Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
October 13, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, OCTOBER 13, 2025
'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী' আখ্যা দিয়ে নির্বাচনের মুখে বিহারে ঘৃণার শিকার ভারতীয় মুসলিমরা

আন্তর্জাতিক

আল জাজিরা
08 October, 2025, 06:50 pm
Last modified: 08 October, 2025, 07:00 pm

Related News

  • বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে ‘অনুপ্রবেশের’ কারণেই ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে: অমিত শাহ
  • ভারতে আ.লীগের অফিস স্থাপনের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করল দিল্লি
  • চার মাস পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
  • রাজ্য নির্বাচনের আগে ভারতে চলছে মুসলিম উচ্ছেদ ও বাংলাদেশে পুশইনের অভিযান
  • মুসলিম নাগরিকদের অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী' আখ্যা দিয়ে নির্বাচনের মুখে বিহারে ঘৃণার শিকার ভারতীয় মুসলিমরা

বিজেপি-শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে তথাকথিত 'অবৈধ' বাংলাদেশীদের উপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং শত শত বাংলাভাষী মানুষকে নির্বাসিত করা হয়েছে, যদিও তাদের অনেকের কাছেই ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের বৈধ নথি ছিল। সীমাঞ্চলের মুসলমানদের জন্য, বাংলাদেশী 'অনুপ্রবেশকারী'র জুজু একটি পরিচিত বুলি, যা এই অঞ্চলে মুসলিমদের জনসংখ্যা এবং বাংলাদেশের নৈকট্যের উপর ভিত্তি করে ছড়ানো হয়।
আল জাজিরা
08 October, 2025, 06:50 pm
Last modified: 08 October, 2025, 07:00 pm
বিহারের কিষাণগঞ্জে শেরশাহবাদি মুসলমানদের সাম্প্রতিক এক বিক্ষোভে প্ল্যাকার্ড হাতে মুখতার আলম [ছবি: শাহ ফয়সাল/আল জাজিরা]

এক দশকেরও বেশি আগেকার কথা। মুখতার আলম যখন পূর্ব ভারতের বিহার রাজ্যের একমাত্র মুসলিম-প্রধান জেলা কিষাণগঞ্জে একটি সরকারি স্কুলে পড়তেন, তখন তার অনেক হিন্দু বন্ধু ছিল।তাদের মধ্যে একজনের সাথে আলমের খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল।

দুজনে একসাথে পড়াশোনা ও স্কুলের কাজ করত। আলম নিরামিষাশী বন্ধুর অস্বস্তির কথা ভেবে একসাথে খাওয়ার সময় মাংস এড়িয়ে চলতেন। কিন্তু দুই বছর আগের একটি ঘটনা তাদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরিয়ে দেয়, যা আজও জোড়া লাগেনি।

বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন প্রধান সহযোগী জিতনরাম মাঞ্জি কিষাণগঞ্জে এক সমাবেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, শেরশাহবাদী মুসলিম সম্প্রদায় পূর্ব ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসা 'অনুপ্রবেশকারী'।

ঐতিহাসিক শেরশাহবাদ অঞ্চল থেকে 'শেরশাহবাদী' শব্দটি এসেছে, যার মধ্যে প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কিছু এলাকাও পড়ে। শেরশাহবাদ নামটি আবার শের শাহ সুরির নাম থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়। তিনি ছিলেন একজন আফগান রাজা যিনি শক্তিশালী মুঘলদের পরাজিত করে ষোড়শ শতাব্দীতে আধুনিক বিহার ও বাংলা (বাংলাদেশসহ) অঞ্চল শাসন করেছিলেন।

বিহারের বেশিরভাগ মানুষ হিন্দি, তার উপভাষা এবং উর্দুতে কথা বলে। কিন্তু শেরশাহবাদী মুসলিমরা উর্দু ও হিন্দি মিশ্রিত বাংলা ভাষার একটি উপভাষায় কথা বলেন। তাদের প্রায়ই 'বাদিয়া' (সম্ভবত শেরশাহবাদীর সংক্ষিপ্ত রূপ) বা 'ভাটিয়া' বলা হয়।

'ভাটিয়া' শব্দটি স্থানীয় উপভাষা 'ভাটো' থেকে এসেছে, যার অর্থ নদীর স্রোতের বিপরীতে যাওয়া। কারণ বলা হয় যে শেরশাহবাদী মুসলমানরা গঙ্গা নদীর উজানে পশ্চিমবঙ্গের মালদা থেকে মুর্শিদাবাদ এবং অবশেষে বিহারের সীমাঞ্চল অঞ্চলে এসেছিলেন। বিহার ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্য।

