Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
May 25, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, MAY 25, 2025
আত্মহত্যা: আমাদের বলার ও শোনার মতো কোনো গল্প না থাকা

মতামত

শাহানা হুদা রঞ্জনা
15 March, 2024, 12:40 pm
Last modified: 15 March, 2024, 12:42 pm

Related News

  • জুলাই আন্দোলনে শহিদ পিতার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়ের ‘আত্মহত্যা’
  • কাশ্মীর সংকটে উত্তেজনা নয়, দুই দেশের যৌথ সমাধানই একমাত্র পথ
  • কয়েকটি প্রস্তাবের ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠাল ইসি
  • ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে, এর অন্য কোনো নাম নেই
  • আরেফিন স্যার, অভিবাদন গ্রহণ করুন, আপনার স্থান আমাদের হৃদয়ে

আত্মহত্যা: আমাদের বলার ও শোনার মতো কোনো গল্প না থাকা

শাহানা হুদা রঞ্জনা
15 March, 2024, 12:40 pm
Last modified: 15 March, 2024, 12:42 pm
শাহানা হুদা রঞ্জনা। অলংকরণ: টিবিএস

বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ তকিউল্লাহ ৬৬ বছর বয়সে এসে যখন স্বেচ্ছামৃত্যুকে বেছে নিয়েছেন, সমাজের কাছে তা এক দারুণ বিষাদময় ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আত্মহত্যা নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন, ভুল ব্যাখ্যা, ভয় এবং কুসংস্কার কাজ করে। সাদি মহম্মদের আত্মহনন নিয়েও বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। এই বয়সে তিনি কেন চলে গেলেন? এর জন্য দায়ী কি তাঁর একাকিত্ব, অতীতের ট্রমা, মায়ের ওপর নির্ভরতা, বন্ধু-স্বজনদের পাশে না থাকা ইত্যাদি? প্রতিটি আত্মহত্যার পেছনে যিনি আত্মহত্যা করেন, তার নিজস্ব কিছু কারণ থাকে। প্রতিটি মানুষ আলাদা, তাদের আবেগ-অনুভূতিও আলাদা। একজন যেভাবে পৃথিবীকে দেখছেন, আরেকজন সেই দৃষ্টিতে পৃথিবীকে দেখবেন না, এটাই স্বাভাবিক। 

তাই কেউ কেন সুইসাইড করল, এটা চট করে বলা খুব কঠিন। বিভিন্ন সময়ে ডাক্তাররা কারণ বের করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তারাও স্বীকার করেছেন যে একজন মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের মানসিক অবস্থার কথা খুলে না বলেন, ততক্ষণ তার মনের মধ্যে ঠিক কী ঘুরছে তা বোঝা কঠিন। তেমনি কেন সে আত্মহত্যা করল, এটা জানাও প্রায় অসম্ভব। 

স্কটিশ দার্শনিক ডেভিড হিউম ১৭ শতকে তাঁর 'আত্মহত্যা'বিষয়ক প্রবন্ধে লিখেছিলেন, 'আমি বিশ্বাস করি কোনো মানুষ কখনোই তার জীবনকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সেই জীবনটা তার কাছে মূল্যবান থাকে।' 'অনেককিছুই একজন ব্যক্তির বোঝার ক্ষমতা, অভিজ্ঞতা এবং পরিবেশকে নাড়াচাড়া করতে পারে, কেন সে নিজেই নিজের জীবন কেড়ে নেয়, তা আমরা কোনোদিনও জানতে পারব না। আমরা জানতে পারব না একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিচার-বিবেচনা ও যুক্তি ঠিক সুইসাইড করার আগের মুহূর্তে কী থাকে।' আজকের দিনে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, আমরা অনুভব করি বিষাদগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকা দরকার, ট্রমার পেশেন্ট, ডিপ্রেশনের পেশেন্ট, সুইসাইডাল পেশেন্টের দ্রুত ও যথাযথ ট্রিটমেন্ট দরকার এবং ডিপ্রেশনের রোগীকে বুঝিয়ে বা কৌশলে কাউন্সেলিং করানো উচিত। তখনই আলোচনায় আসে বিষণ্ণতা, ট্রমা, ফোবিয়া ও আত্মহত্যা করার প্রবণতা মারাত্মক রোগ। 

অনেক পরিবার বুঝতেই পারে না বা বুঝতে চায় না বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে কেন মানুষ বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। জানে না সিচুয়েশনাল অথবা ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের কথা, জানে না বাইপোলার, সিজোফ্রেনিয়া ও বর্ডারলাইন ডিজিজ কী। আমাদের মধ্যে যারা আত্মহত্যা করছেন, তারা আসলে নিজে বাঁচার উপায় হিসেবেই স্বেচ্ছামৃত্যুকে বেছে নেন। বিষণ্ণতা থেকে যখন নেতিবাচক আবেগ তৈরি হয়, আশা চলে যায়, যখন অবলম্বন হিসেবে অন্য কোনো উপায় খুঁজে পায় না মানুষ—তখন একমাত্র উপায় হয় নিজের জীবন শেষ করে দেয়া। 

