২০০ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক

যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ দলের আইনপ্রণেতা ঋষি সুনাক দেশটির প্রথম হিন্দু ও অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। এরমধ্যেই নির্বাচিত হয়েছেন দলীয়ভাবে। এখন শুধু দায়িত্ব নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতার পালা। ৪২ বছরের সুনাকের অর্জন অবশ্য এখানেই শেষ নয়, ২০০ বছরের মধ্যে দেশটির কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রীও হচ্ছেন তিনি। সূত্র- ইকোনমিক টাইমস ও অন্যান্য
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, গত সোমবার দলীয়ভাবে নির্বাচিত হয়ে ব্রিটিশ রাজনীতির সর্বোচ্চ পদটি অধিকার করেছেন সুনাক।
২০১৫ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন সুনাক। পরের দুই বছর পার্লামেন্টের পেছনের সাড়িতেই ছিল তার অবস্থান। সে সময় কেউ ভাবতেও পারেননি সুনাক হবেন আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী।
সুনাক ব্রেক্সিটের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র সরকারে একজন জুনিয়র মন্ত্রীর পদ পান।
তবে সুনাককে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদটি দেন মে'র উত্তরসূরি বরিস জনসন। ২০১৯ সালে বরিস সুনাককে দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিবের ভার। আর ২০২০ সালে দেন অর্থমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব।
বর্তমানে বিশ্বের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ৩৬ বছর বয়সী ফিনল্যান্ডের সান্না মিরিয়েল্লা মারিন। কাকতলীয়ভাবে, তিনিও ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য হন।
২০১৯ সাল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন। তার রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অভ ফিনল্যান্ড।
২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি ক্ষমতার মেয়াদ সম্পূর্ণ করেন এস্তোনিয়ার ইউরি র্যাটাস। সাবেক না হলে ৩৮ বছরের ইউরি-ই হতেন মারিনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।
সুনাকের সমবয়সী হলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। নিজ দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনি। করোনা মহামারি, বর্ণবাদী বিদ্বেষ ইত্যাদি মোকাবিলায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন।
তবে যুক্তরাজ্যের সর্বকালের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী কিন্তু হচ্ছেন না সুনাক, সেই অর্জন উইলিয়াম পিট ইয়ঙ্গারের দখলে। ১৭৮৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি, আর স্বপদে ছিলেন ১৮০১ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত।
রাজা তৃতীয় জর্জ তাকে এ নিয়োগ দেন।
তবে আধুনিক যুগে তারুণ্যেই যারা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে অস্ট্রিয়ার সাবেক সেবাস্তিয়ান ক্রুজের নাম নিতেই হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এ পদে যখন নির্বাচিত হন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩১ বছর।