চীনের কোয়ান্টাম অগ্রযাত্রা কি ভেঙে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রতিরোধ শক্তি
চীন যে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংকে ভবিষ্যতের সেই অসম অস্ত্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে, যার সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের বহু দশকের প্রতিষ্ঠিত সামরিক আধিপত্যকে পিছনে ফেলা সম্ভব—এখন তা আর কল্পনার বিষয় নয়। বিশ্বের ভূরাজনৈতিক মঞ্চে প্রযুক্তিগত শক্তির এই রূপান্তর এক নতুন বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই মাসে নিক্কেই এশিয়ার এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে চীনের দ্রুত অগ্রযাত্রা এমন এক সামরিক সমতা সৃষ্টি করতে পারে, যা মার্কিন শক্তির ঐতিহ্যবাহী প্রতীক—যেমন বিমানবাহী রণতরীকে ভবিষ্যতে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, চীন এমন এক প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে, যা আধুনিক সামরিক শক্তির পরিমাপের মানদণ্ড বদলে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের বিনিয়োগ প্রবাহ—বিশেষ করে ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সরকারি তহবিল "হার্ড টেকনোলজি" যেমন কোয়ান্টাম সিস্টেমকে দ্রুত এগিয়ে নিতে বরাদ্দ করা হচ্ছে—তা মূলত ২০৩০–এর দশকে প্রত্যাশিত "কিউ-ডে" আগমনের আগেই এগিয়ে থাকার কৌশল। কিউ ডে বলা হচ্ছে, সেই দিনটিকে যখন কোয়ান্টাম কম্পিউটার সক্ষম হবে প্রায় সব ধরণের ক্লাসিক্যাল এনক্রিপশন ভেঙে দিতে।
আইগেনকিউ–এর জেসি ভ্যান গ্রিনসভেন সতর্ক করে বলেছেন, কোয়ান্টাম মেশিন পরিণত হলে এগুলো বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ সরবরাহ গ্রিড কিংবা সামরিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ককে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। ফলে একটিও গুলি না ছুড়েই চীন যুক্তরাষ্ট্রকে যেন "প্রস্তর যুগে" ফেরত পাঠাতে পারবে।
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ রায়ান ফেদাসিয়ুকের মতে, যদি যুক্তরাষ্ট্র, জাপান বা তাইওয়ান কোয়ান্টাম-প্রতিরোধী অ্যালগোরিদম সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করার আগেই চীন একটি নির্ভুল কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করতে পারে, তবে তার "এখন সংগ্রহ করো, পরে ডিক্রিপ্ট করো" কৌশলের আওতায় চীন বিগত কয়েক দশক ধরে চুরি করা তথ্য সহজেই পড়তে পারবে।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, চীন ইতোমধ্যে বৃহৎ পরিসরে কোয়ান্টাম যোগাযোগ ও কোয়ান্টাম কি ডিস্ট্রিবিউশন (কিউকেডি) নেটওয়ার্ক স্থাপন করে নিজেদের সিস্টেম নিরাপদ করার ক্ষেত্রে আগাম সুবিধা গড়ে তুলছে। যদিও কোয়ান্টাম সক্ষমতা এখনও পরিপক্ব নয়, তবুও বিশেষজ্ঞদের মতে প্রথম যে দেশ নির্ভরযোগ্য, ত্রুটিমুক্ত কোয়ান্টাম মেশিন তৈরিতে সফল হবে, সেই দেশ তার প্রতিদ্বন্দ্বীর গোপনীয়তায় তাৎক্ষণিক প্রবেশাধিকার পেয়ে যাবে, যা ভবিষ্যৎ যুদ্ধের চরিত্র আমূল পাল্টে দিতে পারে।
কোয়ান্টাম প্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রা শুধু এনক্রিপশন ভাঙা বা সাইবার নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ নয়—এটি সরাসরি আঘাত করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কৌশলগত ক্ষমতার মূল ভিত্তিগুলোতে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার "কিউবিট" ব্যবহার করে, যা একাধিক অবস্থায় একইসঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারে এবং অসংখ্য সম্ভাবনা সমান্তরালভাবে পরীক্ষা করতে পারে। অন্যদিকে কিউকেডি কোয়ান্টাম কণার মাধ্যমে এমন এনক্রিপশন কি পাঠায়, যা আটকানোর চেষ্টা হলেই ধরা পড়ে যায়—এটি তাত্ত্বিকভাবে অটুট নিরাপত্তা প্রদান করে।
