পুতিন কেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এড়িয়ে চলেন, ব্যাখ্যা দিল ক্রেমলিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্যক্তিগতভাবে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট চালু করার পরিকল্পনা করছেন না বলে সোমবার তাস সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট 'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিত' রয়েছেন ক্রেমলিনের অফিসিয়াল চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে। তবে তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে এতে যুক্ত হতে চান না, কারণ 'আগেও বহুবার বলেছেন, এটা তার পছন্দের বিষয় নয়।'
পেসকভ আরও জানান, ক্রেমলিনের কর্মীরা নিয়মিতভাবে পুতিনকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চলতি প্রবণতা সম্পর্কে অবহিত করেন। এছাড়া তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনেরাও মাঝে মাঝে অনলাইনের খবর তাকে জানান।
২০১৭ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, তার ব্যস্ত সময়সূচির কারণে ইন্টারনেটে ঘোরাঘুরি করার সময় নেই। তিনি আরও বলেন, অবসর সময় পেলেই তিনি তা কাটান শরীরচর্চা বা এমন কিছু কাজে, যা তাকে মানসিকভাবে স্বস্তি দেয়।
তিনি বলেন, 'আমি আমার সময়সূচি এমনভাবে সাজাই, যাতে সৃজনশীল বিকাশের জন্য সময় বের করতে পারি—যেমন সংগীত শোনা, খেলাধুলা করা বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া। যদি এসবের জন্য সময় না পাওয়া যায়, তাহলে আর কোনো কিছুর জন্যই সময় বের করা সম্ভব নয়।'
ভ্লাদিমির পুতিন মোবাইল ফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলার জন্য পরিচিত। তার সমর্থকরা মনে করেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এই সতর্কতার কারণের মধ্যে একটি হলো নজরদারির আশঙ্কা। ২০১৫ সালে এনএসএর হুইসেলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেন ফাঁস করা নথিতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি নেতাদের ফোনে আড়ি পেতেছিল—যার মধ্যে ঘনিষ্ঠ মিত্র, তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও ছিলেন।
এই ঘটনার পর থেকেই পুতিনের মোবাইল যোগাযোগ এড়িয়ে চলার প্রবণতা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।