বেলারুশকে পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র দেবে রাশিয়া
বেলারুশকে পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে রাশিয়া। পার্শ্ববর্তী পশ্চিমামিত্রদের হুমকি মোকাবেলায় শনিবার (২৫ জুন) মিনস্কের পাশে থাকার এ আশ্বাস দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো প্রতিবেশী ও পশ্চিমামিত্র লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডের 'আক্রমনাত্মক', 'সংঘাতমূলক' ও 'বিদ্বেষমূলক' নীতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে বেলারুশের সীমান্তের কাছাকাছি মার্কিন-নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সশস্ত্র পারমাণবিক ফ্লাইটের বিরুদ্ধে একটি 'প্রতিসম পাল্টা প্রতিক্রিয়া' দেখানোর জন্য রাশিয়ার সহযোগিতা চান।
জবাবে পুতিন বলেন, এই মুহূর্তে 'প্রতিসম প্রতিক্রিয়া' দেখানোর তেমন প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন না তিনি। তবে বেলারুশের জন্য রুশনির্মিত এসইউ-২৫ জেটগুলো প্রয়োজনে রাশিয়ার কারখানায় আপগ্রেড করা যেতে পারে।
বৈঠকের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার একটি সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সারসংক্ষেপ অনুযায়ী রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, "আমরা বেলারুশকে ইস্কান্দার-এম কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হস্তান্তর করব; এটি প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় ধরনের ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম।"
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পরিসীমা সাধারণত ৫০০ কিমি (৩১০ মাইল) পর্যন্ত হয়ে থাকে।
দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যকার বৈঠকের কিছু অংশ টেলিভিশনেও প্রচার করা হয়।
রাশিয়া ও বেলারুশকে একত্র করে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেন, "মিনস্ককে অবশ্যই যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, এমনকি আমাদের পিতৃভূমিকে রক্ষা করতে ভারি অস্ত্রের ব্যবহার করতে হলেও।"
এ সময় তিনি বিশেষ করে, বেলারুশের সামরিক বিমানগুলোকে পারমাণবিক সক্ষম করে তুলতে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছিলেন।
মাস চারেক আগে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জের ধরে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের সম্পর্ক। মূলত ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণেই রাশিয়া আগ্রাসী নীতি নিয়েছে বলে অভিমত দেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মিত্র পক্ষরাও পরোক্ষভাবে কমবেশি জড়িয়ে পড়েছে চলমান সংঘাতে।
- সূত্র: রয়টার্স
