নতুন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি ঠিক রাখা

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, "নতুন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি ঠিক রাখা। এজন্য সরকারকে অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতগুলো উন্মোচন করতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে।"
আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, "অর্থনীতি যদি সবল না থেকে দুর্বল থাকে তাহলে দেশ কীভাবে এগোবে?"
মুস্তফা কামাল বলেন, "বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকগুলো এলাকা আছে। যে এলাকাগুলো এখনো পূর্ণ মাত্রায় উন্মোচন করা হয়নি। অনেক কম্পনেন্ট আবিষ্কার হয়নি। এসব বিষয়ে সরকারকে আরো কাজ করতে হবে।"
তিনি বলেন, "নতুন অর্থমন্ত্রীর অগ্রাধিকার হবে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো। সেজন্য যেসব জায়গায় এখনো এক্সপ্লোর করা হয়নি সেগুলো করতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহ নিয়ে সরকারের বড় চিন্তা রয়েছে।"
অর্থমন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশের অর্থনীতির মূলশক্তি ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ। নেট অথবা গ্রস যে কোন রিজার্ভ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এবছর সবসময় রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার রাখবো। বাংলাদেশের বাৎসরিক বৈদেশিক ঋণ বৈদেশিক রেমিট্যান্স এর সমান নয়। ফলে এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এর বাইরে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস থেকে আয় হচ্ছে।"
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, "বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে অনেক রিফর্ম হয়েছে। ব্যাংক খাত অনেক ভালো আছে। দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো আগামীতে দেখা হবে।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশ এগোচ্ছে। এগোবে। এনপিএল এখন কম। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ ২০ তম অর্থনীতি হবে।"
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "মুল্যস্ফীতি না হলে অর্থনীতি এগোবে না। যারা অর্থনীতি নিয়ে গভীরভাবে ভাবে না, তারাই মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা বলেন।"
কিন্তু মূল্যস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "গত ১৫ বছরের মধ্যে ৮ থেকে ১০ বছর ৬ শতাংশের নিচে ছিলো। এর থেকে ভালো অবস্থা হতে পারে না।"
তিনি জানান, "নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী কে হবেন সেটা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন। তবে যিনি অর্থমন্ত্রী হোক না কেন, অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে কাজ করবে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উত্তীর্ণ হয়েছিলো, যা সাম্প্রতিক সময়ে কমেছে। তবে আগামীতে ৩০ বিলিয়নের নিচে নামতে দেওয়া হবে না।"
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্যাংশন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বাংলাদেশ কোন অন্যায় করে নাই। ফলে বাংলাদেশের উপর কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণও নেই। এরকম কেউ কিছু করলে সেটা হবে জোর করে করা। কেউ জোর করে করলে করতেই পারে। বাংলাদেশও সেরকম করতে পারে।"