সব চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে মাগুরার সেই মেয়েটি

মাগুরায় নির্যাতিত হওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ (১৩ মার্চ, ২০২৫) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। সিএমএইচ-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।
এর আগে, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করে তার বোনের শ্বশুর, যাকে তার ছেলের সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে তার মা হাসপাতালে আসেন এবং বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ঢামেক হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। তার চিকিৎসায় সিএমএইচের প্রধান সার্জনের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এই বোর্ডে পেডিয়াট্রিক সার্জারি, গাইনি ও অবস্টেট্রিক্স, প্লাস্টিক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি, অ্যানেসথেসিয়া, পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি, ইউরোলজি এবং থোরাসিক সার্জারির বিশেষজ্ঞসহ আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন।
এদিকে, মাগুরার একটি আদালত মামলার চার আসামিকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। আসামিরা হলেন- ভুক্তভোগীর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৪২); তার বোনের স্বামী সজিব শেখ (১৮); শাশুড়ি জাহেদা খাতুন (৪৫); এবং ভাশুর রাতুল শেখ (২০)।
নিরাপত্তাজনিত কারণে রোববার (৯ মার্চ) আসামিদের আদালতে হাজির করতে না পারায় গভীর রাতে শুনানি শুরু হয়।