আলম, যিনি ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক এবং একজন শেরশাহবাদী মুসলিম, আল জাজিরাকে বলেন, ''মাঞ্জির বক্তৃতায় আমরা আতঙ্কিত বোধ করেছিলাম।''

চুপ থাকতে না পেরে তিনি ফেসবুকে এর নিন্দা জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার পোস্টের নিচে হিন্দিতে একটি মন্তব্য আসে: ''তোরা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী।''

মন্তব্যটি করেছিল তারই সেরা বন্ধু।

আলম যে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চালান, সেখানকার খড়ের চালের নিচে বসে ৩০ বছর বয়সী আলম সেই দিনের কথা মনে করে বলেন, 'ওই মন্তব্যটি পড়ে আমার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গিয়েছিল।' 'মন্তব্যটি আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব দেখা দেয় এবং আমরা আমাদের ভাইয়ের মতো বন্ধুত্ব হারিয়ে ফেলি।'

বিহার ও আশপাশের অঞ্চলের মানচিত্র।

বিহার সরকারের ২০২৩ সালের 'জাতি শুমারি' অনুসারে, বিহারে ১৩ লক্ষ শেরশাহবাদী মুসলমানের মধ্যে আলম একজন। তাদের বেশিরভাগই কিষাণগঞ্জ ও কাটিহার জেলায় বাস করেন।

ভারতের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য বিহারে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন, যা জাতীয় রাজনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, জেলাগুলো বিজেপির 'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী' বিরোধী প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিহারে দুই দফায় ৬ই নভেম্বর এবং ১১ই নভেম্বর ভোট হবে এবং ১৪ই নভেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

শেরশাহবাদী মুসলিমরা কেন টার্গেট?

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী মোদী অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করার জন্য একটি 'উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশন' গঠনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, "কোনও দেশ নিজেকে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিতে পারে না।"

ভারতের হিন্দু ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলো প্রায়শই বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বাংলাভাষী মুসলিমদের নিশানা করতে 'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী' শব্দটি ব্যবহার করে। আসামে, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে বাংলাভাষী মুসলিমদের 'বহিরাগত' আখ্যা দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, বিহারের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৭ শতাংশ মুসলিম। এর একটি বড় অংশ সীমাঞ্চল (কিষাণগঞ্জ, কাটিহার, আরারিয়া, পূর্ণিয়া) জেলায় বাস করে, যা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সমালোচকরা অভিযোগ করছেন যে, বিজেপি এই 'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী' আখ্যা ব্যবহার করে ধর্মীয় ও ভাষাগত ভিত্তিতে ভোটারদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

আলম বলেন, গত দুই বছরে তার উদ্বেগ বেড়েছে কারণ মোদী নিজেই তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রচারণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি পূর্ণিয়াতে মোদী বলেন, "অনুপ্রবেশকারীদের কারণে আজ সীমাঞ্চলে একটি বিশাল জনসংখ্যাগত সংকট তৈরি হয়েছে," এবং প্রতিশ্রুতি দেন 'প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেওয়া হবে'।

'বাংলাদেশ থেকে রাক্ষস এসেছে'

বিজেপি-শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে তথাকথিত 'অবৈধ' বাংলাদেশীদের উপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং শত শত বাংলাভাষী মানুষকে নির্বাসিত করা হয়েছে, যদিও তাদের অনেকের কাছেই ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের বৈধ নথি ছিল।

সীমাঞ্চলের মুসলমানদের জন্য, বাংলাদেশী 'অনুপ্রবেশকারী'র জুজু একটি পরিচিত বুলি, যা এই অঞ্চলে মুসলিমদের জনসংখ্যা এবং বাংলাদেশের নৈকট্যের উপর ভিত্তি করে ছড়ানো হয়। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী এবং বিহার-ভিত্তিক বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং পূর্ণিয়াতে এক সমাবেশে বলেন: "বাংলাদেশ থেকে অনেক রাক্ষস এসেছে; আমাদের সেই রাক্ষসদের হত্যা করতে হবে।"

গত বছর সিং সীমাঞ্চলে একটি 'হিন্দু গৌরব মার্চ' আয়োজন করেন এবং বারবার বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের পাশাপাশি 'লাভ জিহাদ'-এর মতো বিতর্কিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

