বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ, তারপরও ব্রিটেনের এক-তৃতীয়াংশ শিশু কেন দরিদ্র?
থিয়া জ্যাফ কখনোই ভাবেননি যে তাকে 'বেবি ব্যাংক'-এর সাহায্য নিতে হতে পারে। আসলে, তিনি নিজেই স্থানীয় কমিউনিটি গ্রুপের সিঙ্গেল বাবা-মায়েদের সহায়তার জন্য চ্যারিটি সংস্থা লিটল ভিলেজ-এর জন্য কাজ করতেন। এই সংস্থা ক্রয় ক্ষমতা কম এমন নতুন অভিভাবকদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করে থাকে— যেমন স্ট্রলার, কট, জামা-কাপড়, ডায়াপার, খেলনা এবং বই।
কিন্তু লন্ডনে বসবাসকারী জ্যাফ যখন হঠাৎ করেই তার দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করলেন, তখন তিনি তার সামর্থ্যের কারণে প্রয়োজনীয় সব কিছু কিনতে পারছিলেন না। তিনি সিএনএনকে বলেন, 'কোনো বাজেট ছাড়াই একটি শিশু লালন পালন করতে গিয়ে আমি সত্যিই হিমশিম খাচ্ছিলাম।'
তিনি বলেন, 'আমি ইতোমধ্যেই আর্থিকভাবে সংগ্রাম করছি… কিন্তু জানতাম না পরিস্থিতি এত খারাপ হয়ে যাবে। এখন এমন অবস্থায় এসে পৌঁছেছি যেখানে আমি ফুল-টাইম কাজ করি, তবুও আমার বিলগুলো পরিশোধ করতে পারছি না।'
যুক্তরাজ্যে শিশু দারিদ্র্য সীমা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। কারণ দেশের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ছে এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুরক্ষা ঝুঁকির মুখে পড়েছে, যা বছরের পর বছর সরকারি কঠোর অর্থনৈতিক নীতি প্রয়োগের ফল। জনসেবাগুলো দুর্বল হওয়ায় লিটল ভিলেজের মতো চ্যারিটি সংস্থাগুলো সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে।
এই সমস্যা এ সপ্তাহে দৃঢ়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে, কারণ বিভিন্ন প্রচারণা দল ব্রিটেনের লেবার সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে যে, বার্ষিক বাজেটে শিশু দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া তাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আগামীকাল বুধবার বাজেট ঘোষণা করা হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিশু — প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন — বর্তমানে আপাত দৃষ্টিতে দরিদ্র পরিবারে বসবাস করছে। এসব পরিবারের আয় হাউজিং খরচ বাদে জাতীয় মধ্যম আয়ের ৬০ শতাংশ নিচে বলে একটি সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই শিশুদের মধ্যে ১ মিলিয়ন শিশু সম্পূর্ণ দারিদ্র্যগ্রস্ত, অর্থাৎ তাদের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা— উষ্ণ থাকা, শুষ্ক থাকা, পোশাক এবং খাবার— পূরণ হয় না। এই তথ্য ২০২৩ সালের জোসেফ রাউনট্রি ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণার ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে।
সিএনএনকে লিটল ভিলেজের প্রধান নির্বাহী সোফি লিভিংস্টোন বলেন, 'আমরা এমন একটি পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি যারা শুধু কর্নফ্লেক্স এবং ভাত খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের অনেক পরিবার এক রুমের একটি ছোট ঘরে থাকে, তা অনেক স্যাঁতসেঁতে এবং এমনকি এগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের বাসস্থান।'
'সবসময় বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়'
যেসব পরিবার তাদের সন্তানের মৌলিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হলেও, তারা প্রতি মাসে সংগ্রাম করে জীবন কাটায়। তাদের কোনো আর্থিক নিরাপত্তা নেই।