এই প্রযুক্তির সামরিক সুবিধাগুলো তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) ২০২৫ সালের মে মাসের প্রতিবেদনে বলেছে, কোয়ান্টাম যোগাযোগ, কম্পিউটিং ও সেন্সিং ভবিষ্যতে সামরিক বাহিনীকে আরও উন্নত ডিক্রিপশন, অবস্থান নির্ণয়, নেভিগেশন, সময় নির্ধারণ এবং গোয়েন্দা, নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ (আইএসআর) সক্ষমতা দেবে।
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়ালে লক্ষ্যভেদ ও দীর্ঘ-পাল্লার নির্ভুল হামলা আরও উন্নত হবে, এবং যারা এই প্রযুক্তি আগে গ্রহণ করবে তাদের হাতে থাকবে স্পষ্ট সুবিধা। সত্যিকারের কোয়ান্টাম অগ্রগতি আগামী দশকে না-ও আসতে পারে, কিন্তু প্রযুক্তিটি বাস্তব প্রয়োগের দোরগোড়ায় রয়েছে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে।
পারমাণবিক প্রতিরোধ শক্তির প্রসঙ্গে, ২০২৫ সালের অক্টোবরে মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সিএসআইএস–এর এক বিশ্লেষণে জাহারা মাতিসেকসহ অন্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কোয়ান্টাম সেন্সিং এমন পারমাণবিক অস্ত্রবাহী প্ল্যাটফর্মগুলোকেও শনাক্ত করে ফেলতে পারে, যেগুলো এতদিন প্রায় অদৃশ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
মাতিসেকরা লিখছেন, পারমাণবিক ব্যালিস্টিক মিসাইলবাহী সাবমেরিন (এসএসবিএন)—যে কোনো দেশের সেকেন্ড-স্ট্রাইক সক্ষমতার মেরুদণ্ড। কিন্তু, কোয়ান্টাম ম্যাগনেটোমিটার দিয়ে এটা সনাক্ত করা সম্ভব, কারণ এগুলো ক্ষুদ্রতম চৌম্বকীয় পরিবর্তনও শনাক্ত করতে পারে। একইভাবে, গ্রাভিমিটার ভূগর্ভস্থ আইসিবিএম সাইলো বা টানেল খুঁজে বের করতে পারে। আর স্টেলথ বোম্বার, যাদের রাডার এড়িয়ে চলার কথা, সেগুলোও ধরা পড়ে যেতে পারে পরমাণু-স্তরের নির্ভুলতা ব্যবহৃত কোয়ান্টাম অপটিক্যাল সেন্সরের কাছে।
তাঁরা সতর্ক করেছেন, এসব প্রযুক্তি পারমাণবিক প্রতিক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়সীমা এবং পরমাণু অস্ত্রব্যবস্থার টিকে থাকার সম্ভাবনা কমিয়ে কৌশলগত ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। প্রতিপক্ষ যখন শত্রুর দ্বিতীয় আঘাতের সক্ষমতাকে নিষ্ক্রিয় করতে পারবে, তখন পারমাণবিক প্রতিরোধের বিশ্বাসযোগ্যতাই হুমকির মুখে পড়বে। তাই দ্রুত অভিযোজনের পদক্ষেপ না নিলে কোয়ান্টাম অগ্রগতি কৌশলগত সুবিধাকে সংকুচিত করতে পারে।
চীনের সাম্প্রতিক সামরিক বার্তাগুলোও এই উদ্বেগকে জোরদার করছে। বেইজিং প্রকাশ্যেই তাদের কোয়ান্টাম প্রযুক্তির অগ্রগতির কথা বলছে—ড্রোনে বসানো কোয়ান্টাম ডিভাইস, সাবমেরিন শনাক্তকরণ ও নেভিগেশনের জন্য কোয়ান্টাম গ্রাভিমিটার, এবং স্টেলথ বিমান প্রতিরোধের জন্য কোয়ান্টাম রাডার।
এসব দাবি দেখায়, চীন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক সক্ষমতার আকাশ ও সমুদ্র-ভিত্তিক অংশগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে—কারণ যুক্তরাষ্ট্রের স্থলভিত্তিক আইসিবিএমগুলো চীনকে লক্ষ্য করতে গেলে রুশ আকাশসীমা অতিক্রমের জটিলতা রয়েছে।
২০২৫ সালের মার্চে চীনের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক– সাউথ চায়না সি স্ট্র্যাটেজিক সিচ্যুয়েশন প্রোবিং ইনিশিয়েটিভ (এসসিএসপিআই) -এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে অন্তত ১১টি নিউক্লিয়ার এটাক সাবমেরিন (এসএসএন), দুটি পারমাণবিক গাইডেড-মিসাইল সাবমেরিন (এসএসজিএন) এবং একটি এসএসবিএন ওই অঞ্চলে কার্যক্রম চালিয়েছে; এদের সমর্থনে বেড়েছে টেন্ডার কার্যক্রমও—যা এসব সাবমেরিনের দীর্ঘমেয়াদে পানির নিচের অবস্থান করার ইঙ্গিত দেয়।
প্রতিবেদনটি আরও জানায়, ২০২৪ সালে দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ৫৬টি কৌশলগত বোম্বার মিশন চালিয়েছে—যা আগের বছরের প্রায় দ্বিগুণ—এদের মধ্যে ছিল বি-৫২ এইচ, কিছু বি-ওয়ানবি এবং বি-২ স্টেলথ বিমানের সীমিত উপস্থিতিও। এগুলোকে "উত্তর–দক্ষিণ দ্বি-অক্ষ" রুট এবং অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে সমন্বিত মহড়ার এক বর্ধিত আকাশভিত্তিক প্রতিরোধ কৌশল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
