কয়েকটি প্রস্তাবের ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠাল ইসি

নির্বাচন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার রাজধানীতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, "প্রফেসর আলী রিয়াজ স্যারকে (জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি) আমরা আমাদের মতামত পাঠিয়েছি। কিছু প্রস্তাবের বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছি।"
তিনি বলেন, "আমরা বলেছি, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের জন্য কমিশন গঠনের প্রয়োজন নেই।"
এছাড়া, এলাকার সীমানা নির্ধারণে ভোটারের সংখ্যা প্লাস বা মাইনাস ১০ শতাংশের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণের যে প্রস্তাব এসেছে, সেটিও অপ্রয়োজনীয় বলে মত দিয়েছে ইসি।
আখতার আহমেদ বলেন, "আমরা যুক্তি দেখিয়েছি যে, যদি এই ফরমুলা অনুসরণ করা হয় তাহলে শহরে নির্বাচনী এলাকার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং এটি অসমানুপাতিক হয়ে পড়বে, কারণ শহরাঞ্চলে মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত বেশি।"
অন্যান্য বিষয়ে তিনি বলেন, আরেকটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবং গেজেট প্রকাশের আগে কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ঘোষণা দিতে হবে।
এই প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, "ইসি মনে করে, এই সার্টিফিকেশন বা ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি সন্তুষ্ট না হন, তবে তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন না।"
ইসি সচিব আরও বলেন, "ভোটার সংখ্যা, জনসংখ্যা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে যথাযথভাবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।"
তবে, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে সংস্কার কমিশন। তিনি জানান, "বর্তমানে এনআইডি সার্ভার থেকে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিচ্ছে কমিশন।"