পুলিশের কার্যকারিতা নিয়ে আইজিপির ‘অসন্তুষ্টি’

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম স্বীকার করেছেন যে, ব্যাপক উত্থান-পতনের পর পুলিশ বাহিনীর মনোবল এখনও পুরোপুরি ফিরে আসেনি। তিনি বলেন, 'প্রধান চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে, এরকম একটা ট্রমাটিক এক্সপেরিয়েন্সের পরে এই আমার ফোর্সটাকে গুছাইয়া তাদেরকে সেন্ট পার্সেন্ট ইফেক্টিভ করা। এই জায়গাটায় কিন্তু আমি এখনও সন্তুষ্ট না- আপনারা যা ই বলেন। আমি এখনও এই প্রক্রিয়ায় আছি।'
শনিবার (১২ জুলাই) গেন্ডারিয়ায় ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স পরিদর্শনে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা ও সহিংস ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের চলমান প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
গত বছর ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে থানাগুলোতে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দমন-পীড়ন ও ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনাও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, আন্দোলন চলাকালীন বাহিনীর ৪৪ জন সদস্য প্রাণ হারান।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পুলিশকে পুরোপুরি কর্মক্ষম করতে অনেক সময় লেগে যায়; সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। আইজিপি বাহারুল আলম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে 'চিহ্নিত' অপরাধীদের এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি একাধিক প্রতিরোধমূলক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি স্বীকার করেন, 'আমরা এই চেষ্টাটা করে যাচ্ছি। আপনারা বলতে পারেন, সেন্ট পার্সেন্ট সফল হইনি। মেবি আমরা ৫০ ভাগও সফল হয়তোবা হইনি। যে ধরনের বিস্তৃতি দেখা যাচ্ছে, তাতে করে আমাদেরকে উপায় খুঁজতে হবে।'
এমন পরিস্থিতির উন্নতিতে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে সহায়তা চাওয়ার প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, 'সব দলেরইতো আমরা সাহায্য চাই।'
আইজিপি আরও বলেন, 'আমরা নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং ঐতিহাসিক নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। এইখানে আমরা সর্বক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা চাইব।'