেটের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতের কাজ আটকে আছে। ফলে ভাঙাচোরা সড়কে প্রতিনিয়ত লেগে থাকছে দীর্ঘ যানজট।
এছাড়া জরাজীর্ণ রেললাইন, ট্রেন ও টিকিট সংকট ও বর্ধিত বিমান ভাড়ার কারণেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সিলেট অঞ্চলের মানুষের। এসব কারণে ক্ষুব্ধ এ অঞ্চলের মানুষজন। তাই রোববার আরিফুল হক চৌধুরীর ডাকা কর্মসূচিতে তাই সাড়া দিয়েছেন নানা শ্রেণির মানুষজনও।
'একঘণ্টার ডেডলক' কর্মসূচি চলাকালে নগরের কোর্টপয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে থেকে দাবি আদায়ে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
রোববার সকালে নগর ঘুরে দেখা গেছে, নগরের বেশিরভাগ বিপণীবিতানের ফটক বন্ধ। দোকানপাটেরও সাটার লাগানো। নগরে রিকশা ছাড়া অন্যান্য যান চালাচলও প্রায় বন্ধ ছিলো। তবে ১২ টার পর থেকে দোকানপাট খুলতে শুরু করে। যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়।
এই সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন,'আমি বারবার বলে আসছি- এখন আর চুপ করে থাকার সময় নয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, রেল ও আকাশপথের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও অবহেলা সিলেটবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
এই সমাবেশ থেকে ৮ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা; সিলেট–ঢাকা ও সিলেট–চট্টগ্রাম রুটে নতুন ট্রেন ও বগি চালু করা; রেল টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা; সিলেট–ঢাকা রুটে বিমানের ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে আনা; সিলেটের অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন ও টেকসই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে সোমবার দুপুর ১২টায় দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বরে 'ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সূচনাস্থলের দুই পাশে গণ-অবস্থান ও মানববন্ধন' কর্মসূচি পালন করা হবে।