প্রবাসীদের জন্য প্রক্সি ভোটের সুপারিশ করেছে ইসি

প্রবাসীদের ভোটের সুযোগ দিতে প্রক্সি ভোটের চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাইলে প্রক্সি ভোটের দিকে যেতে হবে।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন এবার আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট নিশ্চিত করতে চাই। আশ্বাস নয়, বাস্তবায়ন করতে চাই। এই আলোকে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কমিটিকে এ বিষয়ে প্রস্তাব দিতে দায়িত্ব দেয়।
কমিটি তিনটি পদ্ধতি সুপারিশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পোস্টাল ব্যালট। আরেকটি অনলাইন ভোটিং। তবে অনলাইন ভোটিং তেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। আরেকটি প্রস্তাব হলো প্রক্সি ভোট। অর্থাৎ প্রবাসী বাংলাদেশির হয়ে কেউ একজন তার এলাকায় ভোটটা দিয়ে দিবে।
তিনি বলেন, তারা এটাও সুপারিশ করেছে যদি আগামী নির্বাচনে সত্যিকার অর্থেই প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই, তবে প্রক্সি ভোটিংয়ে যেতে হবে। বর্তমানে কয়েকটি দেশে বিভিন্ন পরিসরে প্রক্সি ভোটিং প্রচলিত আছে। তারমধ্যে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। আর ভারতে শুধু সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য এটি প্রচলিত আছে।
প্রক্সি ভোট খুব কম সময়ে রিয়েল টাইমে করা সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিলের মধ্যে একটা কর্মশালা হবে। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটকে আমরা আমন্ত্রণ জানাবো৷ প্রাথমিকভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এমআইএসটি-কে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রবাসী ভোটারের প্রকৃত তথ্য যদিও নেই৷ তবে ৪৪ মিশনের তথ্য অনুযায়ী ১ কোটি ৩২ লাখের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে যদি ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ধরে নিই, তবে ভোটার তো এক কোটি৷
যারা ভোটার হয়েছেন তারা ভোট দেওয়ার যোগ্য কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি বলেন, যাদের ভোটার তালিকায় নাম আছে তারাই কেবল প্রক্সি ভোট দিতে পারবে। এ জন্য ৪০ টি দেশে আমরা ভোটার কার্যক্রম চালাবো, তবে আগামী নির্বাচনের আগে কতটুকু পারবো জানি না।
চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, "একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গ্লোবালি একসেপ্টেড কোনো সিস্টেম আমাদের হাতে নেই। এ রকম যদি থাকতো তাহলে সেটাই করতাম। বিশেষজ্ঞরাই আসলে বলতে পারবে কতদিন লাগবে। তবে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে আমরা বলতে পারবো কত সময় লাগবে।"
এই পদ্ধতিতে একজন প্রবাসী তার ভোট কে দেবেন সেই ব্যক্তিকে পছন্দ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।