ঢাকায় কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

রাজধানীতে কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পরিকল্পনাবিদদের সম্পৃক্ততা, ট্রাফিক পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়, নাগরিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধকে অপরিহার্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা।
তাদের মতে, সেন্ট্রালাইজড ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইটিএমএস) সময়োপযোগী উদ্যোগ হলেও টেকসই বাস্তবায়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত, গবেষণা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।
সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজিত 'অ্যাডভান্সিং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট থ্রু সিগন্যাল কন্ট্রোল: অপারেশন, প্ল্যানিং অ্যান্ড পলিসি পার্সপেকটিভস' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ মত দেন। রাজধানীর বিআইপি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান সঞ্চালনা করেন।
মূল প্রবন্ধে গুলশান-১ এলাকায় সিটিএমএস পরীক্ষামূলক বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা ও সুপারিশ তুলে ধরেন ট্রাফিক্সের প্রতিষ্ঠাতা মো. আশরাফুল আলম রতন, সিগমাইন্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবু আনাস শুভম এবং ট্রান্সপোর্ট প্রফেশনালস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ নুরুল হাসান।
ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, "সিআইটিএমএসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তমূলক উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা গেলে এটি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করবে।"
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নিলিমা আখতার বলেন, "সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারলে যেকোনো সমস্যা সমাধান সম্ভব।" তিনি কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে দায়িত্ব নির্ধারণ, অর্থায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) আবু সুফিয়ান আহমেদ বলেন, "ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনাগত দিক থেকে বিআইপি ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে।" তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার সহযোগিতায় ডিএমপি ঢাকায় উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইপি'র কোষাধ্যক্ষ ড. মোসলেহ উদ্দীন হাসান, বোর্ড সদস্য আবু নাইম সোহাগ ও মো. ফাহিম আবেদিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক ও পেশাজীবীরা।