এই বিশ্লেষণ বলে দিচ্ছে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আক্রমণ সক্ষমতা সম্পর্কে একটি সুসংগঠিত কৌশলে চিন্তাভাবনা ও পর্যালচনায় সক্ষম। তাই কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে প্রোপাগান্ড হোক বা বাস্তব অগ্রগতি—চীনের দাবিগুলো দেখায়, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত শক্তিকে পাশ কাটাতে প্রযুক্তিগত উল্লম্ফন বা 'লিপফ্রগ' কৌশল প্রয়োগ করতে চাইছে।
এই প্রেক্ষাপটে, চীন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রচুর সংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিন, আইসিবিএম বা স্টেলথ বোম্বার তৈরি করতে চায় না; বরং কোয়ান্টাম প্রযুক্তির অসমতাকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রতিষ্ঠিত পারমাণবিক ট্রায়াডকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইছে।
চীনের সংকেতগুলোকে সরাসরি অবজ্ঞা করা ঝুঁকিপূর্ণ—কারণ কৌশলগত চমক সাধারণত আগেভাগে সতর্ক করে আসে না। তাই যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয়-আঘাত সক্ষমতা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
একইসঙ্গে, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি আয়ত্তকরণ যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করতে পারে—প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোর অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৌশলগত স্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
২০২৫ সালের জুলাইয়ে ফোর্বস ম্যাগাজিনে পল লিপম্যান লিখেছেন, কোয়ান্টাম অপটিক্যাল অ্যাটমিক ক্লক জিপিএস-নির্ভরতা ছাড়াই পিকোসেকেন্ড-স্তরের সময় নির্ভুলভাবে দেয়—যা স্যাটেলাইট, রাডার ও ইন্টারসেপ্টর অপারেশনগুলোর সমন্বয় নিশ্চিত করে। লিপম্যান যোগ করেন, কোয়ান্টাম রেডিওফ্রিকোয়েন্সি সেন্সর সংকেতজ্যামযুক্ত পরিবেশেও ক্ষীণ বা স্টেলথ মিসাইলের সিগন্যাল শনাক্ত করতে পারে, ফলে এগুলোর গতিপথের টেকসই ও নীরব পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়। এমন সক্ষমতা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, কোয়ান্টাম-অনুপ্রাণিত এআই বিপুল বহুমাত্রিক ডেটা দ্রুত প্রক্রিয়া করে আকাশ প্রতিরক্ষায় প্রকৃত হুমকি ও ভাঁওতা আলাদা করতে পারে এবং রিয়েল টাইমে ইন্টারসেপ্টর মিসাইলকে নির্দেশনা দিতে পারে। আর মহাকাশে স্থাপিত রাগেডাইজড কোয়ান্টাম সিস্টেম আক্রমণের মধ্যেও স্থিতিশীলতা যোগ করে। সব মিলিয়ে, লিপম্যানের মতে এসব প্রযুক্তি এমন এক বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে যা উন্নত মিসাইল শনাক্ত, অনুসরণ এবং নিষ্ক্রিয় করতে পারে—অর্থাৎ 'ডিনায়াল–বাই–ডিটারেন্স' শক্তিশালী হয়।
তবুও কোয়ান্টাম প্রযুক্তির সব সামরিক সুবিধার দাবি অন্ধভাবে গ্রহণ করা উচিত নয়।
২০২৫ সালের জুলাইয়ে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি)-এর প্রতিবেদনে মিখাল ক্রেলিনা বলেছেন, কোয়ান্টাম প্রযুক্তির সামরিক প্রভাব আগাম অনুমান করা ঝুঁকিপূর্ণ—কারণ কোন নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন কত দ্রুত পরিপক্ব হবে, গবেষণাগারের বাইরে বৃহৎ পরিসরে কাজ করবে কি না অথবা রাষ্ট্রগুলো তাদের সামরিক নীতিতে কীভাবে এসব প্রযুক্তি যুক্ত করবে—তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
ক্রেলিনা লিখছেন, কোয়ান্টাম প্রযুক্তির বাস্তব অপারেশনাল সময়সীমা এখনো অনুমাননির্ভর, এবং সামরিকভাবে গ্রহণ করা নির্ভর করবে প্রকৌশল সামর্থ্য, শিল্প উৎপাদন ক্ষমতা, ক্রয়-সংক্রান্ত অগ্রাধিকার ও কৌশলগত প্রেরণার ওপর। ফলে, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি প্রতিরোধ ভারসাম্য বা কৌশলগত স্থিতি বদলে দেবে—এমন মূল্যায়নগুলো সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত, অবশ্যম্ভাবী সত্য হিসেবে নয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।