মনোচিকিৎসক ক্যাম্পবেল ওয়াট বলেছেন, 'একজন মানুষকে তার আত্মহত্যা করার ইচ্ছার হাত থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা আমাদের নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব। আমরা যদি সফল হই, যদি ব্যক্তির কারণগুলোকে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হয়, তাহলে সেটাই হবে বড় উপহার।' 

মনোচিকিৎসকরা এ-ও বলেন, তারা দেখেছেন, যখন রোগীদের মানসিক, শারীরিক ও আবেগজনিত অসুস্থতার চিকিৎসা করা হয়, তখন সেইসব সুইসাইডাল রোগীরা আর মারা যেতে চান না। অনেকেই ফিরে এসেছেন মৃত্যুর মুখ থেকে। ফিরে এসে বলেছেন, তারা জীবন উপভোগ করতে চান। তারা স্বীকার করেছেন, বিশেষ একটা অবস্থায় তারা মারা যেতে চেয়েছিলেন। তাহলে আমাদের সবার দায়িত্বটা হচ্ছে মানুষের ওই মুহূর্তটাকে ঠেকানো, তার পাশে দাঁড়ানো। 

ক্যাম্পবেল ওয়াট আরও মনে করেন যে পরিবারের একজন সদস্যের মৃত্যু তার পরিবারের ওপর ভয়াবহ প্রভাব রাখে। কারণ মানুষটির এই না বলে চলে যাওয়াটা সেই মানুষটির একার বিষয় নয়। মৃত মানুষের পরিবার-পরিজন সারাজীবন একটা উত্তরবিহীন প্রশ্ন, অতৃপ্ত মন এবং গভীর শূন্যতা নিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দেয়। আমাদের ছোট ভাই আলতাফ শাহনেওয়াজ সাদি মহম্মদের মৃত্যুর পর তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'আমার বোন আত্মহত্যা করেছিল। ফলে আমি জানি, যে পরিবারে কেউ আত্মহত্যা করে, ওই পরিবারের বাকি লোকগুলোও জাস্ট মারা যায়। তাই কেউ যখন আত্মহত্যা করে, তার কারণ খুঁজতে না যাওয়াই বোধহয় ভালো।'

বিশিষ্ট নারী অধিকারকর্মী কামলা ভাসিনকে দেখলে মনে হতো তিনি পৃথিবীর একদিকের ভার টেনে অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারেন। অথচ যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন মন থেকে মুছে ফেলতে পারেননি মেয়ের সুইসাইড করার ব্যথা। ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, 'আমার মেয়ে মিতু মাত্র ২৭ বছর বয়সে আমাদের ছেড়ে যখন চলে যায়, তখন সে অক্সফোর্ডে পিএইচডি করছে। একটা সম্পর্ক ছিল ওর, রেজাল্টও ভাল ছিল। কিন্তু সে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছিল। ফলে সে আত্মহত্যা করে। আমার মনে হয় অধিকাংশ মানুষই মনে করে না যে হতাশা একধরনের অসুস্থতা। সবাই জানতে চায় কেন আত্মহত্যা করেছে, কারা এজন্য দায়ী ? যা-ই হোক, আমিও বলতে চাই যে আমি জানি না কেন ও চলে গেল। তবে পাঞ্জাবের কবি শৈলেন্দর শোধির কবিতার লাইনটা আমাকে মিতুর কথা মনে করিয়ে দেয়:

'তুমি খোদার নামের মতোই খাঁটি/ সেই পথের মতো, যে পথ আমাদের গ্রামের পানে গেছে/ আমি কীভাবে তোমাকে ভুলে যাব আমার ভালবাসা/ তুমি আমার সেই নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো/ যা আমার ভেতরে ঢুকছে, আর বের হচ্ছে/ প্রতি মুহূর্তের সেই শ্বাসের মতো।'