২০২৫ সালের ২২ আগস্ট বিহারের গয়ায় এক সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী [ছবি:সন্তোষ কুমার/হিন্দুস্তান টাইমস]

বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর এই প্রচারণাকে সমর্থন করে বলেন, "এটা সত্যি যে অনুপ্রবেশের কারণে সীমাঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে, তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেই হবে। যদি অনুপ্রবেশ বন্ধ না করা হয়, আগামী ২০-২৫ বছরে সীমাঞ্চল বাংলাদেশ হয়ে যাবে।"

তবে মুম্বাইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল স্টাডিজের প্রাক্তন অধ্যাপক পুষ্পেন্দ্র বিশ্বাস করেন যে বিজেপির এই মেরুকরণের কৌশল সীমাঞ্চলে সীমিত প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, "বিহারেও একই জিনিস ঘটবে কারণ সীমাঞ্চলে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ নেই। আর তা হবেই বা কীভাবে? সীমাঞ্চলের সাথে বাংলাদেশের কোনও সীমান্তই নেই।"

দশক-পুরানো প্রচারণা

ভারতে বাংলাভাষী মুসলিমদের বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী হিসেবে অভিযুক্ত করার অভিযান প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে আসামে। এই আন্দোলন বিহারে পৌঁছালে, ১৯৮০-র দশকে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি দাবি করে যে সীমাঞ্চলে ২০,০০০ বাংলাদেশী রয়েছে।

তাদের দাবির মুখে ভারতের নির্বাচন কমিশন প্রায় ৬,০০০ শেরশাহবাদী মুসলিমকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নোটিশ দেয়। তৎকালীন তরুণ কর্মী জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি পাল্টা অভিযানে নথি জমা দেওয়া হলে একটিও নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়নি। জাহাঙ্গীর বলেন, "পুরো ঘটনাটি এবিভিপি দ্বারা সাজানো হয়েছিল।"

এখন সীমাঞ্চলে আবার আসামের মতো জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালুর দাবি উঠছে, যার প্রধান উদ্দেশ্য 'অবৈধ' অভিবাসীদের চিহ্নিত করা। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সংসদে বলেন, "বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের কারণে কাটিহার, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ণিয়ার জনসংখ্যার চিত্র বদলে গেছে।" এর ফলে স্থানীয়দের মধ্যে নিজেদের বাড়ি ও সম্পত্তি হারানোর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

'সাম্প্রদায়িক বিভাজনের স্বাভাবিকীকরণ'

সম্প্রতি, ভারতের নির্বাচন কমিশন বিহারে ভোটার তালিকার একটি বিতর্কিত সংশোধন (এসআইআর) করেছে। এর ফলে কিষাণগঞ্জ, যেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ মুসলমান বাস করে, সেখানে ৯.৭ শতাংশ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে, যা রাজ্যের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী মন্তব্য করেন, "এর মানে বাংলাদেশীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে।"

প্রতিবছর বর্ষার বন্যায় বিপর্যস্ত বিহারের কাটিহার জেলায় নৌকায় চলাচল করেন স্থানীয় মানুষজন [সূত্র: শাহ ফয়সাল/আল জাজিরা]

তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নাম বাদ পড়ার প্রধান কারণ হল মৃত্যু, একাধিকবার নাম থাকা, বা অন্য জায়গায় চলে যাওয়া।

শিক্ষাবিদ পুষ্পেন্দ্র বলেন যে বিজেপির এই প্রচারণার উদ্দেশ্য শুধু সীমাঞ্চলে জেতা নয়। "সীমাঞ্চলের মুসলমানদের শয়তান বানানোর মাধ্যমে, তারা বিহারের বাকি অংশে হিন্দুদের মেরুকরণের চেষ্টা করছে যাতে নির্বাচনে আরও বেশি আসন জেতা যায়," তিনি বলেন।

'উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার অবস্থা'

এদিকে, শেরশাহবাদী মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রচারণার সামাজিক প্রভাবও পড়েছে। কিষাণগঞ্জে মুসলমানদের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিন্দু ছাত্রদের ভর্তির সংখ্যা কমছে। দশ বছর আগে যেখানে হিন্দু ছাত্র ছিল ১৬ শতাংশ, এখন তা মাত্র ২ শতাংশ।

অঞ্চলের স্বাস্থ্য খাতেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালের মালিক আজাদ আলম বলেন, "হিন্দু রোগীরা মুসলমানদের, বিশেষ করে শেরশাহবাদীদের দ্বারা পরিচালিত হাসপাতালে যেতে দ্বিধা বোধ করেন।"

