ইমাম-খতিবদের জন্য স্থায়ী সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা করা হবে: তারেক রহমান
আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ইমাম-খতিবদের জন্য স্থায়ী সম্মানি ভাতার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলনে সম্মিলিত ইমাম-খতিব জাতীয় সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভর্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আদর্শ অনুসরণে 'ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ' গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই জানি, আইয়ামে জাহেলিয়ার সময়ে আমাদের মহানবীকে (সা.) যারা অপছন্দ করতেন তারাও তাকে ন্যায়পরায়ণ হিসেবে মানতেন এবং বিশ্বাস করতেন। তার ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে মুসলিম-অমুসলিম, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কারো মধ্যেই কোনো সংশয় ছিল না। মহানবীর (স.) এর সেই ন্যায়পরায়ণতার আদর্শ সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র এবং সরকার পরিচালনায় বিএনপির মূল মন্ত্র হবে ন্যায়পরায়ণতা।'
তিনি বলেন, 'অনেক মসজিদে মসজিদ কমিটির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর ইমাম-মুয়াজ্জিনের চাকরি নির্ভর করে। আমি মনে করি এটি হওয়া উচিত নয়। এটিকে আমি ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বিরুদ্ধে অন্যায্য আচরণ বলে মনে করি। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর রহমতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে আপনাদের সার্ভিস রুল প্রণয়নের ব্যাপারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। উপস্থাপিত অন্যান্য দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগও বিএনপি সরকার ইনশাল্লাহ গ্রহণ করবে।'
তারেক বলেন, 'ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে বিএনপি এমন একটি কল্যাণমূলক সমাজ, সরকার এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে যে রাষ্ট্র সমাজে মুসলমানগণ নিঃসংকোচে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন, নির্ভয়ে নিরাপদে ইবাদত-বন্দেগী করতে পারবেন। একইভাবে অন্য ধর্মের মানুষেরাও নিরাপদে নিশ্চিন্তে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করতে সক্ষম হবেন। বিএনপি কখনোই ইসলামের মূলনীতি কিংবা মৌলিক বিশ্বাসের সঙ্গে আপস করেনি, ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও করবে না।'
তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের দল যারা স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে নিজেদের ইচ্ছেমতো সংবিধান রচনা করেছিল। সেই সংবিধানে দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন তখন ঘটেনি।
বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তারেক বলেন, বিএনপি বরাবরই ইসলাম এবং মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী যেকোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার। পতিত, পরাজিত ও পলাতক স্বৈরাচার ইসলাম, মুসলমান এবং ইসলামী সংস্কৃতিকে রাষ্ট্র এবং সমাজে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছিল।