৭ বছর বয়সী জমজ বোনের সিঙ্গেল মা লিয়া সিএনএনকে বলেন, 'যখন আপনার সন্তানরা আপনার ওপর নির্ভরশীল, সেটি তখন আর আনন্দের থাকে না। আপনাকে সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকতে হবে। লিয়া সম্প্রতি চেঞ্জিং রিয়ালিটিজ প্রজেক্টের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত হন। প্রজেক্টটি মূলত কম আয়ের পরিবারের অভিভাবকদের নিয়ে কাজ করে। লিয়া তার পরিবারের পরিচয় গোপন রাখতে ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।
লিয়া বলেন, 'তারা সেই সব কাজ করতে চায় যা তাদের সহপাঠীরা করছে… কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় তা তারা করতে পারে না।' মাসিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের খরচ দেওয়ার পর তার কাছে কোনো টাকা থাকে না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'প্রতিবার আমি বাইরে গেলে আমাকে সতর্ক থাকতে হয়। পরিশ্রমের পাশাপাশি আমাকে নিশ্চিত করতে হয় যে আমি অতিরিক্ত খরচ করছি না। এটি সত্যিই উদ্বেগজনক একটি পরিস্থিতি।'
দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারে বসবাসকারী আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন লিয়া সন্তান জন্মদানের পর কাজে ফিরে যান। কিন্তু তার এক মেয়ের জটিল শারীরিক সমস্যা ডিসপ্রাক্সিয়া এবং বৈশ্বিক বিকাশগত বিলম্বের কারণে তার মেয়ে প্রায়ই রেগে যেতো কিংবা মানসিকভাবে অশান্ত হয়ে যেতো। যার কারণে প্রায়ই মিটিংয়ের মাঝেই তার ফোনে কল আসতো। শেষ পর্যন্ত তাকে তার চাকরি ছাড়তে হয়।
তিনি বলেন, 'আমি সবসময় বেঁচে থাকার মোডে থাকি। আমি বড় হওয়ার সময় ফোস্টার কেয়ার সিস্টেমে ছিলাম এবং মনে আছে সেই সময়ে কতটা সংগ্রাম ও উৎকণ্ঠা অনুভব করতাম, ভাবতাম, "যদি আমি শুধু এটি পার করতে পারি, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।" কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখনো পরিবর্তিত হয়নি, যতই আমি জানি আমার অনেক কিছু করার আছে এবং সমাজের একজন ভালো সদস্য হওয়ার চেষ্টা করি, তবুও আমি অনুভব করি যে, যেখানেই তাকাই, সব জায়গায়ই অসুবিধা রয়েছে।'
কিন্তু যে পরিবারগুলো দারিদ্র্যরেখার চেয়ে ভালো আয় করে, তারাও বাসস্থান ও শিশু সহায়তার খরচ দিয়ে অন্য কোনো জিনিসের জন্য তাদের আর অর্থ থাকে না। কারণ যুক্তরাজ্যে বিশেষ করে লন্ডনে খরচ অনেক বেশি।
প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু যারা দারিদ্র্যরেখার নিচে বসবাস করছে, তাদের অন্তত একজন অভিভাবক কাজ করছেন।
২০২২ সালে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ফিসকাল স্টাডিজ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, যুক্তরাজ্যে শিশু পরিচর্যা খরচ অন্যান্য ধনী দেশের তুলনায় অনেক বেশি। একটি দম্পতির জন্য এটি মোট নিট আয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ। অপরদিকে একজন সিঙ্গেল বাবা-মার জন্য এটি প্রায় ৬০ শতাংশ।
দ্য লিটল ভিলেজ বেবি ব্যাংক ব্যবহারকারী মা থিয়া জ্যাফ, ক্লায়েন্ট সলিউশনে ফুল-টাইম কাজ করেন এবং নিজেকে ও তার তিন সন্তানের দেখাশোনা করতে বছরে ৪৫ হাজার পাউন্ড (৫৯ হাজার ডলার) আয় করেন— যা যুক্তরাজ্যের গড় আয়ের চেয়ে অনেক বেশি।
তারপরও তিনি বলেন, 'প্রতিমাসে সব খরচ মেটাতে আমাকে সংগ্রাম করতে হয়। আমি কোনো সঞ্চয় করতে পারি না, আমার সন্তানদের জন্য অতিরিক্ত কোনো জিনিস কিনতে পারি না।'
