যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফের বিমান চলাচল শুরুর প্রস্তাব রাশিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুরস্কে অনুষ্ঠিত 'তাৎপর্যপূর্ণ ও ব্যবসায়িক' আলোচনায় তারা এ প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা জানায়নি রাশিয়া। তবে এ ঘোষণার পর রুশ বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লোটের শেয়ারের দাম ৩.৮ শতাংশ বেড়ে যায়।
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক পশ্চিমা দেশ মস্কোর সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিমান চলাচল পুনরায় চালু হলে এটি হবে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের সবচেয়ে বাস্তব অর্থনৈতিক ফলাফল।
ট্রাম্প ও পুতিনের ১২ ফেব্রুয়ারির ফোনালাপ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ইস্তাম্বুলে ছয় ঘণ্টার কূটনৈতিক বৈঠকটি আয়োজিত হয়।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে উভয় পক্ষ। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও সম্ভাব্য বড় ব্যবসায়িক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী হলেও আপাতত তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পুতিন জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক যোগাযোগ হয়েছে। তিনি ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) এই প্রচেষ্টায় বিঘ্ন না ঘটানোর সতর্কবার্তা দেন।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইস্তাম্বুলের বৈঠকে উভয় পক্ষ বিগত মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসা বিভিন্ন 'বাধা' দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে।
এছাড়া, উভয় দেশের দূতাবাসের অর্থায়ন নির্বিঘ্ন করা ও কূটনীতিকদের স্বাভাবিকভাবে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করতে কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে।
২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে জব্দ হওয়া রাশিয়ার ছয়টি দূতাবাস ভবন ফেরতের বিষয়টিও বৈঠকে উত্থাপন করে রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, 'উভয় দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, মার্কিন পক্ষকে বিমান যোগাযোগ ফের শুরুর সম্ভাবনা বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।'
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায় যে আলোচনায় দূতাবাসের জনবল, ভিসা ও কূটনৈতিক ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিষয় উঠে আসে।
তবে তারা বিমান যোগাযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ওয়াশিংটন জানায়, উভয় দেশ তাদের কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম 'স্থিতিশীল' করতে প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ চিহ্নিত করেছে। উভয় পক্ষ আবারও বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে।