ইউরোপিয়ান ফিল্ম একাডেমির প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ

ক্যারিয়ারে একের পর এক সফলতা অর্জন করছেন অস্কারজয়ী ফ্রেঞ্চ অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ। এবার ইউরোপিয়ান ফিল্ম একাডেমির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ৬০ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী।
মূলত বিখ্যাত পোলিস সিনেমা নির্মাতা অ্যাগনিয়েসকা হল্যান্ডের স্থলাভিষিক্ত হবেন বিনোশ। সংস্থাটির এই প্রথম নারী এই প্রেসিডেন্ট পদটি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর তাকে মনোনীত করা হয়েছে।
সময়ের পরিক্রমায় ইউরোপিয়ান ফিল্ম একাডেমির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিখ্যাত সব ব্যক্তি। ১৯৮৯ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সুইডিশ সিনেমা নির্মাতা ইংমার বার্গম্যান। এরপর ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নেন জার্মান সিনেমা নির্মাতা উইম ওয়ান্ডার্স। টানা ২৪ বছর তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে একাডেমির সিইও ম্যাথিসজ ওউলটার নল ও বোর্ডের প্রধান মাইক ডাওনি বলেন, "আমরা হল্যান্ডের ইচ্ছার (পদত্যাগ) প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে চাই। আমরা সম্মত যে, চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি দায়িত্বগুলি (প্রেসিডেন্ট) যতই অনুপ্রেরণাদায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন তা কখনও কখনও শিল্প তৈরির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।"

৫২ টি ইউরোপিয়ান দেশের একাডেমি সদস্যদের কাছে পাঠানো ঐ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "এই ধরনের সিদ্ধান্ত উপলব্ধি করায় যে, হল্যান্ডের কাজের জন্য আমরা তার কাছে কতটা ঋণী। অসাধারণ সমর্থন, শক্তি ও দৃঢ় দৃষ্টির মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন। তাই ইউরোপিয়ান ফিল্ম একাডেমির পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
হল্যান্ডের গতবছর মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা 'গ্রিন বর্ডার' ভেনিসে 'স্পেশাল জুরি প্রাইজ' পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি কাফকা'র বায়োপিক 'ফ্রাঞ্জ' নির্মাণ করতে যাচ্ছেন; যাতে মাইক ডাউনি সহ-প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন।
বিনোচ ইউরোপিয়ান ফিল্ম একাডেমির কার্যকরী সদস্য হিসেবে বহু বছর ধরেই কাজ করছেন। চলতি বছরের পহেলা মে থেকে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
ক্যারিয়ারজুড়ে প্রায় ৬০ টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন বিনোশ। গতবছর মুক্তিপ্রাপ্ত 'দ্য টেস্ট অব থিংগস' সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান