গোপালগঞ্জের মানুষকে আমরা মুজিববাদ থেকে মুক্ত করব: নাহিদ

'গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে আমরা মুজিববাদ থেকে মুক্ত করব' বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে এনসিপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম, 'গতকাল গোপালগঞ্জে রিফাইন আওয়ামী লীগের একটি সংস্করণ দেখা গেছে, যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। যারা রিফাইন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের সন্ত্রাসী আচরণ আমরা ৫ আগস্ট পরাজিত করেছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বলছি, এইসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। অন্যথায় আমরা খুব দ্রুত গোপালগঞ্জ অভিমুখে মার্চ করব। তবে এবার ফেরার জন্য নয়, গোপালগঞ্জের মানুষকে চিরতরের জন্য মুজিববাদ থেকে মুক্ত করে তারপর আমরা ফিরব।'
তিনি বলেন, 'আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করব, গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষদের যেন অযথা হয়রানি না করা হয়। কিন্তু যারা ফ্যাসিস্ট, সন্ত্রাসী—তাদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে। বিচারবহির্ভূতভাবে চারজন মানুষ নিহত হয়েছেন। এজন্য আমরা ৫ আগস্টের পর থেকেই বলে আসছি, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আর কেউ গ্রেপ্তার হলেও তারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছে, বিচারপ্রক্রিয়া এগোচ্ছে না। প্রশাসনের মধ্যে যারা স্বৈরাচারের দোসর এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আছেন, তাদের বিচারের দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।'
নাহিদ বলেন, 'যারা ভেবেছিল আমাদের জুলাই পথযাত্রা হামলা ও সশস্ত্র আক্রমণ করে থামিয়ে দেবে, তারা ভুলে গেছে কাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা শুনেছি, গোপালগঞ্জ ফ্যাসিস্টদের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সারাদেশে যাদের নামে মামলা রয়েছে, যারা ফেরারি আসামি—নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এমন নেতারা সেখানে অবস্থান করছিল এবং পরিকল্পিতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'জাতীয় নাগরিক পার্টি চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে ৬৪ জেলায় যাবে। আমরা ৩ আগস্টের মধ্যেই দেশের সব জেলায় সমাবেশ করব।'
পথসভায় যোগ দেওয়ার আগে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা ফরিদপুর সার্কিট হাউজ থেকে পদযাত্রা করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে উপস্থিত হন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, ফরিদপুর জেলা এনসিপির সমন্বয়ক সৈয়দা নীলিমা দোলা প্রমুখ।
পরে তারা রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে ফরিদপুর ত্যাগ করেন।