যদিও সীমাঞ্চলের অনেক হিন্দু এই বিভাজনে বিশ্বাস করেন না, কাটিহারের আইনজীবী অমরিন্দর বাঘি, যিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, তিনি মনে করেন 'অবৈধ' মুসলমানরা দেশে প্রবেশ করেছে এবং সরকারের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সমাজবিজ্ঞানী আদিল হোসাইন বলেন, "সীমাঞ্চলে উন্নয়নের সমস্যা রয়েছে, কিন্তু অবৈধ অনুপ্রবেশের জুজু তুলে ধরে এটিকে একটি নিরাপত্তা সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। এটি মানুষকে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।"

কিষাণগঞ্জে ফিরে, আলম আসন্ন নির্বাচনের আগে এই প্রচারণা নিয়ে চিন্তিত। "প্রতিবার যখন রাজনীতিবিদরা শেরশাহবাদী মুসলমানদের নিয়ে মন্তব্য করেন, আমাদের স্পষ্ট করে বলতে হয় যে আমরা অনুপ্রবেশকারী নই। আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে," তিনি কাঁপানো গলায় বলেন। "একজন শেরশাহবাদী মুসলমান হওয়ায়, সেই মন্তব্যগুলো আমার মনে একটি রোগের মতো... একটি ভূতের মতো ঘুরপাক খায়।"

Related Topics

টপ নিউজ

ভারত-বাংলাদেশ / বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী / অনুপ্রবেশকারী / ভারতীয় মুসলিম

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: মিনহাজ উদ্দিন/ টিবিএস
    ৩০ বছরের জন্য বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের দুই টার্মিনাল ও পানগাঁও, চুক্তি ডিসেম্বরে
  • ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
    এখন থেকে প্রত্যেক ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে ‘বাংলা কিউআর’ বাধ্যতামূলক
  • ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ছবি: হোয়াইট হাউজের সৌজন্যে
    বিশ্বজুড়ে স্বর্ণ উন্মাদনা: রেকো ডিক খনি ঘিরে পাকিস্তানের ১৫০ বিলিয়ন ডলারের স্বপ্ন
  • ছবি: স্ক্রিনগ্র্যাব
    পঞ্চগড়ে এনসিপির কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় নেসকোর কর্মকর্তাদের কলিজা ছিঁড়ে ফেলার হুমকি সারজিসের
  • ছবি: এপি
    কী এই বিরল খনিজ; কেনই বা একে কেন্দ্র করে চীনকে হুমকি দিচ্ছেন ট্রাম্প?
  • ছবি: সংগৃহীত
    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সিনিয়র সচিব এহছানুল হক

Related News

  • বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে ‘অনুপ্রবেশের’ কারণেই ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে: অমিত শাহ
  • ভারতে আ.লীগের অফিস স্থাপনের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করল দিল্লি
  • চার মাস পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
  • রাজ্য নির্বাচনের আগে ভারতে চলছে মুসলিম উচ্ছেদ ও বাংলাদেশে পুশইনের অভিযান
  • মুসলিম নাগরিকদের অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

Most Read

1
চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: মিনহাজ উদ্দিন/ টিবিএস
অর্থনীতি

৩০ বছরের জন্য বিদেশি অপারেটরদের হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের দুই টার্মিনাল ও পানগাঁও, চুক্তি ডিসেম্বরে

2
ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
অর্থনীতি

এখন থেকে প্রত্যেক ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে ‘বাংলা কিউআর’ বাধ্যতামূলক

3
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ছবি: হোয়াইট হাউজের সৌজন্যে
আন্তর্জাতিক

বিশ্বজুড়ে স্বর্ণ উন্মাদনা: রেকো ডিক খনি ঘিরে পাকিস্তানের ১৫০ বিলিয়ন ডলারের স্বপ্ন

4
ছবি: স্ক্রিনগ্র্যাব
বাংলাদেশ

পঞ্চগড়ে এনসিপির কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় নেসকোর কর্মকর্তাদের কলিজা ছিঁড়ে ফেলার হুমকি সারজিসের

5
ছবি: এপি
আন্তর্জাতিক

কী এই বিরল খনিজ; কেনই বা একে কেন্দ্র করে চীনকে হুমকি দিচ্ছেন ট্রাম্প?

6
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সিনিয়র সচিব এহছানুল হক

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net