যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত, তাকে দেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না: আসিফ

যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'ভাইয়া, আমাকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হইনি। ইউ নো হু।'
তিনি লেখেন, 'যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।'
তিনি আরও লেখেন, 'বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে বরং খুনিদের এনডোর্স করা ছাড়াও শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, মানিলন্ডারিং, ফাইন্যান্সিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, ফেস ইট।'
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে না পারায় ক্রীড়া উপদেষ্টাকে পরোক্ষভাবে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে দুবাইয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান লড়াই নিয়ে যখন ক্রিকেটপ্রেমীরা ব্যস্ত ছিলেন, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাকিব ও আসিফের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বাকযুদ্ধ।
দু'জনেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে কারও নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। তবে কাকে উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছিল।
এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুরু হয় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবের একটি পোস্ট থেকে। রোববার রাত ৮টা ৫২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সেই সঙ্গে শেয়ার করেন পুরোনো এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সঙ্গে তোলা একটি ছবি।
সাকিবের পোস্টে নানা মহলের ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
রাত ১০টা ৪ মিনিটে সাকিবের পোস্টের জবাবে ইঙ্গিত করে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে আসিফ লেখেন, 'একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। কিন্তু আমি সঠিক ছিলাম। এখানেই আলোচনা শেষ।'
পরে তিনি সেই পোস্ট নিজের ভেরিফায়েড পেজেও শেয়ার করেন। সেখানেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।
এরপর পাল্টা জবাবে রাত ১১টা ১৯ মিনিটে সাকিব লেখেন, 'যাক শেষমেষ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরবো হয়তো কোন দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ'