অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও আ.লীগ নিষিদ্ধে মাঠে নামা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের মাঠে নামতে হচ্ছে। এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা।
আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এনসিপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৬ বছরের গল্প আমরা সবাই জানি, কীভাবে আওয়ামী লীগ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে তিনটি নির্বাচন চুরি করেছিল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না, এটি একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন ছিল। এটিকে নিষিদ্ধ করে এর বিচার ও সংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এই সরকার শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেনি। এই নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের খুনী নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দিতে অপারগতা জানিয়েছে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা সন্দেহ প্রকাশ করছি এই নির্বাচন কমিশন কার পারপাজ সার্ভ করবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি সাংবাদিকেরা শেখ হাসিনার করা খুন নিয়ে প্রশ্ন করছে। আমরা বলতে চাই এই সাংবাদিকেরা খুনীদের দোসর।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশে যে বক্তব্য রাখছেন নেতাকর্মীরা
জুলাই ঘোষণাপত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র আসছে না। অবিলম্বে জুলাই সনদ কার্যকর করতে হবে। সেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগকে নিষেদ্ধের কথা উল্লেখ করতে হবে। আমরা নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন চাই।
নাহিদ বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই শৃঙ্খলিত দল হিসেবে জনগণের কাছে যাব। আমরা প্রতিটি বাড়ির দরজায় যাব। পাড়া-মহল্লায় জনতার আদালতের মঞ্চ তৈরি করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে পূর্ববঙ্গের বাঙালি মসুলমানদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের ফলে আমরা আমাদের আজকের ভূখণ্ডের সীমানা পেয়েছিলাম। পাকিস্তানে আমরা সাময়িক শামিল হলেও পরে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করি। মুজিববাদী সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে এদেশের ইসলামপন্থী জনগণের মূল্যবোধকে অপমান করেছিল। গণতন্ত্রের নামে বাকশাল কায়েম করেছিল।
সমাবেশে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনীম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব প্রমুখ বক্তব্য দেন।