ফরিদপুরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদ: অবরোধে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, ২৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে আলগী ইউনিয়ন ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি নগরকান্দা উপজেলায় সংযুক্ত করার প্রতিবাদে ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচিতে আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকেই যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করেছে। কোথাও অবরোধকারীদের দেখা যায়নি। সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অবরোধস্থলগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গতরাতে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ম ম সিদ্দিক মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। শনিবার রাতে তাকে নগরকান্দা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় বলা হয়, 'ফরিদপুর-৪ আসনের পুনর্বিন্যাসের দাবিতে ম ম সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে একদল বিক্ষোভকারী ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সুয়াদী এলাকায় সিসিবিএল পেট্রোল পাম্পের সামনে সমবেত হন। তারা রাস্তায় গাছ ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। পুলিশের বাধা অমান্য করে তারা আরও উত্তেজিত অবস্থান নেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মৌখিক সতর্কতা দিয়ে ধাওয়া করলে বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে যান এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।'
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, 'পলাতক ও অজ্ঞাত আসামিরা অবরোধের নামে শক্তি প্রদর্শন করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করেছেন এবং মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে তারা দ্রুত বিচার আইন ২০০২ (সংশোধিত ২০১৪) এর ৪(১)/৫ ধারার অপরাধ করেছেন।'

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মামলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বলেন, '৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও এক থেকে দেড়শ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের আসন পুনর্বিন্যাসের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে গেজেট প্রকাশের পর পাঁচ দিন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এতে ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যান চলাচল ব্যাহত হয়।