সেভেন সিস্টার্সের বাসিন্দাদের বিদেশযাত্রায় ঢাকা বিমানবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব টিটুর

বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের জন্য ভারতের সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত রাজ্যগুলোর বাসিন্দাদের ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, 'সেভেন সিস্টার্সে বসবাসরত মানুষ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে ঢাকা বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভারত সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।'
ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত ৭টি রাজ্যকে একত্রে সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। এগুলো হলো অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা রাজ্য।
এছাড়া সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে বাংলাদেশি হস্তশিল্প পণ্য, ইলেক্ট্রনিকস, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য এবং খাদ্যপণ্য রপ্তানি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী।
সভায় ভারতের কাছে আবারও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির কোটা চান প্রতিমন্ত্রী। জরুরি মুহূর্তে পেঁয়াজ, চিনি, আদা, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যাতে দেশটি থেকে আমদানি করা যায়, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে প্রণয় ভার্মার কাছে প্রস্তাব করেন তিনি।

বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানির প্রস্তাব করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সীমান্ত হাটগুলোকে আরও সক্রিয় করতে হবে।' নতুন করে সীমান্ত হাট চালুর লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থানসমূহ চিহ্নিত করতে একসঙ্গে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, আগামী মাসে ভারতে একটি মেগা শো হবে যেখানে বাংলাদেশি প্রতিনিধিরাও অংশ নিতে পারবেন।
এদিন পরে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্টিটস্কির সঙ্গে সৌজন্যসাক্ষাৎ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানির প্রস্তাব করেন প্রতিমন্ত্রী। রুশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকস, খাদ্যপণ্য আমদানি বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলাদেশ ও রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানিতে সরাসরি বিনিময় ব্যবস্থা চালুকরণের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সহযোগিতার আশ্বাস দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।