প্রয়োজনীয় খরচ - ভাড়া, শিশুর যত্ন, খাবার এবং গৃহস্থালির বিল - পরিশোধ করার পর জ্যাফের মাত্র ১৯২ পাউন্ড অবশিষ্ট থাকে। এটি জরুরি অবস্থার জন্য এবং কিংবা পরবর্তী সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানে কোনও ত্রুটি হলে তার জন্য সংরক্ষিত থাকে। এটি তার জন্য এখন একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
'সহ্য করার ক্ষমতা ফুরিয়ে গেছে'
যদিও যুক্তরাজ্যে সবসময়ই শিশু দারিদ্র্য ছিল, তার হার বাড়ছে— এবং অন্যান্য ধনী দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত বাড়ছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে শিশু দারিদ্র্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রেজ্যুলেশন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৫ সালে, যুক্তরাজ্যের শিশু দারিদ্র্য হার গ্রিসকে ছাড়িয়ে গেছে। এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেকোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাজ্যের শিশু দারিদ্র্যের হার বেশি।
সংস্থাটি অনুমান করছে, যদি কিছু পরিবর্তন না হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে আরও তিন লাখ শিশু দারিদ্র্যের শিকার হবে।
চাইল্ড পোভার্টি অ্যাকশন গ্রুপের তথ্য অনুসারে, বর্তমান দারিদ্র্যের হার সমাজের অন্যান্য বৈষম্যের প্রতিফলনও। কালো ও এশিয়ান সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। সে তুলনায় মাত্র ২৪ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ শিশু দরিদ্রসীমায় বসবাস করছে। একইভাবে, সিঙ্গেল বাবা-মার পরিবারে থাকা শিশু বা যেখানে কেউ প্রতিবন্ধী, সেই পরিবারের শিশুদের দারিদ্র্যে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
এই বৃদ্ধির একটি অংশ হলো পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য অংশকেও প্রভাবিত করা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এখনকার অর্থনীতি ধীরে বাড়ছে। আর কর্মসংস্থান আর আগের মতো আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করছে না। তা ছাড়া দমবন্ধ করা মুদ্রাস্ফীতি, যা প্রধানত প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, কম আয়ের মানুষদের উপর প্রভাব ফেলছে।
শিক্ষাবিদ ও আইনজীবীরা অবশ্য মনে করেন, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তও এই অবস্থার জন্য দায়ী। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা মধ্য-ডানপন্থী কনজারভেটিভ নেতৃত্বাধীন জোট এবং পরবর্তী কনজারভেটিভ সরকারের হাতে ব্রিটেনের সরকারি পরিষেবাগুলো মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছিল।
জোনাথন ব্র্যাডশর (ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক নীতির ইমেরিটাস অধ্যাপক) মতে, ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর সরকারি ব্যয় কমাতে কনজারভেটিভরা যে ব্যয় সংকোচের নীতি নিয়েছিল, তার অংশ হিসেবে চালু করা তিনটি নীতিই "আজকের শিশু দারিদ্র্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ"। তিনি বর্তমান সরকারের নতুন শিশু দারিদ্র্য কৌশলের শিক্ষাবিদ উপদেষ্টাদের একজন হিসেবেও কাজ করেছেন।
এই পদক্ষেপগুলো মানুষের ভাতা পাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো একটি পরিবারের জন্য প্রাপ্য ভাতার ওপর সামগ্রিক ঊর্ধ্বসীমা, দ্বিতীয়টি আবাসন সুবিধার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং তৃতীয়টি হলো, দুই-সন্তান ভাতা নীতি, যার ফলে ২০১৭ সালের পর জন্ম নেওয়া তৃতীয় বা তার পরবর্তী সন্তানদের জন্য বাবা-মায়েরা কোনো সুবিধা দাবি করতে পারেন না।