সাদি মহম্মদের চলে যাওয়ার পর মনে হয়েছে অল্প বয়সে আবেগের বশে যে স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটে সেগুলো একধরনের দুর্ঘটনা। কিন্তু যে বয়সে জীবনের হিসাব-নিকাশ আর থাকে না, তখন একজন মানুষ আত্মহত্যা করলেন কেন? গত বছর জুলাইয়ে সাদি মহম্মদের মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ মারা যাওয়ার পর তার মধ্যে আত্মহত্যার বিষয়টি প্রবল হয়ে ওঠে বলে কেউ কেউ বলছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় চোখের সামনে বাবার নিহত হওয়া দেখা, শিশু সন্তানদের নিয়ে মায়ের পালিয়ে বেঁচে থাকা, নিজেদের গৃহ আগুনে পুড়তে দেখে সাদি মহম্মদ বড় হয়েছেন। এই বড় হওয়ার সময়টাতে দেখেছেন মা কীভাবে কষ্ট করে আষ্টেপৃষ্ঠে তাঁদের বেঁধে রেখেছেন। ফলে মায়ের মৃত্যুর পরে সৃষ্ট বিচ্ছিন্নতা তিনি হয়তো মেনে নিতে পারেননি। অনুভব করেছেন এই দুনিয়ায় নিজের একাকিত্ব। হয়তো এই একাকিত্বকে বোঝার ও মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট উদ্দীপনা, শক্তি ও আশা তাঁর মধ্যে ছিল না। তাই পরিণত বয়সে মায়ের মৃত্যুতে সেই অতিনির্ভরশীল সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁর হয়তো আর শক্তি ছিল না শেষ বয়সে নতুন একাকিত্বকে মেনে নেওয়ার বা মোকাবিলা করার। 

মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউটের তথ্যমতে, বাংলাদেশে গড়ে প্রতি বছর ১০ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, আত্মহত্যা দুধরনের হয়—পরিকল্পিত এবং আবেগতাড়িত হয়ে বা কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চরম বিষণ্ণতা বা ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন থেকে। অধিকাংশ মানুষ খুব একটা পরিকল্পনা করে আত্মহত্যা করেন না। আমরা মানসিক স্বাস্থ্যকে বারবার অবহেলা করি বলেই স্বেচ্ছামৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে। মানুষ নিজেকে ভালোবাসে, জীবনকে ভালোবাসে এবং সে শত প্রতিকূল পরিবেশেও বেঁচে থাকতে চায়। তাই সেই মানুষ যখন নিজেই 'মৃত্যুকে বরণ করে' নেওয়ার জন্য তৈরি হয়, তখন ধরেই নিতে হবে সে মানসিকভাবে অসুস্থ বা ভয়াবহ রকমের ডিপ্রেশনের শিকার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে যে ২০৩০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে রোগের এক নম্বর কারণ হবে বিষণ্ণতা। আর সে সময় বছরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যাজনিত কারণে মৃত্যুর শিকার হবেন। আধুনিক মানুষের জন্য এ এক ভয়ংকর ভবিষ্যদ্‌বাণী। বিশ্বে আত্মহত্যার হার বেড়েছে এবং নতুন তথ্য বলছে উন্নয়নশীল দেশে এই হার বেশি। আমরা যত বেশি একক জীবন, প্রতিযোগিতামূলক সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্বার্থপরতার দিকে ঝুঁকছি, ততই আমরা অস্থির হয়ে উঠছি। আমাদের পাশের মানুষটির দিকে তাকানোর সময় নেই, মতবিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা নেই, সম্প্রীতির হাত বাড়ানোও হয় না। আমরা জানি না পরিবারের বা বন্ধুদের মধ্যে কেউ যদি মানসিক সমস্যায় ভোগেন, তাহলে কীভাবে তার পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের কাছে মানসিক সমস্যা মানে পাগল হয়ে যাওয়া। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন মানসিক চিকিৎসকের কাছে যাওয়া মানে পাগলের ডাক্তারের কাছে যাওয়া। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কয়েক যুগ আগে 'স্বাস্থ্য'-এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছে, 'কেবল নিরোগ থাকাটাই স্বাস্থ্য নয়, বরং শারীরিক, মানসিক, আত্মিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকার নামই স্বাস্থ্য।' এদেশে শারীরিক রোগকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখা হলেও মানসিক সমস্যাকে এখনও ঠাট্টা, বিদ্রুপ বা হালকা বিষয় হিসেবে দেখা হয়। মানসিক রোগের শারীরিক প্রভাবের কারণে মানুষ ডাক্তারের কাছে যান। এই সমস্যার মূল কারণ যে মানসিক স্বাস্থ্য—এটা আর তারা বোঝেন না। আমাদের অসচেতনতার কারণে 'স্বাস্থ্য' শব্দটি সীমাবদ্ধ হয়ে আছে শুধু 'শারীরিক' অংশটুকুর মধ্যে। 

