গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার, গ্রেপ্তার ১

শিল্পকারখানায় চাঁদাবাজিসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর বিএনপির ৪ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন—গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার (পাপ্পু), গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুল হালিম মোল্লা, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য জিয়াউল হাসান (স্বপন) ও টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম (সাথী)।
বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরনের কার্যকলাপ দলীয় শৃঙ্খলা এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী। সুতরাং এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও, বহিষ্কৃত সব নেতাকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পৃথক চিঠি দিয়ে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, বহিষ্কৃত জিয়াউল হাসান স্বপনকে চাঁদাবাজির এক মামলায় রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম বলেন, "বহিষ্কৃত চারজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির হাই কমান্ড তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"