দাতব্য সংস্থা ও শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই দুই-সন্তান সুবিধা সীমাই মূলত ব্রিটেনে শিশু দারিদ্র্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
জোনাথন ব্র্যাডশ সিএনএনকে বলেন, "শিশু দারিদ্র্য বৃদ্ধির বেশিরভাগই ঘটেছে বড় পরিবারগুলোতে।"
জোসেফ রউনট্রি ফাউন্ডেশনের প্রধান বিশ্লেষক পিটার মাতেজিক বলেন, 'এ সবই প্রমাণ করে যে সাহায্য ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা রয়েছে।'
তিনি সিএনএনকে বলেন, 'খাবার, জ্বালানি এবং অন্যান্য সব কিছুর জন্য আপনার কত টাকা দরকার, তার হিসেব করলে দেখা যাবে (প্রাপ্ত) ভাতার পরিমাণ তার চেয়ে কম।'
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফিলিপ অ্যালস্টন ২০১৮ সালে এবং অলিভিয়ের দে শ্যুটার ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্য সফর করার সময় উভয়েই সেখানের দারিদ্র্যের কঠোর সমালোচনা করেন। যদিও দে শ্যুটার বলেন যে, দেশটি মূলত অন্যান্য ধনী দেশগুলোর মতোই ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের পথেই হাঁটছে।
রাজনৈতিক জটিলতা
বর্তমানে ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের একজন মুখপাত্র সিএনএনকে জানান যে, 'প্রত্যেক শিশুরই অধিকার আছে জীবনে ভালো শুরু করার, তার পারিবারিক অবস্থান যেমনই হোক না কেন।'
তিনি আরও জানান, 'আমরা "বেস্ট স্টার্ট ফ্যামিলি হাবস" চালু করে শিশুদের বিকাশে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করছি। এর মাধ্যমে বিনামূল্যে স্কুলের খাবারের পরিসর বাড়াচ্ছি এবং নতুন ১ বিলিয়ন পাউন্ডের জরুরি সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করছি যেন দরিদ্রতম শিশুরা ছুটির দিনগুলোতেও যাতে অনাহারে না থাকে।'
শিশু দারিদ্র্য মোকাবিলা করা মধ্য-বামপন্থী সরকারের একটি ঘোষিত অগ্রাধিকার, এবং একই সঙ্গে এটি এমন একটি বিষয় যা সরকারের অভ্যন্তরে থাকা মতপার্থক্যকে স্পষ্ট করে তুলছে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লেবার সরকার পরিবর্তনের যে ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিল এবং সরকারি পরিষেবাগুলোতে বিনিয়োগ করার যে ঐতিহ্যগত আগ্রহ তাদের ছিল, তা নিয়ে লড়াই করছে। এর কারণ হলো তহবিলের স্বল্পতা এবং কর্মজীবী মানুষের উপর কর না বাড়ানোর নির্বাচনি অঙ্গীকার।
ফলে শিশু দারিদ্র্য কমানোর পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত এই রাজনৈতিক জটিলতার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বুধবার সরকারের ব্যয় এবং কর সংক্রান্ত পরিকল্পনার আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস, যিনি যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী, তিনি দুই-সন্তান সুবিধা সীমা নিয়ে আলোচনা করবেন। গত এক বছর ধরে সরকার এই নীতিটি রাখা বা বাতিল করার মধ্যে দোটানায় রয়েছে।
কিন্তু যেসব অভিভাবক দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি জীবনযাপন করছেন, তাদের পারিবারিক বাজেট অনেক দিন ধরেই অতিরিক্ত টানাপোড়েনের মধ্যে চলছে।
লিভিংস্টোন বলেন, "মানুষের মধ্যে প্রতিকূলতা মোকাবিলার ক্ষমতা আর অবশিষ্ট নেই।" যখন তিনি প্রথম 'লিটল ভিলেজ'-এর প্রধানের দায়িত্ব নেন, সেসময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'তখন আমরা বলতাম, সামাজিক সুরক্ষার জালে অনেক ফুটো আছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমার সত্যিই সন্দেহ হয় যে এখন আর আদৌ কোনো সামাজিক সুরক্ষা বলে কিছু আছে কি না।'