আমার পরিচিত একটি মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আত্মহত্যা করেছিল। মেয়েটির মা যখন অঝোরে কাঁদছিলেন, তখন মেয়েটির খালা এসে বললেন, 'তোর মেয়েটা স্বার্থপরের মতো চলে গেল। তোদের কষ্টটা একবারও ভাবল না।' মানুষ এখনও মনে করে সুইসাইড করাটা স্বার্থপরের মতো কাজ। কিন্তু কেন মনে করে? অনেক রোগী নিজেরাই ডাক্তারকে বলেছেন যে, তারা যখন আত্মহত্যা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন তারা তাদের প্রিয়জনদের কথা ভাবেননি। কারণ তখন তাদের কাছে নিজেদের ব্যথাটাই খুব বেশি ছিল। মনে হতেই পারে এটা খুব স্বার্থপরের মতো আচরণ। মানুষ আত্মহত্যা করে শুধু নিজে পালিয়ে বাঁচার জন্য, অন্য কারো জন্য মরে যাওয়াটা সুইসাইড নয়। সে আসলে নিজে বাঁচার উপায় হিসেবেই মৃত্যুকে বেছে নেয়। সমাজবিজ্ঞানী ও নৃতত্ত্ববিদরা মনে করেন আত্মহত্যা একটি সামাজিক বিষয় বা ফেনোমেনা। প্রতিটি আত্মহত্যার ঘটনা সেদেশেরই সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং মানুষের মনো-সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি। 

প্রিয়জনকে স্বেচ্ছামৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হলে কারও বিষণ্ণ সময়ে তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রিয়জনের সাথে সময় কাটালে, বন্ধুকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরলে, বাবা-মায়ের পাশে বসে থাকলে, আপনজনের কন্ঠস্বর শুনতে পেলে ও পরিবারের সবার ভালোবাসা পেলে দুর্বল মানুষ উঠে দাঁড়াতে পারেন। পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সরকারকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টিকে আমলে নিয়ে জাতীয় সুইসাইড প্রিভেনশন কৌশল দাঁড় করাতে হবে।

মনোবিদ কার্ল গুস্তাভ জুং বলেছেন, 'পৃথিবীতে সব অমঙ্গলের কারণ হলো এটাই যে, মানুষ তাদের মনের কথা বলতে পারে না।' আমরাও এখন এমন জাতিতে পরিণত হয়েছি যারা কথা বলার জন্য ভাষা জানে, গণিত শিখে, পদার্থবিজ্ঞান শিখে, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখে; কিন্তু তাদের মনে বলার মতো কোনো কথা নেই, বলার মতো কোন গল্প নেই। আছে শুধু নিজের ইন্দ্রিয় উপভোগ, সম্পদ আহরণ ও অভাব অভিযোগের বিষয়। সময় এসেছে চিন্তা করার যে আমরা ও আমাদের সন্তানরাও কি নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি? আমাদের কি বলার মতো কোনো গল্প আছে? গল্প শেয়ার করার মতো ও অন্যের কথা শোনার ইচ্ছাও কি আমাদের আছে? আসলে মনের কথা ঠিকমতো বলতে না পারার কারণেই চারিদিকে এত কষ্ট।


  • শাহানা হুদা রঞ্জনা: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক

  • বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফল। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।

Related Topics

টপ নিউজ

আত্মহত্যা / সুইসাইড / আত্মহত্যাপ্রবণতা / মতামত

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন: এবার বন্ধ আমদানি কার্যক্রম, প্রধান কার্যালয়ে সেনাসদস্য ও পুলিশ মোতায়েন 
  • ঈদের আগেই বাজারে আসছে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোট: গভর্নর
  • দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে: উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি
  • প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না, আমরা যাচ্ছি না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
  • সিম নিবন্ধনের সীমা কমছে, একজনের নামে থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ১০টি
  • উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ‘বিতর্কিতদের’ বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছি: বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন

Related News

  • জুলাই আন্দোলনে শহিদ পিতার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়ের ‘আত্মহত্যা’
  • কাশ্মীর সংকটে উত্তেজনা নয়, দুই দেশের যৌথ সমাধানই একমাত্র পথ
  • কয়েকটি প্রস্তাবের ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠাল ইসি
  • ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে, এর অন্য কোনো নাম নেই
  • আরেফিন স্যার, অভিবাদন গ্রহণ করুন, আপনার স্থান আমাদের হৃদয়ে

Most Read

1
বাংলাদেশ

এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন: এবার বন্ধ আমদানি কার্যক্রম, প্রধান কার্যালয়ে সেনাসদস্য ও পুলিশ মোতায়েন 

2
অর্থনীতি

ঈদের আগেই বাজারে আসছে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোট: গভর্নর

3
বাংলাদেশ

দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে: উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি

4
বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না, আমরা যাচ্ছি না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

5
বাংলাদেশ

সিম নিবন্ধনের সীমা কমছে, একজনের নামে থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ১০টি

6
বাংলাদেশ

উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ‘বিতর্কিতদের’ বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছি: বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net