তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ৪৬ জনের সবার নাম প্রকাশ করা হয়নি: আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাদের সবার নাম তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে প্রকাশ করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন এই আদালতের প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটিতে) অভিযোগ পড়ে শোনানোর সময় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও অধ্যাপক জাফর ইকবালের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় তাজুল ইসলাম বলেন, 'তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে আমরা সবার নাম প্রকাশ করছি না। এসব ব্যক্তিকে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তাজুল ইসলাম।
আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি জানান, জুলাই গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারীকে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের যে অঙ্গীকার, তারই অংশ হিসেবে হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এবং আদালত সেটা জারিও করেছেন।
জুলাই-আগস্টে দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন।
তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মাধ্যমে পূরণ হয়েছে।
সরকারের অনুরোধ এবং আইসিটিতে উত্থাপন করা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।