পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার

রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবি ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় রুজুকৃত মামলার অন্যতম আসামি সাঈদ ফজলুল করিম স্বপনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মতিঝিল থানা পুলিশ।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার মধ্যরাত আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব শিয়াচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তকের মলাটে গ্রাফিতির বিষয়কে কেন্দ্র করে মতিঝিলে এনসিটিবি ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায়—- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কর্তৃক ১৭ জানুয়ারি তারিখে মতিঝিল থানায় এজাহারনামীয় ১৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০০/৩০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাঈদ ফজলুল করিম স্বপন (৪২) উক্ত মামলার তদন্তে প্রাপ্ত অন্যতম আসামি।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, আলোচিত এই মামলাটি তদন্তকালে সংঘর্ষের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও সংগৃহীত বিভিন্ন ভিডিও পর্যালোচনায় উক্ত সংঘর্ষে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠার ওপর আঘাতকারী সাঈদ ফজলুল করিম স্বপনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় স্বপনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মতিঝিল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব শিয়াচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি রাতে এজাহারনামীয় আসামি আরিফ আল খবির (৩৮) এবং মোঃ আব্বাসকে (২৪) গ্রেপ্তার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। পরবর্তীতে গত ২৯ জানুয়ারি রাতে মো. হাবিবুর রহমানকে, এবং ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. শাহাদাৎ ফরাজী সাকিবকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। এনিয়ে এই মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি ও মতিঝিল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত স্বপনকে মতিঝিল থানার মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।