আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চলে যৌথ অভিযানে আটক ১৪ জন

ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে পোশাক কারখানায় ভাঙচুর, হামলা ও পোশাক খাতে অস্থিরতা তৈরির সঙ্গে যুক্ত এমন সন্দেহভাজন মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন সময়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া এবং সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ।
পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, "শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা তৈরির পাশাপাশি পোশাক কারখানায় হামলা-ভাঙচুরের সাথে জড়িত এমন সন্দেহভাজন মোট ১৪ জনকে আমরা আটক করেছি। এর মধ্যে ১১ জনকে আশুলিয়া থেকে এবং ৩ জনকে সাভার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।"
এছাড়াও এসব বিশৃঙ্খলার সাথে আটকদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়েও যাচাই-বাছাই চলছে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় নারী-পুরুষের সমানুপাতিক হারে নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকরা। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড তৈরি করে অবরোধ করেন ও বিভিন্ন কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।
এমন পরিস্থিতিতে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বাইপাইল থেকে জিরাবো পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবস্থিত অন্তত ৩০টি কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে সেদিন সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ অভিযান পরিচালনার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
বৈঠকে বিশৃঙ্খলায় জড়িত বহিরাগতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এছাড়া অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে সব কারখানা চালু রাখতে মালিকদের অনুরোধ জানান তিনি।
যৌথ অভিযানের ঘোষণায় গতকাল অনেকটাই শান্ত ছিল আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল। শিল্প পুলিশ সূত্র জানিয়েছিল, গতকাল সকাল থেকে কিছু কারখানা ব্যতীত অধিকাংশ কারখানা খোলা ছিল এবং সেগুলোতে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চলেছে।