ভৈরহাওয়া বিমানবন্দর ও কাঠমান্ডুতে কান্তিপুর টিভির প্রধান কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ
নেপালে জেন-জিদের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে ভয়াবহ সহিংসতায় ভৈরহাওয়া শহরের গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং রাজধানী কাঠমান্ডুর কান্তিপুর টিভির প্রধান কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
কাঠমান্ডু পোস্টের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভৈরহাওয়ায় বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং সেখানে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা চারটি সরকারি গাড়িতে আগুন দেয় এবং কিছু নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
অন্যদিকে, কাঠমান্ডুতে নেপালের বৃহত্তম গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান কান্তিপুর মিডিয়া গ্রুপের ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এর ফলে কান্তিপুর টেলিভিশন, রেডিও কান্তিপুর ও কাঠমান্ডু পোস্টসহ প্রতিষ্ঠানের সবকটি কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৯৯৩ সাল থেকে সংবাদ পরিবেশনকারী এই গ্রুপের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত কাঠমান্ডুর সেন্ট্রাল বিজনেস পার্কে।
আনন্দবাজার নিউজ এজেন্সি (এএনআই) প্রকাশিত ভিডিওতে কান্তিপুর টিভির প্রধান কার্যালয় ভবনে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। নেপালি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ভবনে আগুন ধরানোর আগে কর্মীদের বের করে দেয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া কান্তিপুর ও কাঠমান্ডু পোস্টের অনলাইন সংস্করণও অচল হয়ে পড়েছে, ফলে দেশজুড়ে পাঠকেরা অনলাইনে সংবাদ পেতে বিঘ্নের মুখে পড়েছেন।
কাঠমান্ডুর অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল পদত্যাগ করেন।
জেন-জিদের নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় দিনের গণবিক্ষোভের পর এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা দুর্নীতি, বাক-স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে জবাবদিহিতার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
শুধু সোমবারেই কাঠমান্ডুর ফেডারেল পার্লামেন্ট ও অন্যান্য স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ২২ জন বিক্ষোভকারী নিহত এবং প্রায় ৫০০ জন আহত হন।
এরপর দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ জারি ও বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু আজ সকালে বিক্ষোভকারীরা কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে আসেন।
