এক ম্যাচ জেতার পর আরও করুণভাবে হারলো সিলেট

এ যেন উঁকি দিয়েই আবার পুরনো খোলসে ফিরে যাওয়া! টানা পাঁচ হারের পর জয়ের মুখে দেখেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। কিন্তু এর পরের ম্যাচে আরও বড় বিপর্যয় হলো দলটির। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে পাত্তাই পেল না সিলেট। গড়পড়তা বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে চরম হতাশার গল্প লিখলেন সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। হারতে হারতে হাঁপিয়ে ওঠা সিলেটের জয়ের আনন্দে থাকা হলো মাত্র একদিন, এরপরই ফিরতে হলো পুরনো ঠিকানায়। যেখানে হারই তাদের একমাত্র সঙ্গী।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটকে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর। ছয় ম্যাচে চারটি জিতেছে তারা, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহানদের দল। সাত ম্যাচে একটি জয় পাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স টেবিলের তলানির দল। আরেকটি হারে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা একপ্রকার শেষ হয়ে গেল তাদের।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে রংপুর রাইডার্স। পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম ও অধিনায়ক সোহানের চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন, অবদান রাখেন আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। তাদের ব্যাটে ৭ উইকেটে ১৬২ রান তোলে রংপুর। জবাবে শেখ মেহেদি হাসান, সাকিবদের স্পিন তোপে শুরুতেই দিক হারানো সিলেট পুরোটা সময় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করে। দলটির মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন। ১৬.৫ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয় সিলেট।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৭ রানেই ওপেনার হ্যারি টেক্টরকে হারায় সিলেট। এখান থেকে ভাঙন শুরু হয়, নিয়মিত বিরতিতে তা চলতে থাকে। শেখ মেহেদি, সাকিবের পর তোপ দাগেন মোহাম্মদ নবী, ওমরজাই, হাসান মাহমুদরা। দিশেহারা সিলেট ৩০ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারায়। এখান থেকে কয়েক মুহূর্তের প্রতিরোধের পর আবারও সিলেটের উইকেট বৃষ্টি শুরু হয়।
চরম বিপর্যয়ের মাঝে কেবল লড়াই করতে পেরেছেন রায়ান বার্ল। জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডার ৩২ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। এ ছাড়া সামিত প্যাটেল ২০ বলে ১১ রান করেন। বাকিদের কেউ ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। শেখ মেহেদি ৩ ওভারে ১৩ রানে ৩টি উইকেট নেন। ১৭ রান খরচায় নবীর শিকারও ৩ উইকেট। ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট পান সাকিব। একটি করে উইকেট নেন ওমরজাই ও হাসান।
এর আগে রংপুরের হয়ে ৩৭ বলে ৭টি চারে ইনিংস সেরা ৪৭ রান করেন বাবর। দাপুটে ব্যাটিং করেন সোহান। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ৩০ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৬ রান করেন। ফজলে মাহমুদ ২১ বলে একটি চারে ১৪, ওমরজাই ১৪ বলে একটি চার ও ২টি চক্কায় ২২ ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৬ বলে একটি ছক্কায় অপরাজিত ১০ রান করেন। সিলেটের সামিত ও টেক্টর ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান রিচার্ড এনগারাভা, রেজাউর রহমান রাজা ও আরিফুল হক।